১/১১ থেকে লর্ড কার্লাইল নিষ্ক্রিয়তার অভিশাপ
- মিনা ফারাহ
- ১৯ জুলাই ২০১৮, ১৮:৫৫
একাডেমিক লেখার জন্য একাডেমিক রাজনীতি লাগে। হাভাতে রাজনীতির কারণেই বারবার খালেদাকে নিয়ে চর্বিতচর্বণে বাধ্য হচ্ছি। কারণ, আজ অবধি তিনিই একমাত্র নেতা, যাকে যমের চেয়েও বেশি ভয় পায় আওয়ামী লীগ। যে কারণে ভোটের বাইরে রাখতে, কারাগারে রাখতে হলো। এ ছাড়া এই ‘আগুন’ সামাল দেয়া অসম্ভব।
হয়তো দুর্ভাগ্যের জন্য নেত্রীর নিষ্ক্রিয়তাও দায়ী। কিন্তু একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছেন বাকিরাও! বারবার অর্থহীন জোট গড়ার ঘোষণাসহ, প্লাস-মাইনাসের হিসাব নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকায় ২০৪১ পর্যন্ত গণতন্ত্রের ভাগ্য লাটে উঠতে পারে। সে জন্যই মুক্তিযুদ্ধের ৪৭ বছর পর ব্রিটেনের উচ্চকক্ষের পার্লামেন্টারিয়ান এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী লর্ড কার্লাইলের সাথে দু’টি দেশের ভিসা প্রতারণা নিয়ে লিখতে বাধ্য হচ্ছি। ভাবছি, কিভাবে উপস্থাপনা করা উচিত। কারো হুকুমে ভিসা প্রতারণা করেনি সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত? ঢাকার কোনো হাত নেই, মহাসচিবের বক্তব্য সঠিক? ভারতকে নিরাপদ রাখার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে হর্ষবর্ধনকে কড়া বার্তা কি দেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?
ইন্ডিভিজুয়াল অর্থাৎ বেছে বেছে নয়; কালেক্টিভ অর্থাৎ সমষ্টিগত সমালোচনাই মহাসুনামি থেকে জাতিকে এখনো উদ্ধার করতে সক্ষম। কিন্তু আমরা করছি ঠিক বিপরীত। বিষয়টি বোঝাতে একটি উদাহরণ দেই। আওয়ামী লীগ যদি নৌকা বোঝাই করে মাঝ দরিয়ায় ফেলে দেয় এবং কূলের সন্ধান চলাকালে আরো নৌকা বোঝাই করে এনে ডুবিয়ে দেয়। তখন কেউ কেউ এর কারণ খুঁজতে থাকবে। কেউ গালিগালাজ করবে। অন্যরা দোষারোপকেই বেছে নেবে।
যেমন- ২০১২ সালে মনে হয়েছিল, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সাথে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নিয়ে লিখতেই হবে। কিন্তু সংসদকে রেসলিংয়ের মাঠ বানানো দেখে মনে হলো, ‘পুরুষশাসিত সমাজে হিজড়া নারীবাদ নিয়ে না লিখলেই নয়।’ কথিত সুদখোর ড. ইউনূস সেটি উল্টে দিলেন। সেখানে ঢুকে পড়ল ৫ জানুয়ারির ভোটফিক্সিং। ১৫তম সংশোধনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শেষ না করতেই মাঠ দখল করল, বিদেশীদের সাথে দায়মুক্তির চুক্তি আর অস্ত্র কেনার ধুম। কুইক রেন্টালের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণই ছিল, কিন্তু ইলিয়াস আলী-বিশ্বজিতের ধাক্কা বাসি না হতেই মাঠ দখল করল হলমার্ক-বিসমিল্লাহসহ অর্থসন্ত্রাসীরা। সেটিও নকআউট করল সেভেন মার্ডার। সিনহা বের না হতেই ঢুকে পড়ল, প্রিয় ঋণখেলাপিদের সাথে ওমুক ভবনে, তমুকের সুদের হার নিয়ে ব্যাংক মালিকদের অবৈধ নির্দেশ। সেটিও বাসি না হতেই ওয়েলকাম রোহিঙ্গা! সেটিও বাসি হওয়ার আগে আচমকা কারাগারে খালেদা! ট্রাইব্যুনাল নিয়ে এখনো লেখা শেষ হয়নি। তালিকার অক্ষমতা জানিয়ে এখানেই শেষ।
যেভাবে ২০৪১ পর্যন্ত ক্ষমতা দখলের বিষয়টিকে হালকা চোখে দেখছে নতুন জোট, সেটিরও প্রতিবাদ প্রয়োজন। কারণ, অনেকের কর্মকাণ্ডই অস্বাভাবিক; সন্দেহের কারণও। অন্যথায়, চর্বিতচর্বণ প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে বহু একাডেমিক লেখা লিখতে পারতাম। এতে অনেকেরই উপকার হতে পারত।
২.
প্রতি ঈদেই নেত্রী বলতেন, ‘ঈদের পর আন্দোলন হবে’; কিন্তু কোন ঈদ সেটি বলেননি। তার স্থান আজ কারাগারে। এত বড় ক্রাইসিস হাজার বছরের বাঙালির জীবনে এই প্রথম। অতীতের ক্রাইসিসগুলো বাইরের। কিন্তু এই ক্রাইসিস অন্দরমহলের।
খালেদার আইনজীবীকে ঢাকার ভিসা দিতে অস্বীকার এবং দিল্লি এয়ারপোর্ট থেকে বিতাড়নের পর অন্তত একবার সুনামির উচ্চতা নিয়ে সমষ্টিগত আলোচনায় বসুন। সিনহা প্রসঙ্গে যাচ্ছি না, কিন্তু এরপরও অবৈধ সংসদ কিভাবে বহাল, যোগ্য প্রতিবাদ করলে লর্ড কার্লাইলকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিতে হতো না। এরপরও যারা নিরপেক্ষ সরকার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সোনার কাঠি-রুপার কাঠি নিয়ে ভাবছেন- টোটাল রাবিশ। ১২ জুলাই ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ দুনিয়ায় এমন কোনো মিডিয়া নেই, যেখানে লর্ড কার্লাইল আলোচিত হননি। কালের কণ্ঠ, ‘কার্লাইলকে ঢুকতে না দিতে দিল্লিকে সুপারিশ। উচ্চপর্যায়ে একটি সূত্রে গতকাল এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।’ অন্য পত্রিকার ভাষ্য- ঘটনার সূত্র ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তাকে ভারতে নামতে না দেয়া দোষের নয়। বিষয়টি হলো, কী কারণে ঢুকতে দিলো না? আওয়ামী লীগ তার ভিসা নাকচ করলে বাধ্য হয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতে প্রোগ্রাম দিলো। কিন্তু সেখানেও কি বেঁকে বসল ঢাকা। কোথায় গেল ভারতের গণতন্ত্র। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় হাজির! তাকে নিয়ে কুত কুত প্রশাসনে। লর্ড কার্লাইল দেশে ফিরে স্কাইপে ভারতীয় মিডিয়াকে বলেছেন, ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রতি আমার শ্রদ্ধা চুরমার হয়ে গেছে। রাজনীতির চাপের মুখে তারা যেভাবে নতিস্বীকার করলেন, তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত, কৈফিয়ত দেয়া উচিত।’ ৩৬ ঘণ্টার গেম থিওরি, যার যা বোঝার বুঝে নিন!
৩.
ঘটনার পেছনের ঘটনা। তিস্তার পানির সাথে মমতার গদির সম্পর্ক। বোলপুরে তিস্তার রফা করতে আবারো ব্যর্থ হলে মুখ ফসকে যা বেরিয়ে গেল, সেটাই সমষ্টিগত আলোচনার বিষয়। ক্ষোভের সাথে বলা হলো, ‘ভারতকে আমি যা যা দিয়েছি, সেটি তারা কোনো দিন ভুলতে পারবে না।’
সেদিন ৯ বছরের জমে থাকা সব প্রশ্নের উত্তর, এক কথায় দিলেন হাইকমান্ড। এরপর আর কোনো প্রশ্ন নেই। তবে আজ অবধি কী কী দিয়েছেন, তালিকা প্রয়োজন। দেশের সম্পদের প্রকৃত মালিকানা কার, এ বক্তব্যও বাসি। গোপন পথে দেনা-পাওনার খবর ফাঁস করে ফেঁসে গেলেন হাইকমান্ড। আমাদের আশঙ্কা, তালিকাটি এত গভীর, প্রকাশ করা যাবে না; বরং অগণতান্ত্রিক উপায়ে হলেও ২০৪১ সাল পর্যন্ত যেকোনো শর্তে ক্ষমতায় থাকাই নিরাপদ। অন্যথায় তোলপাড় হবে দুই দেশেই। প্রভাব পড়বে প্রবাসে বিভক্ত বাংলাদেশী সমাজেও।
৬ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিন, ‘৫৩ হাজার শটগান কেনা হয়েছে নির্বাচনের জন্য।’ জোটের মহাসচিবকে বলব, অনুনয়-বিনয় রেখে, লেখাটি পড়–ন। কারণ, আপনাদের নেত্রী জেলেই সম্ভবত ফিনিশ। হিসাব ছাড়া কাজটি করেনি ক্ষমতাসীনেরা। ৫৩ হাজার শটগানের প্রয়োজন হয়তো শেষ। কারণ, ভোটকেন্দ্রের ৪০ মাইলের মধ্যে গুলি খাওয়ার মতো একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনকি ৫ জানুয়ারির মতো, কুকুরও নয়। গুলি যা করার, করা হয়ে গেছে।
কার্লাইলকে ভারতে ঢুকতে না দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিভাবে ঢাকায়, সেসব জটিল প্রসঙ্গ এখানেই শেষ।
৪.
এবার নিষ্ক্রিয়তার অভিশাপ নিয়ে দু’কথা। কেন এমন নিষ্ক্রিয় ছিলেন? বিশেষ করে ৫ জানুয়ারির পর কর্মকাণ্ড প্রায় বন্ধ। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও একমাত্র রোজার মাস ছাড়া তেমন কোথাও দেখিনি। অবাক হয়েছি, এটাই নেতৃত্ব? ‘ঘরের শত্র“ বিভীষণ’দেরও চিনতে ব্যর্থ। বন্ধু চিনতেও ভুল। যারা আদালতে ডিফেন্ড করছেন, একটি অংশ অনির্বাচিতদের সাথে হাত মিলিয়েছে বললে ভুল হবে না। ক্যান্টনমেন্টের বাড়ির জন্য ‘স্টে-অর্ডার’ না চাওয়াই অন্যতম প্রমাণ। এরপরও টনক নড়ল? মনে রাখার মতো প্রতিবাদ করে জানতে চাওয়া হয়নি, হাইকমান্ডের ১৫টি মামলা কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার পরই গায়েব হলো! দল-পরিবার-জোট সব শেষ। বীর উত্তম পদক ছিনতাই। তবুও নীরব দর্শক!
কারাগারই হতে পারত মুক্তির আরেকটি পথ, কিন্তু সেখানেও একই নিষ্ক্রিয়তা। এখন পর্যন্ত নেই কোনো নির্দেশনা। জেলে বসে কারা দেশ স্বাধীন করেছেন, ইতিহাস লিখব না। তবে এখনো যদি মনে করেন, ঈদের পরই আন্দোলন হবে, সেই সুযোগ শেষ! প্রধানমন্ত্রী তাকেই বলা যায়, যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করা হয়। যারা ভোটফিক্সিং করে ক্ষমতায় বসে, তারা অবৈধ।
ম্যাচফিক্সিং ক্রিমিনাল হলে ভোটফিক্সিংও ক্রিমিনাল। ৫ জানুয়ারিতে ভোটফিক্সিং হয়েছে। অতি সাম্প্রতিককালে ক্রিকেটে ম্যাচফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে অনেকেরই শাস্তি হয়েছে। কিন্তু ভোটফিক্সিংয়ের জন্য কাউকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়নি। এ বিষয়ে বিরোধী নেত্রীর মুখ থেকে প্রয়োজনীয় বক্তব্য পাইনি কেন? ৫ জানুয়ারির পর বিদেশীরাও ‘অনির্বাচিত’ মনে করেই দূরত্ব বজায় রাখতেন। ভোটফিক্সিংয়ের খবর জানতেন বলেই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বর্জন করেছিলেন।
ব্যর্থতার ফিরিস্তি লেখার বিষয় নয়। তবে এই শতাব্দী যে জাতীয়তাবাদীদের, জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী কে তা জানাতে হবে। হেভিওয়েট দেশগুলোতে জাতীয়তাবাদীরাই জিতে যাচ্ছেন। এমনকি পার্শ্ববর্তী ভারতেও ন্যাশনালিস্টরাই ক্ষমতায়। ’৬৯-এর পর প্রথম পপুলার আপরাইজিংয়ের নেতা তার স্বামী। আরেকটি ব্যর্থতা, ভোটের নম্বর বাদ দিয়ে জোটের নম্বরের দিকে ঝোঁক।
জোটের কথা কী বলব। বেশির ভাগই ওয়ানম্যান শো। অনেকেরই হাজারখানেক ভোট থাকতে পারে। বেশির ভাগই নিষ্ক্রিয় ও সুবিধাবাদী। পদ-পদবি পছন্দ। বেশির ভাগই পাবলিকের কোনো কাজে আসে না। পুলিশ দেখলে অন্য রাস্তায় হাঁটে। টকশোতে তুফান উঠায়; বাইরে গেলেই হাওয়া। এত ঝড়, রাস্তায় টিকিটিও দেখলাম না। বেশির ভাগই মনে করে সংসদে যেতে পারব না। কিন্তু জোটের নামে সুবিধা পাবো। ঘরের শত্র“ বিভীষণ চিনতে ভুল করা এবং জোটের সাইজকে গুরুত্ব দেয়ায় সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে কোমরে। ফলে বিরোধী জোট আর কখনোই কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। এক রকম বাধ্য হয়েই জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক, একলা চলার পথ বেছে নিয়েছে বলেই প্রতীয়মান।
৫.
আইনমন্ত্রীর একটি বক্তব্য যা প্রায় সব দৈনিকেই। ‘জামায়াত-বিএনপির এ দেশে থাকার অধিকার নেই।’ বিষয়টির সমষ্টিগত বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আইনমন্ত্রী আইন বুঝলে কথাটি হয়তো বলতেন না। কারণ, এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার এখতিয়ার তার নেই। আমার ধারণা, তিনি ইতিহাস পড়েন। স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে, হুজুর ভাসানী এবং শেখ মুজিবের সম-অবস্থান নিশ্চয়ই জানেন। না জানলে বৃত্তান্ত নেটে ও পুস্তকে। ‘বীর উত্তম’ পুরস্কারটি প্রত্যাহার করে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকারের পদবি তারাই দিয়েছেন। ’৪০-এর লাহোর প্রস্তাব ছাড়া বাংলাদেশের জন্ম কল্পনা। সব কিছুর সাথে জড়িতের অন্যতম হুজুর ভাসানী, ভারতীয়রা যাকে ১৯৭১-এ গৃহবন্দী রেখেছিল, তাহলে ভাসানীও কি রাজাকার? জানি, এর কোনো জবাব মন্ত্রীর কাছে নেই।
ক্ষমতাসীনদের অবস্থান জানেন বঙ্গবীর, ড. কামাল হোসেনরা। তখন একজন রণাঙ্গনে, অন্যজন নেতার সাথে পাকিস্তানে। এত কিছুর পরও সত্য প্রকাশ থেকে কেন বিরত, মোটিভ পরিষ্কার নয়।
এবার আসল কথা। নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ১৩ জুলাই একটি বাংলা পত্রিকার খবর নজর কেড়েছে। ‘বিশ দলে নানা শঙ্কা। বদরুদ্দোজা, রব, সিদ্দিকী চাইছেন জামায়াত মাইনাস। ড. কামাল নীরব।’ আমার আশঙ্কা, ড. বদরুদ্দোজারাও খোয়াব দেখছেন। হাইকমান্ডের হাতে আবারো অবৈধ ক্ষমতা তুলে দিতেই যেন প্লাস-মাইনাসের দোকান খুলে বসেছেন। অথচ ৫ জানুয়ারির এরশাদ একটি জীবন্ত বিভীষণ এবং প্রমাণিত সুবিধাবাদী। তাকে ছাড়া কিসের প্লাস-মাইনাস? অথচ এটাই চাইছেন হাইকমান্ড। ড. চৌধুরীরা জানেন, লোম বাছতে বাছতে জোটের কম্বল শেষ। এটাও জানেন, এখন একমাত্র শত্র“হীন দেশের রাষ্ট্্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। পাঁচটি ভেটোশক্তিই তাদের ২০৪১ পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখতে একমত। একমাত্র বাংলাদেশেরই কেন শত্র“ নেই, সমষ্টিগত আলোচনায় বসুন। অন্যথায় প্লাস-মাইনাসের হিসাব- রাবিশ।
প্লাস-মাইনাসের হিসাব বুঝলে পাঁচ বছর আগেই কলাম লেখা বন্ধ করতে পারতাম। কারণ, ১০ হাজার মাইল দূরে বসে কাজটি প্রায় অসম্ভব। তারপরও হিমালয় টেনে চলেছি।
এসব বলার কারণ, না জেনে বলার অভ্যাস নেই। প্রতিদিন এক ঘণ্টা ভারতীয় টেলিভিশনে নিউজ দেখি। আমেরিকান মিডিয়ায় ট্রাম্পপন্থী এবং বিরোধীপন্থীদের খবর ছাড়াও স্টকমার্কেট দেখা রুটিন। বিবিসি, ফ্রান্স টিভি... কোনোটাই বাদ দেই না। গাড়িতেই আমার অফিস। সেখানে পাবলিক ওপিনিয়ন রেডিওকেই প্রাধান্য দেই। এতে আপটুডেট থাকি। বলছি, প্লাস-মাইনাস করে ফায়দা হবে না। ‘মোদিমুক্ত ভারত’ আন্দোলনে দলিত, পতিত, ব্রাহ্মণ সব এক মঞ্চে। এরাই অতীতে একে অপরের শত্রু। সবচেয়ে বড় খবর, দলিত নেতার মঞ্চে সোনিয়া গান্ধী! কিছু দিন আগেও নাক উঁচু কংগ্রেস তা কল্পনাও করত না। মোদি সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে তৃতীয় জোটের নেতৃত্বে মমতার অভাবনীয় সাফল্য। ইতোমধ্যে অনেককেই বিজেপি-ছাড়া করেছেন।
থাইল্যান্ডের গুহা থেকে ১৩ জনকে উদ্ধার করা গেছে। প্লাস-মাইনাস বাদ না দিলে যে গুহায় বিএনপি, সবার স্থান একদিন সেখানেই হবে। সুতরাং, সবাই একসাথে এখনই রাস্তায় নামুন। অন্যথায় তফসিল ঘোষণা করে হঠাৎ নির্বাচন দিয়ে আরো পাঁচ বছরের জন্য ভোগান্তি নিশ্চিত করল বলে।
ই-মেইল : [email protected]
ফেসবুক : minafarahfacebook
ওয়েবসাইট : www.minafarah.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা