এরশাদের জায়গায় বি চৌধুরী
- আলফাজ আনাম
- ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোটের রাজনীতিতে নানা ধরনের মেরুকরণ ঘটছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সমবেত হচ্ছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির এক সময়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। অপর দিকে, বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে হালুয়া-রুটির ভাগীদার অনেক নেতা আওয়ামী লীগের মহাজোটে যোগ দিচ্ছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত এ ধরনের আরো অনেক চমক আসবে।
মহাজোটের অন্যতম অংশীদার জাতীয় পার্টি কোন পথে যাবে, তা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে এক ধরনের টেনশন আছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ হঠাৎ করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের আগেও তিনি রহস্যজনকভাবে সিএমএইচে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকার করেছিলেন। নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং তার সাথে দেখা করে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। সুজাতার সাথে বৈঠকের পর সে কথা এরশাদ নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। কিন্তু তিনি নির্বাচন বর্জনের অবস্থানে অনড় থাকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তার কথিত অসুস্থতায় ‘উদ্বিগ্ন’ হয়ে সিএমএইচে ভর্তি করান।
তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর হাসপাতাল থেকে সরাসরি এমপি হিসেবে শপথ নিয়ে মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব নেন। এবারো নির্বাচনের আগে এরশাদ যখন অসুস্থ হয়ে সিএমএইচে ভর্তি হন তখন নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতাল থেকে তিনি কোথায় ছিলেন কেউ জানেন না। তবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার নিশ্চিত করেছেন, তারা মহাজোটে থেকেই নির্বাচন করবেন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে একটি বৈঠক হলেও ফলাফল জানা যায়নি। জাতীয় পার্টি ১০০ আসনের আবদার করেছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল পাত্তাই দিচ্ছে না। এ নিয়ে দু’দলের টানাপড়েন কাটছে না। হাসপাতাল থেকে তিনি মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসে বলেন, এখনো আমি মুক্ত নই। এরশাদের মুক্তি সহজে মিলবে না বরং চাপ আরো বাড়বে।
এরশাদকে নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যে বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী মহাজোটে যোগ দেয়া কিংবা সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরশাদের পরিবর্তে এখন বি. চৌধুরীকে কাছে টানতে চায় ক্ষমতাসীন দল। যদি কোনো কারণে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়, তাহলে বি. চৌধুরী বিরোধী দলের নেতা হলে তা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে, এমন ধারণা ক্ষমতাসীন দলের রয়েছে। তবে ভোটের রাজনীতিতে তিনি বা তার পুত্রের অবস্থান খুবই দুর্বল। মহাজোটের কাছ থেকে পাঁচটি আসন প্রার্থী পাওয়ার প্রস্তাব দেয়াও দুরূহ হবে। মোট কথা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে দুই প্রেসিডেন্টের অবস্থান নিয়ে এক ধরনের টানাপড়েন চলছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা হঠাৎ বি. চৌধুরীর সাথে বৈঠকের পর এমন গুজব আরো জোরদার হচ্ছে যে, এরশাদের জায়গাটি বি. চৌধুরী নিতে যাচ্ছেন। তার সাথে বিএনপির এক সময়ের পররাষ্ট্রনীতির কাণ্ডারি শমসের মবিন চৌধুরীকে দেখা যাচ্ছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির পক্ষে বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। তিনি সম্প্রতি বি. চৌধুরীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়েছেন।
অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এক সময় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ নিয়ে বহু আলোচনা ও দেনদরবার হয়েছে। বি. চৌধুরী এবং তার পুত্র মাহি বি. চৌধুরী অস্থিরচিত্তের রাজনীতি আর পেছনে নানা সুতোর টানে কোথাও স্থির হতে পারছেন না। বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং কর্নেল (অব:) অলি আহমেদ দু’জনই বিএনপি থেকে বেরিয়ে গিয়ে একসাথে জোট গঠন করেছিলেন। কিন্তু তারা একসাথে কাজ করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত অলি আহমেদ তার দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বা এলডিপি নিয়ে সে জোট থেকে বেরিয়ে যান। অলি আহমেদ এখন ২০ দলীয় জোটে আছেন।
অপর দিকে বি. চৌধুরী প্লান ‘বি’ নিয়ে মহাজোটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বা তাদের সাথে সমঝোতায় পৌঁছেছেন। ঐক্যফ্রন্টে গেলে তিনি যে প্লান ‘এ’ বাস্তবায়নে তৎপর থাকতেন তা সহজেই অনুমান করা যায়। এর অংশ হিসেবে খুচরা দলগুলোর জোট গঠনের আগে তিনি ১৫০ আসন তাকে দেয়ার দাবি তুলেছিলেন। এরপর তিনি দাবি করেন, বিএনপি কথিত স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখতে পারবে না। অর্থাৎ ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতকে বাদ দিতে হবে।
বিএনপি থেকে বেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তি আবার বিএনপির রাজনীতির নির্ধারক হওয়ার দাবি তুলেছিলেন। এটাই হয়তো ছিল বি. চৌধুরীর প্লান ‘এ’। স্বাভাবিকভাবে, বিএনপি তাকে শুরু থেকে সন্দেহের চোখে দেখে আসছিল। এই সন্দেহ যে অমূলক নয়, বি. চৌধুরীর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক তৎপরতায় তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। বি. চৌধুরী নানা বিতর্ক সৃষ্টি করে বিএনপিকে দুর্বল করার কৌশল নিয়েছিলেন। মূলত ক্ষমতাসীন দলের ‘বি’ টিম হিসেবে তিনি ঐক্যফ্রন্টে আসতে চেয়েছিলেন। এখন তিনি মহাজোটে যোগ দিয়ে বা সমঝোতা করে বিএনপির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ কৌশলকে তার প্লান ‘বি’ বলা যায়। বিএনপির ওপর তার ক্ষোভ ও প্রতিহিংসার প্রকাশ।
