২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দাসত্বের বিশ্বায়ন

-

কবি চিৎকার করে উঠলেন, ‘স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?’ কবি শুধু একটি চিরন্তন আকাক্সক্ষার প্রতিধ্বনি করলেন। স্বাধীনতা এবং দাসত্ব জীবনের দু’টি অঙ্গ। তাই সম্ভবত এ দু’টি বিষয় সময়কে তাড়িয়ে বেড়ায়।

এখন অনেকেই বিশ্বাস করেন, ‘দাসত্ব অতীতের বিষয়। এখন আর নেই।’ তা কি সত্য? প্রশ্ন করেছিল অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত ‘ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন’ তাদের ২০১৩ সালের ‘গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্সে’। রোমান সাম্রাজ্যসহ অতীতের সব সামন্তরাজা দাসত্বকে তাদের শাসনের প্রয়োজনীয় অঙ্গ মনে করতেন। তাদের অত্যাচার-শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিদ্রোহ হয়েছিল এবং আমেরিকা দখলের পর ইউরোপীয় শাসকেরা যে দাসত্ব প্রথাকে শক্তিশালী করেছিল, তা অবসানের জন্য বিপুল রক্তপাত ঘটে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই ধারণা প্রচলিত আছে।

তবে এটা প্রকৃত চিত্র নয়। দাসত্বের সংজ্ঞা এবং প্রকৃত চিত্রের সাথে এর সামঞ্জস্য নেই। কারণ, দাসত্বের শৃঙ্খল এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লুক্কায়িত। যে মানুষ নিজেকে ‘স্বাধীন’ বলে দাবি করছে, সে দিনের শেষে দেখতে পাচ্ছে এক অদৃশ্য শৃঙ্খল নিয়ন্ত্রিত করছে তাকে।

এ বিষয়ের ওপর বিশদ অনুসন্ধান চালিয়েছে এই ফাউন্ডেশন। তাদের মতে, বিশ্বে অন্তত সাড়ে চার কোটি (৪৫ মিলিয়ন) মানুষ দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ। এরা হলো দাস শ্রমিক, শিশু শ্রমিক, শিশু বিবাহের শিকার, বিভিন্ন সংস্থায় নিয়োজিত কিছু কর্মচারী। এই ফাউন্ডেশন ১৬টি দেশে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছে, প্রতিটি দেশেই দাসব্যবস্থা চালু আছে। সম্ভবত দাসমুক্ত দেশ পৃথিবীতে নেই। এরা দৃশ্যত মুক্ত, কিন্তু বাস্তবতায় তাদের প্রতিটি মুহূর্ত শৃঙ্খলবদ্ধ।

আফ্রিকার অনেক দেশে দাসপ্রথা এখনো চালু রয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। সম্প্রতি মৌরিতানিয়ার একটি কোর্ট দুইজন দাস মালিককে ১০ ও ২০ বছরের জেল দিয়ে একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলেন। ওয়াশিংটন পোস্ট এক মন্তব্যে বলেছে, খোদ যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার দাস আছে (বন্ডেড লেবার)।

রয়টার গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্স বলেছে, এখন দাসত্ব নানা আকার ধারণ করেছে। যৌন ব্যবসার জন্য নারীপাচার এবং শ্রমের জন্য শিশু পাচার অত্যন্ত প্রকট। ফাউন্ডেশনের এই রিপোর্টের পরও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বলে গত বছর এপ্রিলে বলা হয়। এই রিপোর্টে ছয়টি দেশে দাসপ্রথা চালু আছে বলে প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো হলো- ১. মৌরিতানিয়া, ২. ভারত, ৩. চীন, ৪. উজবেকিস্তান, ৫. লিবিয়া ও ৬. উত্তর কোরিয়া। অন্যান্য দেশে এই প্রথা চালু থাকলেও তা প্রকাশ্য নেই। এখানে ছয়টি দেশের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো।

মৌরিতানিয়া- ১৯৮১ সালে বিশ্বের সর্বশেষ দেশ হিসেবে আফ্রিকার মৌরিতানিয়া দাসত্ব প্রথা বিলোপের ঘোষণা দিলেও দেখা যায়, ২০১৬ সালে এ দেশের ২০ শতাংশ মানুষ দাসত্বের নিগড়ে আবদ্ধ। এখানে কোনো দাসীর সন্তান জন্ম নিলে সেই শিশুকে সংশ্লিষ্ট মালিকের দাস হিসেবে গণ্য করা হয়। সে দেশের ২০ শতাংশ লোক এখনো দাস।

ভারত- বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ এ দেশে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ। এক হিসাব অনুসারে, এ দেশের এক কোটি ৮৪ লাখ ৫৪ হাজার ৭০০ লোক দাস হিসেবে জীবন কাটায়। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার জনসংখ্যার সমান এটা। ‘ফ্রি দি স্লেভ’ শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়, এখানে দাসত্ব পুরুষানুক্রমে চলে আসছে। জাতিসঙ্ঘের তিনটি সংস্থা- আইএলও, আইওএম (ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশন) এবং অস্ট্রেলিয়ার ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন এই রিপোর্ট প্রণয়ন করে। ভারতীয় শ্রম মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রথার অবসান করা হবে।

বিশ্বসংস্থা বলেছে, পাশের পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও এই বাধ্যতামূলক শ্রমিক ব্যবহার স্বল্পাহারে চালু আছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়, জনসংখ্যার আধিক্য। একশ্রেণীর ধনিকেরা জনসংখ্যার কারণে দারিদ্র্যের সুবিধা ব্যবহার করে।
চীনÑ প্রায় ৩৪ লাখ লোক বাধ্যতামূলক শ্রমিক হিসেবে এই দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ। এদের মধ্যে শিশু শ্রমিক এক বিরাট অংশ। এরা ইটের ভাটাসহ এমন কায়িক শ্রমে নিয়োজিত বলে এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। পাশের দেশগুলোর নারী শ্রমিকসহ এক বিরাট গোষ্ঠী এই দাসত্বে আবদ্ধ। এরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো পারিশ্রমিক পায় না। শুধু সামান্য কিছু খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

উজবেকিস্তান- রিপোর্টে বলা হয়, ৩.৯ শতাংশ মানুষ দাসত্বের শৃঙ্খলে। ২০১৬ সালের এই সার্ভে রিপোর্টে বলা হয়, সরকার প্রায় ১০ লাখ লোককে তুলা চাষের কাজ করার জন্য বাধ্য করে। এ দেশ বিশ্বের অন্যতম তুলা উৎপাদনকারী। তবে আন্তর্জাতিক চাপে এই তুলা উৎপাদন থেকে শিশু শ্রমিকদের সরিয়ে নেয়। এই চাপের ফলে গত সেপ্টেম্বরে তুলার জমি থেকে শিক্ষক-ছাত্রসহ হাজার হাজার শ্রমিককে সরিয়ে দেয়া হয়। এদের জোর করে এখানে কাজ করানো হতো।

লিবিয়া- এই রিপোর্ট অনুসারে ১.১৩ শতাংশ জনসংখ্যা এই দাসত্বে আবদ্ধ ছিল ২০১৬ সাল পর্যন্ত। এক ছাত্রের মোবাইলের চিত্র দাসত্বের ভয়াবহ অবস্থা তুলে ধরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিলে নিন্দার ঝড় ওঠে, সরকার এই প্রথার বিলোপ ঘোষণা করে। সিএনএন এবং সেলফোনে দাসত্বের নানা চিত্র তুলে ধরা হয়। এর মাঝে ধর্ষণ, জোর করে কাজ করানোর দৃশ্যও ছিল। টাইম ম্যাগাজিনের রিপোর্টের পর সরকার এই প্রথার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাতে বাধ্য হয়।

উত্তর কোরিয়া- স্লেভারি ইনডেক্সে (২০১৬ সালের) উত্তর কোরিয়াকে বিশ্বের প্রধান দাসত্বের আবাস বলে বর্ণনা করা হয়। এখান থেকে হাজার হাজার মানুষকে মধ্যপ্রাচ্যসহ দাসত্ব প্রথা চালু দেশগুলোতে পাচার করা হয়। রাশিয়া যাওয়ার জন্য এই শ্রমিকেরা স্বেচ্ছায় দাসখত দিত। কারণ, স্বদেশে তাদের কোনো অধিকার ছিল না। জাতিসঙ্ঘের প্রতিনিধি মারজাকি দারুসমান তার রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, এসব শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়া, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গড়ে তিন বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠাত। এরা মাসে আয় করে গড়ে ১৩০ ডলার।

এই শ্রমিক দাসদের বাস্তব চিত্র এঁকেছেন দি আটলান্টিক পত্রিকায় ‘মাই ফ্যামিলিজ স্লেভ’ (আমার পরিবারের দাস) নিবন্ধে অ্যালেক্স টিজন। টিজন লিখেছেন- ‘ফিলিপাইনে তার মাকে দাসী হিসেবে একজনকে দান করা হয়। পরে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হয় এবং সারা জীবন তিনি সেখানে দাসী হিসেবে জীবন কাটান। তার কোনো বেতন ছিল না, সামাজিক পরিচিতি ছিল না। এমন দাসের সংখ্যা সারা বিশ্বে সাড়ে সাত কোটি বলে অনুমান করা হয়।

প্রশ্ন করা হয়, এই আধুনিক যুগেও কেন দাসত্ব চালু আছে? তার আগে আলোচনা করা যাক কত ধরনের দাসত্ব চালু। এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূলত তিন ধরনের দাসত্ব- ১. শ্রমের দাসত্ব, ২. শিশুশ্রম, ৩. যৌন ও বৈবাহিক দাসত্ব। শ্রমের দাসত্বের মূল কারণ দারিদ্র্য। দরিদ্রদের অনেক সময় দাসত্ব ছাড়া বাঁচার জন্য অন্য কোনো পথ খোলা থাকে না। আর তারা এ আবর্ত থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারে না। শিশুদের প্রায়ই দত্তক নেয়া হয় অথবা ভরণপোষণের নামে তাদের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। এই কাজের জন্য বহু শিশু ছিনতাই করে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে লাগানো হয়। সবচেয়ে ভয়ানক দাসত্ব হলো নারীদের জোর করে যৌন দাসত্বে আনা হয়।

আর এগুলো চালু আছে, কারণ- ১. রাষ্ট্রীয় যন্ত্র প্রায়ই এই অনাচারকে উপেক্ষা করে অথবা এ বিষয়ে নির্বিকার থাকে। ফলে অনাচারকারী নির্ভয়ে ও নির্বিঘেœ তাদের অপকর্ম চালিয়ে যায়। ২. বিকল্প অবস্থা বা ব্যবস্থার অভাব- পরিবার রক্ষা এবং জীবনযাপনের অন্য কোনো পথ না থাকায় তাদের এই শ্রমকে মেনে নিতে হয়। ৩. জনসংখ্যা বৃদ্ধি- জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কর্মসংস্থানের অভাব ঘটেছে। ফলে জীবনধারণের জন্য তাদের যেকোনো শর্ত মানতে হয়। ৪. দাসত্ববিরোধী আইন প্রয়োগ- দাসত্ব বা শ্রম আইন শ্রমকে স্বার্থসাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে খুব কমই ব্যবহার করা হয়। এ আইনগুলো প্রায়ই কোনো ব্যক্তিকে সাহায্য করে, কিন্তু এটা পুরো সমাজকে সাহায্য করে না। ফলে এর কু-ব্যবহারে কোনো বাধা থাকে না। যেমন হাইতিতে প্রতি ৪৮ জনের একজন দাস। এদেরকে ‘রেস্টাভিক’ বলা হয়। শব্দটি গরিবের সন্তানদের জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। এই ‘রেস্টাভিকেরা’ সাধারণত তাদের ধনী পরিবারের শ্রমিক। এরা শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে বঞ্চিত থাকে। এদের মধ্যে যারা পালিয়ে গিয়ে ধরা পড়ে, তাদের বেশ্যালয়ে পাঠানো হয় অথবা যৌন ব্যবসায়ে নিয়োগ করা হয়। হাইতিতে এর বিরুদ্ধে আইন থাকলেও তার প্রয়োগ নেই। অ্যান্টি-স্লেভারি ইনডেক্সে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় নির্বিকারিতার কারণেই এ ব্যবস্থা চালু রয়েছে।

আসলে শ্রমকে স্বার্থসাধনে ব্যবহার মানব অধিকারেরও লঙ্ঘন। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার দলিলের চতুর্থ ধারায় বলা হয়েছে- ‘কেউ দাসত্বে থাকবে না। সব আকারের দাস এবং দাসত্ব নিষিদ্ধ করা হলো।’
অর্থাৎ দাসত্ব নিরোধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঘোষণা এবং আইনের কোনো অভাব নেই। শুধু অভাব এর বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়ন করার ইচ্ছা। এর পেছনে সব সময় কাজ করছে সংঘাত, সংঘর্ষ, দুর্নীতি, দারিদ্র্য এবং নানা সামাজিক পার্থক্য। ক্ষমতা, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশ স্থাপন এবং স্বার্থ উদ্ধারও এর সাথে সম্পৃক্ত। এর ফলে দাসত্ব প্রথা নানা ঢঙে চালু রয়েছে এবং সারা বিশ্বে বিস্তার লাভ করেছে।

এর অবস্থান এখন এমন দৃঢ় যে, শিকার ও শিকারি উভয়েই এর আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে; কিন্তু বেরিয়ে আসতে পারছে না। অথচ দাসত্ব নির্মূল হওয়া প্রয়োজন। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে দু’টি বিষয়ের দিকে প্রথমেই মনোযোগ দিতে হবে, তা হলো পক্ষপাত ও অসমান। সামাজিক জীবনে অর্থনৈতিক শোষণকে বন্ধ করে সমতা রক্ষা করা হলে দাসপ্রথা চালু রাখা সম্ভব হবে না। সমাজ এবং সরকার যদি দুর্নীতি দমনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে এবং সেই মোতাবেক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে, তবে দাসত্ব তার সব অবয়ব নিয়ে হারিয়ে যেতে বাধ্য হবে। নতুবা এই অভিশাপ সমাজে প্রবলভাবে বৃদ্ধি বা স্থান নিয়ে থাকবে এবং পরিশেষে চলমান সামাজিক অশান্তির কারণ হবে।

এটা সত্য, স্বার্থপরতাকে নির্মূল করার চেষ্টা যেমন অবিরত চলছে, তেমনি এটা ক্রমান্বয়ে নিজেকে দৃঢ় অবস্থানে রক্ষা করেছে। যেমন সংঘাত ও সংঘর্ষ সৃষ্টি করে শরণার্থী এবং আশ্রয় প্রার্থী সৃষ্টি করে নতুন সমস্যার সৃষ্টি করা হয় এবং বর্তমানে এটা কেউ কেউ নিজ স্বার্থ-উদ্ধারের পথ হিসেবে পেয়েছে।

এর অন্যতম দৃষ্টান্ত হলো মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্তানসহ বিশ্বের নানা অশান্ত এলাকা। এক রিপোর্টে বলা হয়, গণতন্ত্র স্থাপনের নামে আফগানিস্তানে আক্রমণ করা হয়, যখন সে দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা হয়। অর্থাৎ গণতন্ত্রকে এখন অশান্তি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতাবান এবং পরাশক্তিরা ব্যবহার করছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে আশ্রয় প্রার্থী, যারা দাসত্বকে মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

যত আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা বাড়বে, তত শ্রম সস্তা এবং সহজলভ্য হবে। হয়তো বা এ জন্যই বিশ্বব্যাপী কোনো শান্তি আসছে না। শান্ত পরিস্থিতি কখনো শোষণকে সহজ করে না এবং শাসকেরা স্বস্তিতে থাকে না। কারণ, তখন সহজেই মানুষের কাছে সত্য পৌঁছানো সহজ হয় এবং তথ্যের ধারা নির্বিঘœ থাকে। তাই দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে কখনোই ক্ষমতাবানেরা শান্তি বা স্বস্তির অবস্থানকে চলমান রাখতে দেয় না। উল্লেখ্য, এই শক্তিমানদের এই চেষ্টা ব্যর্থ করার কর্মকাণ্ডও একসাথে চলে। যখন শান্তির প্রচেষ্টা কৃতকার্য হয়, তখন মানুষ নিশ্চিত নিদ্রায় যেতে পারে। জীবনের এই চিত্র নিয়ে মানুষ এগিয়ে চলেছে। এটা অমোঘ এবং সম্ভবত নিয়তি।


আরো সংবাদ



premium cement