২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গুজব ও হেলমেট

গুজব ও হেলমেট - ছবি : সংগৃহীত

রাজপথে ঝরে যাওয়া দু’টি প্রাণ আর এক মন্ত্রীর হাসিতে দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশের কিশোর শিক্ষার্থীরা দুই সহপাঠীর মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। সপ্তাহ জুড়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে কিশোরেরা। এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। বিশ্বের গণমাধ্যমে এই কিশোর আন্দোলন ব্যতিক্রমী খবর হিসেবে প্রকাশিত হয়। রাজপথে শিক্ষার্থীদের লাইসেন্স পরীক্ষায় উঠে আসে অব্যবস্থাপনার ভয়াবহ চিত্র। সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এমনকি বিচারপতি পর্যন্ত সবাই সড়ক অব্যবস্থাপনার জালে আটকে পড়েছেন। কারো ড্রাইভিং লাইসেন্স সঠিকভাবে নেই। শিশু-কিশোরেরা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো অশিক্ষিত ট্রাকচালক থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত সবার আইন না মানা যেন মজ্জাগত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আইন প্রণয়ন করা সংসদ সদস্য, আইনের প্রয়োগ করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং যাদের ওপর আইন প্রয়োগ করা হবে সেই সাধারণ মানুষ কেউ আইন মানছেন না। অর্থাৎ জাতি হিসেবে আমরা একধরনের বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে চলছি।

এক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের রাজপথের নিয়ন্ত্রণ সরকারের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। শান্তিপূর্ণ এক সপ্তাহের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত রক্তাক্ত রূপ গ্রহণ করে। সরকার এই আন্দোলন দমনের জন্য প্রথাগত যে কৌশল, তা-ই গ্রহণ করেছে। এক দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের হামলা, অপর দিকে দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা। প্রধানমন্ত্রী নিজে ঘোষণা দেন কিশোর আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়া হবে। কিশোরেরা চেয়েছিল প্রতিশ্রুতির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায়ও তারা আস্থা রাখতে পারেনি। এর একটি বড় কারণ, কিছু দিন আগে কোটা সংস্কার বিষয়ে সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিভ্রান্তি; যা এখনো নিরসন হয়নি। সরকারের ওপর মানুষের আস্থার সঙ্কট দেশের জন্য কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা বিভিন্ন সময় প্রমাণ হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত সরকার সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় চালকদের সাজা তিন বছর থেকে পাঁচ বছর করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা হলে বা হত্যার উদ্দেশ্য হলে মৃত্যুদণ্ড বলে বিবেচিত হতে পারে, এমন বিধান রয়েছে। যদিও আইনের এই সংশোধন তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, আসলে শাস্তি তিন বছর থেকে পাঁচ বছর হয়েছে মাত্র। আর হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যে দুর্ঘটনা, এমন প্রমাণ করা অসম্ভব হবে। কারণ, দূর্ঘটনার নামে যেভাবে মানুষ মারা যাক না কেন, চালকেরা হত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে কখনোই স্বীকার করবেন না।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিল নিরাপদ সড়কের আন্দোলন। এক অর্থে বেঁচে থাকার আন্দোলন। এই আন্দোলন গড়ে উঠেছে সুনির্দিষ্ট কোনো নেতৃত্ব ছাড়া। কিন্তু আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিল পারস্পরিক যোগাযোগ। এক স্কুল বা কলেজের সাথে অন্য স্কুল বা কলেজের যোগাযোগের মাধ্যমে আন্দোলন তীব্র রূপ নিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে ফেসবুক ছিল যোগাযোগের মাধ্যম। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশে যেসব আন্দোলন গড়ে উঠেছে, তাতে ফেসবুক একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে হাজির হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ছাত্রছাত্রীরা যে ৯ দফা দাবি দিয়েছে, সেটিও মনে হয় পারস্পরিক আলোচনা বা যোগাযোগের মাধ্যমে হয়েছে। সেখানে সুচিন্তিত মতের প্রতিফলন ঘটেছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলা বা বাস্তবায়ন অসম্ভব কোনো দাবি সেখানে যোগ করা হয়নি। কোনো ধরনের দমনপীড়ন ছাড়া এই আন্দোলন থামানো যেত। যদি নৌপরিবহনমন্ত্রী পদত্যাগ করতেন, নিঃসন্দেহে এটি ভালো দৃষ্টান্ত হতো। কারণ তার বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থের চেয়ে পরিবহন শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার অভিযোগ অনেক পুরনো। এ ছাড়া দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর তার বক্তব্য মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের সরকার বা মন্ত্রীরা পদত্যাগকে দেখেন পরাজয় হিসেবে, দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতা হিসেবে নয়। তার পদত্যাগের দাবি উঠলেও তিনি যে পদত্যাগ করবেন না, তা-ও জানিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে আন্দোলনের সমাপ্তি টানতে সরকারকে কঠোর হতেই হয়েছে।

কিশোরদের এই আন্দোলন গুজবের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, এমন ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছেন সরকারের মন্ত্রী ও প্রভাবশালীরা। বাস্তবতা হচ্ছে, প্রথম এক সপ্তাহ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের কর্মকাণ্ড কোনো গুজবের ওপর ভিত্তি করে ছিল না। আন্দোলন দমনে সরকার যখন কঠোর অবস্থানে গেছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে তখন গুজব যেমন ছড়িয়েছে, তেমনি অনেক সত্য খবর আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি টার্গেট ছিলেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীরা এখন ভীতিকর সময় পার করছেন। নানাভাবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। দেশে যেকোনো অস্থির পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা নানা পক্ষের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। এক দিকে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে সেলফ সেন্সরশিপের চাপ নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। অপর দিকে তারা নানাভাবে শারীরিক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। রাজধানীর জিগাতলা ও সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্তত সাতজন সাংবাদিককে বেদম মারধর করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন নারী সাংবাদিককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। যারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন তাদের বেশির ভাগ ফটো সাংবাদিক। ছবি তোলার সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।

সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেয়ার অর্থ হচ্ছে সত্য প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করা। সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, দেশে নানা মহল গুজব ছড়াচ্ছে। গুজবের কারণে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। সত্যিই যদি গুজবের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে সরকারের প্রধান কর্তব্য ছিল সংবাদমাধ্যমগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়া। তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি না করা। তাহলে মানুষ ঘটনার প্রকৃত বিবরণ জানতে পারবে। এর ফলে গুজব ছড়ানোর কোনো সুযোগ থাকবে না। সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহ বা ছবি তোলায় বাধা সৃষ্টি করলেও এখন অনেক কিছু আড়াল করা সম্ভব হয় না। প্রত্যেক মানুষের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি হয়ে উঠেছে ক্যামেরা এবং ভিডিও করার যন্ত্র। ফলে সামাজিক মাধ্যমে চলে যাচ্ছে ছবি ও ভিডিও। এর সাথে অসত্য প্রচারণাও চলছে। এমন পরিস্থিতির সুযোগ সরকার সৃষ্টি করে দিচ্ছে। কানে শোনাটাকে ক্ষেত্রবিশেষে গুজব বলা যেতে পারে। কিন্তু যখন প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ বা অডিও বা ভিজুয়াল কিছু দেখা যায়, সেটিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না। ছাত্রদের রক্তাক্ত শরীরের দৃশ্যগুলোকে কি গুজব বলতে হবে? সাংবাদিকদের রড দিয়ে পেটানো, পেছন থেকে রাম দা নিয়ে হামলার দৃশ্যও কি গুজব? এই আন্দোলনে একজনের চোখ উঠিয়ে নেয়ার কথা অনেক শিক্ষার্থী বলেছিল। তখন এই অভিযোগ গুজব বলে উড়িয়ে দেয়া হয়। এখন দেখা যাচ্ছে, সেদিনের ঘটনায় চোখ উঠিয়ে নেয়া এক ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে গেছেন। তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে। তাহলে চোখ উঠিয়ে নেয়ার বিষয়টি গুজব ছিল না।

সরকার যা-ই বলুক না কেন, সাংবাদিকেরা এখন এক ধরনের ভয় ও আতঙ্কে আছেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন ফটো সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেয়ার পর তাকে আটক করা হয়। যদিও পুলিশ বলছে, তার ফেসবুক পেইজে কিছু উসকানিমূলক মন্তব্যের জন্য আটক করা হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের আটকের ঘটনা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। সরকার সমর্থক যেসব সাংবাদিক গুজব তত্ত্ব নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, হেলমেট বাহিনীর হামলার পর তারাও রাজপথে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। গুজববাদী এই সাংবাদিকেরাও মনে হয় বুঝতে পারছেন, সামনের দিনগুলোতে তাদের ওপর এমন হামলা আসতে পারে। দলকানা মনোভাবের ঊর্ধ্বে উঠে তারা যদি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সোচ্চার হন, তাহলে হয়তো আগামী দিনে হেলমেট বাহিনীর উপস্থিতি কমতে পারে।

কিশোর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের শুরুতে রাষ্ট্রের অব্যবস্থাপনা যেমন দেখিয়ে দিয়েছে, তেমনি তাদের আন্দোলন দমনে সরকারের কৌশলে রাষ্ট্রের দানবীয় চেহারা ফুটে উঠেছে। ক্ষমতার রাজনীতি কতটা নিষ্ঠুর ও নিপীড়নমূলক হতে পারে, তারা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। চাপাতির কোপে সহপাঠীদের রক্তমাখা চেহারা শুধু ট্রমা নয়, উন্নয়ন ও চেতনার রাজনীতি নিয়ে তাদের মনে নিশ্চয়ই নতুন ভাবনার উদয় হয়েছে। কিশোরেরা যে রাজনীতির বাইরের কেউ নয়, সেই ভাবনা আরো জোরদার হবে। দু-তিন প্রজন্মের দেড়-দুই কোটি শিশু-কিশোরের আগামী দিনে রাজনৈতিক চিন্তার ক্ষেত্রে এই আন্দোলন অন্য রকম প্রভাব ফেলবে। সরকার এখন হয়তো কিছুটা আত্মতৃপ্তিতে আছে, আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে বা দমন করা গেছে। কিন্তু এই আন্দোলন এক অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের কিঞ্চিৎ নমুনা আকারে হাজির হয়েছে। কিশোরদের পরিবর্তে এখন এই আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া যুবকেরা। সরকার যদি মনে করে, এই আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে তাহলে ভুল হবে। সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে নানা রূপে নানা মাত্রায় এমন আন্দোলন হয়তো আবার ফিরে আসবে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ফুটে উঠেছে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার এই আন্দোলনের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি আবিষ্কার করলেও দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এই কিশোরদের মনোজগতে কতটা প্রভাব ফেলছে, স্লোগানের ভাষা থেকে তা স্পষ্ট। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও মানবিক মর্যাদা এখন যে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে; এই কিশোরেরা পুরোপুরি অবহিত। উন্নয়নের নামে মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তা-ও এই আন্দোলনের ভাষায় বোঝা খুব কঠিন নয়।

প্রায় ১০ দিন ধরে চলা এই আন্দোলনের স্লোগানগুলো আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে, তারা কতটা সচেতন এবং দেশ নিয়ে, দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে এই কিশোরেরা কতটা উদ্বিগ্ন। আমরা সে রকম এক ডজন স্লোগান দেখে নেই- ১. যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও, তবে তুমি বাংলাদেশ। ২. আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে। ৩. আম্মুর নির্দেশ, গুলি না নিয়ে বাসায় ফিরবি না। ৪. বিবেক তবে কবে ফিরবে। ৫. মুজিব কোটে মুজিবকেই মানায়, চামচাকে না। ৬. জনপ্রতিনিধিদের সপ্তাহে অন্তত তিন দিন গণপরিবহনে যাতায়াত করতে হবে। ৭. মা তুমি আমার জন্য আর অপেক্ষা করো না, আমি আর ঘরে ফিরব না। ৮. আমরা ৯ টাকায় ১ জিবি চাই না, নিরাপদ সড়ক চাই। ৯. রাস্তাবন্ধ, রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে। ১০. ডিজিটাল বাংলাদেশ চাই না, নিরাপদ সড়ক চাই। ১১. বিচার চাই না, বিচার করতে হবে। ১২. শিক্ষকের বেতের বাড়ি নিষেধ যে দেশে, পুলিশের হাতে লাঠি কেন সেই দেশে।

এ স্লোগানগুলোতে আজকের বাংলাদেশের চিত্র ফুটে উঠেছে। এখান থেকে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের জন্য যেমন উপলব্ধির দিক আছে, তেমনি যারা ক্ষমতায় যেতে চান তারাও বুঝতে পারবেন নতুন প্রজন্ম কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায়।
alfazanambd@yahoo.com

 


আরো সংবাদ



premium cement