বি. চৌধুরী ও মাহি বি. চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, ড. কামাল হোসেন পরোক্ষভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে জোট গঠন করেছেন। তারা বোঝাতে চাইছেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি আছে। আবার বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটে জামায়াত আছে। তাহলে কামাল হোসেন স্বাধীনতাবিরোধী।’
অনেকটা এমন যুক্তি- গরু ঘাস খায়, সেই ঘাস খেয়ে গরু দুধ দেয়, দুধ মানুষ খায়; অতএব, মানুষও গরু। এমন যুক্তিতে বি. চৌধুরীকে অনেকে ‘জামায়াতি’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন। বিএনপির এ প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ১৯৯১ সালে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকারের প্রথমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি- এই দুই মন্ত্রীর সাথে তখন তিনি শপথ নিয়েছিলেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে একসাথে যোগ দিতেন। তখন তিনি কথিত স্বাধীনতাবিরোধীদের ব্যাপারে টুঁ-শব্দটি করেননি। হঠাৎ এখন তিনি জামায়াতবিরোধী রাজনৈতিক কার্ড খেলতে চাইছেন। কিন্তু এই কার্ড এত বেশি ব্যবহার করা হয়েছে যে, তাতে কোনো সাফল্য আসার সম্ভাবনা নেই। নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনীতিতে এতটাই মেরুকরণ হয়েছে, জামায়াতবিরোধিতা নির্বাচনী রাজনীতির কোনো ইস্যু হিসেবে দাঁড়াবে না। অনেকে মনে করেন, পুত্রস্নেহ বি. চৌধুরীকে বিভ্রান্তিকর রাজনীতির দিকে ঠেলে দিয়েছে, যা তার অতীত রাজনৈতিক চরিত্রের সাথে মানানসই নয়।
যা-ই হোক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে ঐক্যফ্রন্টের মোকাবেলায় ক্ষমতাসীন জোট বি. চৌধুরীকে দিয়ে আরেকটি ফ্রন্ট খুলতে চাইছে। কিন্তু তাতে কতটা সফলতা আসবে, তা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ আছে। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় সরকার এই জোটকে আমলে না নিলেও এখন এটাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ঐক্যফ্রন্ট এত শক্তিশালী রূপ পাবে, তা ক্ষমতাসীন দল অনুমান করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা এখন ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিচ্ছেন। এর মধ্যে বড় চমক ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া তনয় ড. রেজা কিবরিয়ার গণফোরামে যোগদান। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেছেন, যে আদর্শের জন্য আমার বাবা লড়াই করেছেন, আওয়ামী লীগ সেটা থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। ড. কামালের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যোগদানের সময় তিনি মনে করিয়ে দেন, তার বাবা সরকারি কর্মচারী ছিলেন; বাংলাদেশের সেবা করেছেন। তার বক্তব্য- ‘উনি বঙ্গবন্ধুর অধীনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তৈরি করেছিলেন, বাবা পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন।
উনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় সার্কের আঞ্চলিক পজিশন পেপার তৈরি করেছিলেন। উনি দেশকে সেবা করেছেন। কোনো ব্যক্তি, কোনো গোষ্ঠী বা দলের প্রতি কিছু আনুগত্য উনার থাকতে পারে।’ রেজা কিবরিয়া তার বাবার হত্যার বিচার নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার বাবা মারা যাওয়ার পর দুই বছর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তারা কিছু করতে পারেনি। দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, তারাও করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে ৯ বছর ক্ষমতায় ছিল, তারা এর একটি সুষ্ঠু তদন্ত পর্যন্ত করতে পারেনি। কার ওপরে আমার বেশি অসন্তুষ্ট হওয়া উচিত? দুই বছর নাকি সাড়ে ৯ বছর যারা কিছু করেননি তাদের ওপর?’ রেজা কিবরিয়া এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির ব্যর্থতার দিক তুলে ধরেছেন।
রেজা কিবরিয়ার মতো আরো অনেক আওয়ামী লীগ নেতা ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে আসার পর ড. কামাল হোসেন এই প্রথম একটি বড় রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম পেয়েছেন। তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাবেক জাঁদরেল নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, মোস্তফা মহসিন মন্টুর সাথে রেজা কিবরিয়ার মতো তরুণেরা যোগ দিলে সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগের বিকল্প একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড়াতে পারে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু সাবেক সেনাকর্মকর্তা গণফোরামে যোগ দিয়েছেন। জীবন সায়াহ্নে ড. কামাল হোসেনের এটি বড় রাজনৈতিক অর্জন হিসেবেই দেখা যেতে পারে।
এবারের নির্বাচনকে ঘিরে আসলে দেশে এক ধরনের জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের ব্যক্তিদের নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার ক্ষেত্রে বিএনপি সত্যিকার অর্থে, প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছে। এমনকি আসন ভাগাভাগি নিয়েও বড় ধরনের সঙ্কট হবে না, এমন কথা বলছে বিএনপি। এ ক্ষেত্রে জামায়াতের ভূমিকাও ঐক্য প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়েছে। বিএনপির পর ২০ দলীয় জোটের প্রধান শক্তি হলো জামায়াত। বিএনপি যখন ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে, তাতে জামায়াত বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান সম্প্রতি বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাৎকারে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন। যেখানে জামায়াতের প্রার্থী থাকবে না, সেখানে ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা কাজ করবেন। তিনি বলছেন, ‘একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যকে যদি সফল করতে হয়, তাহলে সবাইকে বড় মনের পরিচয় দিতে হবে।’ জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে বড় মনের পরিচয় দেয়াই এখন বেশি জরুরি।
alfazanambd@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা