আর কত অপেক্ষা?
- সালাহউদ্দিন বাবর
- ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:১০
বাংলাদেশ একটি দারিদ্র্যপীড়িত জনপদ। দেশের লাখ লাখ মানুষ এই দরিদ্রতা নিয়ে দিনের পর দিন চরম দুর্ভোগের মধ্যে জীবন নির্বাহ করে আসছে। দুস্থ এসব মানুষের ভাগ্য বদলের রঙিন স্বপ্ন দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য রাজনীতি করেন একশ্রেণীর নেতা। ভোটের সময় এলেই তাদের আনাগোনা বেড়ে যায়। আর মানুষের ভোট নেয়ার পর তারা ‘উধাও’ হয়ে যান। এভাবে বহু দিন প্রতারিত হয়ে আসছে গণমানুষ। এবার নির্বাচনের সময় এসব বসন্তের কোকিলকে নানান সুরে গান গাইতে শোনা গেছে। এ গানের লক্ষ্য ছিল ভোটারদের মোহিত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা। কিন্তু এবার গান গাইলেও ভোটারদের ওপর তারা আস্থা রাখতে পারেনি। তাই কৌশল এঁটে ভোট পাওয়া ছাড়াই ভোটের বাক্স পূর্ণ করে নেয়া হয়েছে। জনগণ ভোট দিতে পারেনি, অথচ প্রার্থীরা নাকি লাখ লাখ ভোটে বিজয়ী। এতে ভোট দেয়ার অধিকার হারিয়ে বিস্ময়ে হতবাক সবাই। কোথায় এর প্রতিকার জানাবেন? যাদের কাছে প্রতিকার চাইবেন, সেই নির্বাচন কমিশন কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব না রেখে স্পষ্ট ভাষায় ইতোমধ্যে বলে দিয়েছে, ‘নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি।’ এই বক্তব্য তাদের ওপর মানুষের আস্থা শূন্যের কোঠায় নিয়ে গেছে। পাশাপাশি, নবগঠিত সরকারের নির্বাচন নিয়ে যে ভূমিকা, তা জাতিকে হতাশায় নিমজ্জিত করেছে।
এই হতবিহ্বল জাতিকে এখন আশার আলো দেখাবে কে? দু’টি বিষয় এবার আরো পরিষ্কার। নির্বাচন কমিশন গঠনের দায়িত্ব সরকারের হাতে থাকার অর্থ হচ্ছে, এর গঠনপ্রক্রিয়ায় সরকারের পছন্দের প্রতিফলন ঘটবেই। আর এমন নির্বাচন কমিশন দিয়ে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান কিছুতেই সম্ভব নয়। বিষয়টি সবার, বিশেষ করে রাজনৈতিক সংগঠন এবং নির্বাচন নিয়ে যারা ভাবেন ও গবেষণা করেন তাদের বিশেষ বিবেচনায় নেয়া উচিত। এখানে বহুবার দেখা গেছে, এমন কমিশন প্রভূত সাংবিধানিক ক্ষমতার অধিকারী হয়েও সে ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্বাচন প্রশ্নমুক্ত ও স্বচ্ছ করতে পারেনি। দ্বিতীয় যে বিষয়টি স্পষ্ট তা হলো, দলীয় সরকারের অধীনে কোনোক্রমেই নির্বাচন অনুষ্ঠান উচিত হতে পারে না। এটি নিঃসন্দেহে প্রমাণিত সত্য। এই সূত্র ধরেই মূলত দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণার জন্ম ও প্রতিষ্ঠা হয়েছিল আন্দোলনের মাধ্যমে। এরপর সংবিধানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান সন্নিবেশিত হয়।
পরে দেখা গেছে, এমন সরকারের অধীনে এ দেশে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কোনো অভিযোগ-আপত্তি ওঠেনি। এবারো এই দাবি সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা অর্থাৎ আওয়ামী লীগ তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের অপরিহার্যতা নিয়ে এখন আর কোনো প্রশ্নই থাকতে পারে না। এ দিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বড় শরিক বিএনপি জানিয়ে দিয়েছে, এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনেই তারা অংশ নেবে না। এর ফলে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে, যা দেশের অন্যতম বৃহৎ নির্বাচন; তা আর ‘অংশগ্রহণমূলক’ হচ্ছে না। সংসদ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে, তেমনি উপজেলা নির্বাচনে একই সঙ্কট থেকে যাবে। গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান অনুশীলন হচ্ছে নির্বাচন। এটা যদি পরিশুদ্ধ করা না যায়, তবে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।
এবার নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন নেতাদের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেয়া হয়েছে, ‘তারা ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার সুযোগ পাবেন।’ যেভাবেই হোক, তারা নিজেদের বিজয়কে নিশ্চিত করেছেন এবং তাদের অভিলাষ পূর্ণ হয়েছে। তবে তারা যে দীর্ঘ ১০ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় ছিলেন, এখন এর সাথে যোগ হলো আরো পাঁচ বছর। নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকার সুবিধা হিসেবে তারা বলেছেন, ‘এতে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।’ কিন্তু যদি জানতে চাওয়া হয়, তাদের বিগত ১০ বছরের ‘প্রগ্রেস রিপোর্ট’ কী? উন্নয়ন পর্যবেক্ষণকারীদের এই জিজ্ঞাসার কোনো সন্তোষজনক জবাব তাদের কাছে রয়েছে বলে মনে হয় না।
সাধারণভাবে দেশের কোনো উন্নয়ন মানুষের চোখে পড়ে না। উন্নয়ন বায়বিক কোনো বিষয় নয়; তা অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে। প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব, রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থব্যয়ের পাই পাই করে হিসাব জনপ্রতিনিধিদের কাছে পেশ করা। আর জনপ্রতিনিধিদের সেই ফোরাম হচ্ছে জাতীয় সংসদ। সেটা গঠিত হতে হবে অবাধ নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে। সেখানে বহু মত ও পথের অনুসারীর সমাবেশ ঘটবে। কিন্তু বিগত এবং এবারের সংসদে বহু মত ও পথের অধিকারীদের সম্মিলন ঘটেনি। কেন হয়নি তার জবাব কমবেশি সবার জানা এবং এর বাস্তব অভিজ্ঞতা সবার রয়েছে। রাষ্ট্রীয় নেতা বাছাইয়ের প্রক্রিয়ার সাথে যদি দেশের সব মানুষ সম্পৃক্ত হতে না পারে, তবে সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয়, গত ১০ বছর দেশের নবীন ভোটারেরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। তাই তারা রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার দায় বোধ করেন না।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, গত দু’টি সাধারণ নির্বাচন নিয়ে বহু প্রশ্ন রয়েছে। এটাও বলা হয়েছে, দশম এবং একাদশ সংসদে কোনো ভিন্নমতের প্রতিফলন নেই। দুই সংসদই গঠিত হয়েছে কেবল সরকারি জোটের সদস্যদের নিয়ে। আর তাদের দায়িত্ব তো নিজেদের দুর্বলতাগুলোকে ঢেকে রাখা, প্রকাশ করা নয়। নিজেরা নিজেদের সরকারের দুর্বলতা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরে সরকারকে বিব্রত করা দলীয় ‘শৃঙ্খলার’ পরিপন্থী। কারো দ্বারা এমন কাণ্ড ঘটলে এর শাস্তি হিসেবে তার সংসদের সদস্য পদ হারানোর সমূহ শঙ্কা রয়েছে। এখন সরকার তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে একেবারেই ‘স্বাধীন’। কারো কাছে কোনো বিষয় নিয়ে জবাব দেয়ার প্রয়োজন বোধ করা হবে না। রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনায় এমন বল্গাহীন স্বাধীনতা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের সরকারের পক্ষে ভোগ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ‘গণতন্ত্র’ অর্থই হচ্ছে, বহু মতের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রশাসনিক ব্যবস্থা। এখন বিরোধী দলের অনুপস্থিতির কারণে ভারসাম্য আর নেই।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, এই ভারসাম্যের অভাবে সরকার অপার স্বাধীনতা ভোগ করে বটে; কিন্তু দেশে এর বহু মন্দ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এটাই এখন লক্ষ করা যাচ্ছে, যেমন অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে বলার কেউ নেই; বরং এসব ব্যক্তি প্রশাসনিক আনুকূল্য পেয়ে আরো ফুলে-ফেঁপে উঠছেন। অসুস্থ এসব কর্মকাণ্ড সংক্রামক ব্যাধির মতো সমাজে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। যেসব কারণে সমাজ কলুষিত হচ্ছে, তা শুধু সাম্প্রতিককালের ঘটনা নয়। ১০ বছর ধরেই এমন অবস্থার সূচনা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসনের অভাবের খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক থেকে বিপুল অর্থ লোপাটের তথ্যও প্রকাশ পাচ্ছে। এর বিহিত করার ক্ষেত্রে যদি উদ্যোগ নেয়া না হয়, তবে আর্থিক খাত ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকবে। এক দিকে যখন লক্ষ করা যাচ্ছে প্রশাসনের ভুলত্রুটি ধরার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা কার্যকর নয়, সেই সময় এখানে সংঘটিত অনিয়ম-অব্যবস্থার খবর জানা যাবে কিভাবে? অপর যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে যেমন সংবাদমাধ্যম, সেগুলো এখন ভীতির মধ্যে রয়েছে। বিরাজমান অবস্থায় তারা নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন।
নানা আইনকানুনের মারপ্যাঁচে পড়ে শাস্তির ভয়ে সাংবাদিক সমাজ ভীতিগ্রস্ত। অথচ তারা সমাজের ভুলত্রুটি প্রশাসনের গোচরে এনে থাকেন। দেশে জবাবদিহি নেয়ার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান আইনসভা। সে সভা সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাই সরকারের স্বার্থেই প্রশাসনের অনিয়ম-অব্যবস্থা তুলে ধরার একমাত্র উৎস হিসেবে সংবাদমাধ্যমকে ভূমিকা রাখার সুযোগ দেয়া উচিত। প্রতিটি দায়িত্বশীল সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, দেশে সুশাসন কায়েম করে জনমনে স্বস্তি বিধান করা। কিন্তু সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়গুলো যদি অবহিত থাকার পথ বন্ধ থাকে, এর প্রতিকার করার সুযোগ থাকবে কিভাবে? সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বারবার বলে আসছেন, তারা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন। কিন্তু সাথে সাথে বলছেন যে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। একই সাথে সুশীলসমাজ থেকে বলা হচ্ছে, দীর্ঘ দিন ধরে সমাজে দুঃশাসন বিরাজ করছে। সরকার যদি ঠিক-ঠিকভাবে সুশাসন চায়; কোথায় কোথায় সুশাসনে ঘাটতি রয়েছে, সেটি অবহিত হওয়ার ব্যবস্থা করে তার প্রতিকারের জন্য যুৎসই পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমেই প্রশাসনকে ‘মুদ্রার দুই পিঠ’ দেখতে হবে এবং একদেশদর্শিতা কিছুতেই চলবে না।
অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হওয়া চলে না। আইনকে তার স্বাভাবিক গতিপথে চলতে দিতে হবে। স্মরণ রাখতে হবেÑ যেখানে ক্ষমতা বিরাজ করে, সেখানেই ক্ষমতার অপব্যবহারের আশঙ্কা থাকে। তাই এসব ক্ষেত্রে নির্মোহ থাকতে হবে। বিচার-বিবেচনার ক্ষেত্রে অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ নেই। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচারক এবং সামাজিক নেতাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে যেন হস্তক্ষেপ না ঘটে, সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসন না থাকলে তার অনেক উপসর্গ সমাজে দেখা দেয়। এর অন্যতম হলো দুর্নীতি। বাংলাদেশে দুর্নীতির বিষয়টি বিশ্বের সর্বত্রই আলোচিত। বিশ্বের যেসব দেশ অধিক মাত্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত; সে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষপর্যায়ে। এখানে সুশাসনের অভাবের আরেকটি ক্ষেত্র হচ্ছে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান, যেখানে মানবাধিকারের বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্বের যেসব অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক, সে দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত। এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে সদ্যসমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন।
নিজের পছন্দমতো ভোট দেয়ার অধিকার মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের ভোট প্রয়োগের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে দেশী-বিদেশী পত্রপত্রিকায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ জন্য মানুষ ক্ষোভে-দুঃখে মূক হয়ে আছে। এমন অব্যবস্থা স্বীকার করে নিয়ে চুপ করে থেকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হবে না। সুশাসনের অভাবের আরো নজির হচ্ছে, নারী-শিশুদের নিয়ে সমাজে এখন যে অনিরাপদ অবস্থা বিরাজ করছে, তা তাদের জীবন ও সম্ভ্রমকে বিপন্ন করে তুলেছে। সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয়, নারীরা পর্যন্ত রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে নির্যাতিত হচ্ছেন। রাজনীতি এমন চরম অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি করতে পারে তা ভাবা যায় না। আরো দুঃখজনক হলো, এমন দুর্বৃত্তদের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হওয়ার কথা। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে এসব অপরাধকে হালকা করে ফেলা হচ্ছে। অপরাধী যদি নিছক রাজনৈতিক কারণে মাফ পেয়ে যায়, তবে সমাজের কলুষতা কেবলই বৃদ্ধি পাবে। সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বিধানে যদি প্রশাসন অপরাধীকে শুধুই দোষী হিসেবে বিবেচনা না করে, তবে এদের দৌরাত্ম্যে সমাজ জীবনে শান্তিশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। দেশ পরিচালনায় সার্থক হতে হলে যেকোনো ক্ষেত্রে এসব সমাজবিরোধীর প্রতি আপসহীন হতে হবে।
ndigantababor@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা