০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১, ১ শাবান ১৪৪৬
`

গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী ইসলামী রাজনীতি

ড. এ কে এম মাকসুদুল হক - ছবি : নয়া দিগন্ত

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের সাথে ইসলামী রাজনীতির গভীরতর সংযোগ রয়েছে। দেশের আপামর মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার অন্যতম শক্তি হিসেবে কাজ করেছে দেশের ইসলামী রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দলসমূহ। পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার ২০০৯ সালে দৃশ্যত সুষ্ঠু নির্বাচনে (জেনারেল মইনউদ্দিন এবং ভারতের যৌথ সূ² কারচুপির নির্বাচন) বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসে এর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কৌশল হিসেবে দেশের প্রধানতম ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতকে নিশানা করে। তারা ২০০৯ সাল থেকে জামায়াত-শিবিরকে কোণঠাসা করা শুরু করে। এর চূড়ান্ত পর্যায় আসে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে জামায়াতকে নিষিদ্ধের মাধ্যমে।

জামায়াতের শীর্ষ ছয় নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচারিক হত্যা করা হয়। আরো দু’জন শীর্ষ নেতাকে কারাম্ভরীণ করে হত্যা করা হয়। আর সারা দেশে শিবির ও জামায়াতের বহু নেতাকে প্রকাশ্যে বা গোপনে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় অথবা গুম করে খুন করা হয়। তাদের সব কার্যালয় ১৫ বছর তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। দলীয় নিবন্ধন বাতিল করা হয়। তাদের যৌথ বা ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ জবর-দখল করা হয় অথবা বন্ধ করে দেয়া হয়। ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ যাকে-তাকে খুশি ধরে শিবির-জামায়াত ট্যাগ দিয়ে আটক করে মারধর করার পর পুলিশে সোপর্দ করতে থাকে। কেন্দ্রীয় নেতাদের আটক করে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার করা হয়। তাদের হাতে ইসলামী বই, ককটেল, ধারালো অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে ছবি তুলে নাশকতার পরিকল্পনার দায়ে আটক বলে প্রচার করা হয়। ফ্যাসিবাদের দোসর মিডিয়াগুলো সেসব একতরফা বয়ান প্রচার করে জামায়াত-শিবির নির্যাতনের প্রক্রিয়াকে অন্ধভাবে সহযোগিতা করতে থাকে।

এ অবস্থায় বিএনপি জামায়াতের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। অবস্থা এতটা সঙ্গিন ছিল যে, বিএনপিও দিশেহারা হয়ে পড়ে। এই জোটে ভাঙনপ্রক্রিয়া প্রকৃত অর্থে আওয়ামী সরকার ও ভারতের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফসল ছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে ‘জামায়াত-বিএনপি’ জোটের বিপুল বিজয়ের পর থেকে আওয়ামী গোষ্ঠী এবং তাদের দোসর ভারতের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল ‘জামায়াত-বিএনপি’কে বিচ্ছিন্ন করা। কারণ, তারা বুঝতে পেরেছিল এ জোটই বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক শক্তি। ভারতের আনুকূল্য পাওয়ার একমাত্র পথ হলো ‘জামায়াত’ থেকে দূরে সরে দাঁড়ানো। তাই সরাসরি না হলেও দল দুটোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়েছিল যে, বাংলাদেশে ক্ষমতায় যেতে বা থাকতে হলে ভারতের সহানুভূতি প্রয়োজন।

অন্যদিকে জামায়াত থেকে দূরে সরে গেলে পাশ্চাত্য শক্তিও খুশি থাকবে। ফলে স্বৈরাচারের জন্য জামায়াতকে রাজপথে দুর্বল করে দেয়া সহজ হয়ে উঠছিল। জামায়াত কোণঠাসা হয়ে যাওয়ার পর হাসিনা ‘বিএনপি’কে টার্গেট করে। শুরু হয় বিএনপির ওপর ভয়াবহ নির্যাতন। বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতাকে কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচারিক হত্যা করা হয়। সেই সাথে দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চরম নির্যাতন চালানো হয়। নির্বিচারে তাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়। নেতাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য সাজানো মামলা দিয়ে পুরো ১৫ বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরাতে থাকে।

একই সাথে স্বৈরাচার হাসিনা অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দলকে নির্যাতনের আওতায় নিয়ে আসে। প্রথমে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে শক্তিশালী অরাজনৈতিক সংগঠন ‘হেফাজতে ইসলাম’কে লক্ষ্যবস্তু বানায়। তাদের ২০১৩ সালের ৫ মে তারিখে শাপলা চত্বরে বিশাল সমাবেশ করার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু রাতের আঁধারে লাখ লাখ নিরস্ত্র আলেম-ওলামা ও মাদরাসা ছাত্রদের ওপর গুলি চালায়। বহু মানুষ হত্যা করে রাতের আঁধারে লাশ গুম করা হয়। পরবর্তীতে দেশব্যাপী মাদরাসাসমূহের ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ‘হেফাজতে ইসলাম’কে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। কিন্তু হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক সরকারবিরোধী শক্ত অবস্থান গ্রহণ করলে তাকেও অপবাদ ও মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখা হয়। এছাড়া অন্যান্য বিভিন্ন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা এবং স্কলারদের এক এক করে টার্গেট করতে থাকে। ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের কাউকে গুম, কাউকে আটক এবং কাউকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে ইসলামী শক্তিকে পুরোপুরি নীরব করে রাখার অপচেষ্টা করতে থাকে। এ সময় বহু ইসলামী ব্যক্তিত্ব গুমের শিকার হন। তাদের ধরে ধরে ‘জঙ্গিবাদের’ কল্পিত নেরেটিভ দিয়ে কারারুদ্ধ করা হয় অথবা গুম করে আয়নাঘরে রাখা হয়। এ প্রক্রিয়া ছিল মূলত ভারতীয় প্রেসক্রিপশন। ভারতের নিরাপত্তা নীতির অন্যতম উপাদান হলো বাংলাদেশের ইসলামী শক্তিকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা। আওয়ামী সরকারের মাধ্যমে ভারত এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করে। একদিকে বাংলাদেশে ইসলামী শক্তি দুর্বল করে দেয়; অন্যদিকে ভারতের সব চাওয়া-পাওয়া মিটাতে থাকে। সুতরাং গত ১৫ বছর ভারতীয় ক‚টনীতি এবং আওয়ামী রাজনীতির নিউক্লিয়াস ছিল বাংলাদেশের ইসলামী রাজনৈতিক শক্তিকে খতম করা।
আওয়ামী লীগের জন্য দুর্ভাগ্য ইসলামবিরোধী রাজনীতি তাদের পতনের সিঁড়ি তৈরি করে দিয়েছে। উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তারা দেশে একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল। সাধারণ মানুষ পতিত স্বৈরাচারের এ নির্যাতন প্রক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ হয়। অন্যায়ভাবে ইসলামী দল এবং বরেণ্য ইসলামী ব্যক্তিত্বদের ওপর জুলুম-নির্যাতনে দেশের আপামর জনতা ফুঁসে উঠতে থাকে। সাধারণ মানুষ এ সরকারের পতনে অধীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষায় ছিল।

চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সরকার পতনের একটি সুযোগ উন্মোচিত হয়। দলমত নির্বিশেষে সবাই এক পর্যায়ে এ আন্দোলনে শরিক হন। ছাত্ররা আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। পিছন থেকে ‘বিএনপি-জামায়াত’সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে থাকে। ইসলামী ছাত্রশিবির আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে মিশে যায়। তারা বুদ্ধিবৃত্তিক এবং রাজপথের কার্যকলাপে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে। জামায়াতসহ সব ইসলামী দল, মাদরাসা ছাত্রসহ ইসলামপ্রিয় জনতা সর্বাত্মক আন্দোলনে নামে। ফলে সহজে সরকারের পতন ঘটে।

এই অভ্যুত্থানে দেশের আপামর ছাত্র-জনতা অবদান রেখেছেন। কারো অবদান বড় বা খাটো করার সুযোগ নেই। এ কথা সত্য যে, ইসলামপন্থী জনতা চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন মাঠ ছাড়া হয়ে পড়েছিল। তবে তারা ভিতরে ভিতরে নীরবে সরকারবিরোধী জনমত গড়ে তোলা অব্যাহত রাখে। আর ‘বিএনপি’কে হাসিনা রাজনীতির মাঠে সরব থাকার সুযোগ দিলেও নিয়ন্ত্রণে রেখেছে চরম নির্যাতনের মাধ্যমে।

৫ আগস্ট সরকার পতনপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ক্ষণ থেকে দেখা যায় ইসলামী রাজনীতি নতুন এক অধ্যায় শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মিটিংয়ের পর সেনাপ্রধান প্রথমে জামায়াতের নাম নিলেন। দেশবাসী বুঝে নিলো দেশের রাজনৈতিক ময়দানে ইসলামী রাজনীতি প্রাসঙ্গিক হতে চলছে। সেই সাথে সদ্য কারামুক্ত মাওলানা মামুনুল হককেও সেই সভায় দেখা গেল। এরপর বঙ্গভবনে অন্যান্য সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইসলামী দলসমূহের নেতারাও সমবেত হন। এরপর জামায়াতের আমির ডা: শফিকুর রহমান, খেলাফত মজলিশ নেতা মাওলানা মামুনুল হক, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মুফতি রেজাউল করীম প্রমুখকে সারা দেশ চষে বেড়াতে দেখা যায়। তাদের সমাবেশসমূহে বিপুল মানুষের সমাগম ঘটতে থাকে। বিশেষ করে জামায়াতের আমিরের দৃপ্ত পদচারণা দেশব্যাপী মানুষকে আগ্রহী করে তোলে। তার বক্তব্য গণমানুষকে মুগ্ধ করে। দেশের মানুষ জামায়াতকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে।

গত সাড়ে ১৫ বছর মানুষকে জামায়াতের কথা শুনতে দেয়া হয়নি। দলান্ধ সব মিডিয়া জামায়াতের ইতিবাচক সংবাদ সব সময় বর্জন করেছে। শুধু সরকারের একতরফা নেতিবাচক বয়ান প্রচার করেছে জামায়াতের বিরুদ্ধে। কিন্তু জামায়াত আমিরের সোজাসাপটা বক্তব্য, দুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ, মন্দির-গির্জা পরিদর্শনের ছবি ও কার্যকলাপ মিডিয়ায় বর্তমানে কাভারেজ পাচ্ছে। এতে মানুষ জামায়াতকে বোঝার সুযোগ পাচ্ছে। এতদিনের জামায়াতের বিরুদ্ধে সরকার এবং মিডিয়ার তৈরি কল্পিত ভয়ঙ্কর জঙ্গি মুখোশ খসে পড়েছে। অবশ্য জামায়াত আমিরের কিছু বক্তব্য অনেকের কাছে সেভাবে সমাদৃত হয়নি। এটা হতে পারে- কোনো মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নন। তবে অভ্যুত্থানের পরপর জামায়াত-শিবিরের ভূমিকা একটি ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। কোনো চাঁদাবাজি, দখলদারি, প্রতিশোধের আগুন জ্বালানো ইত্যাদি না করে বরং মন্দির পাহারা, ত্রাণ বিতরণ, রাতে পাড়ায় পাড়ায় পাহারা, দিনে রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজে তাদের সম্পৃক্ততা মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে।

সেই সাথে ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ ও অন্যান্য ইসলামী দলসমূহ রাজনীতির ময়দানে যথেষ্ট সরব রয়েছে। ইতোমধ্যে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের প্রচেষ্টা চলছে। সম্প্রতি জামায়াতের আমির চরমোনাই সফর করেন। ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের সাথে সেখানে জামায়াত নেতাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দেখা গেছে। বিষয়টি বিএনপি নেতাদের দৃষ্টি এড়ায়নি। এরপর বিএনপিকেও দেখা গেছে ইসলামী আন্দোলন এবং খেলাফত মজলিশের নেতাদের সাথে বৈঠক করতে। তবে জামায়াতের সাথে ইসলামী আন্দোলনের একসাথে হওয়ার সংবাদ দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। চূড়ান্তভাবে এ ঐক্যপ্রক্রিয়া কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা দেখতে আরো অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। পরিপক্ব কাঠামোর ওপর দাঁড়ানো জামায়াতের মতো একটি দলের সাথে পীর-মাশায়েখ নির্ভর দলের খাপ খাওয়ানো একটু কঠিন বৈকি। সাধারণত ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলের সিদ্ধান্তে প্রয়োজনীয় পরিপক্বতার অভাব থাকে। অনেক সময় তারা আবেগ দ্বারা প্রভাবিত হন। তাদের চাওয়া-পাওয়ার জটিল হিসাব থাকে। বিগত সময়ে কিছু ক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলন আওয়ামী লীগের সঙ্গী হিসাবে দেখা গেছে। তবে ২০২৩ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে মার খাওয়ার পর তাদের বোধোদয় ঘটে। কাজেই নতুন এই ঐক্যপ্রক্রিয়ায় দুই দলকেই বুঝে-শুনে এগোতে হবে। অন্যথায় ঐক্য করে পরে ভাঙনে পুরো ইসলামী রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বর্তমান জটিল সমীকরণের রাজনীতিতে জামায়াতের নেতাকর্মীদের আরো দূরদর্শী হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে হয়। সফল হতে হলে তাদের আবেগের চেয়ে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। ইসলামী রাজনীতির ব্যাকরণ এত সহজ নয়! রাসূল সা:-এর জীবনে ঝড়-ঝঞ্ঝা সমানভাবে এসেছে। বদরে জয় লাভ করে ওহুদে চরম বিপর্যস্ত হয়েছেন। খন্দকের চরম বিপর্যয়ের সময় আল্লাহর সাহায্যে বিপদমুক্ত হয়েছেন। ‘মুতার’ যুদ্ধে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটলেও ‘তাবুকে’ শত্রুবাহিনী ময়দানে আসতেই সাহস করেনি। আবার মক্কায় সহজে পদানত হয়েছে শত্রুরা। কিন্তু এর পরপর হুনায়ুনে সমূহ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তায়েফ অবরোধ করেও ফিরে আসতে হয়েছে। আর মাদানি যুগকে বিজয় যুগ বলা হলেও ১০ বছরের এই সময়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হত্যাযজ্ঞের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

তিউনিসিয়ায়ও মাত্র দুই বছর ইসলামী দল ‘আননাহদাহ’ ক্ষমতায় টিকতে পেরেছিল। নব্বইয়ের দশকে আলজেরিয়ায় নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়েও ইসলামী দল ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বাংলাদেশও এই ধারাবাহিকতার বাইরে নয়। এখানে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী প্রতিবেশী ভারত এ দেশের ইসলামী সরকার সহ্য করতে পারবে না। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়াসহ অন্যান্য প্রভাবশালী পক্ষের সাথে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোকে কাজ করার মতো সম্পর্ক ও সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। ইসলামী দলগুলো যে উদার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সেটা সবার কাছে স্পষ্ট হতে হবে।

লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
Email: [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়েছে জানুয়ারিতে জামদানি শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে : শেখ বশির উদ্দীন ট্রাম্পের সহায়তা বন্ধে চীনের দিকে ঝুঁকতে পারে বাংলাদেশ চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্পে কচ্ছপ গতি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার পর্দা নামল চট্টগ্রামে ছাত্রলীগকর্মীকে ছাড়িয়ে নিলেন যুবদল নেতা আ’লীগ সরকারের সময় চট্টগ্রামে খাল খননের নামে লুটপাট হয়েছে : উপদেষ্টা আদিলুর আ’ লীগের বিচারের দাবিতে সারা দেশে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েও বহাল তবিয়তে ইফার কর্মকর্তা মহিউদ্দিন রাশিয়ার যুদ্ধে ১০ বাংলাদেশীকে বিক্রি করেছেন আ’লীগ নেতা ‘আল্লাহ প্রদত্ত আদেশ নিষেধ মেনে চললে সুখী সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব’

সকল