দেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের রূপরেখা
- ড. মো: মিজানুর রহমান
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১৩
বাংলাদেশে ১৯৮৩ সালে প্রথম ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের সংখ্যা ১০টিতে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়াও ৩৪টি প্রচলিত ব্যাংক বিভিন্নভাবে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে। রয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি ইসলামী ব্যাংকিং মানবসম্পদ। বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাতের প্রায় সমস্ত ফ্যাক্টরের অংশীদারিত্ব ২৫ শতাংশ এবং বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১৪ শতাংশ। সম্পদের দিক থেকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংকিং র্যাংকিংয়ে ১১তম। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার দীর্ঘদিনের সফলতার পরও গত ক’বছরে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো ঋণজালিয়াতি, তারল্য ঘাটতি এবং আমানত তছরুপের ঘটনায় দেশবাসী শঙ্কিত। অথচ ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা আল্লাহ প্রদত্ত এবং রাসূল সা: তাঁর মদিনা রাষ্ট্রে প্রয়োগকৃত ইসলামী অর্থনীতির একটি প্রায়োগিক ব্যবস্থা। তবুও বাংলাদেশে এই ব্যবস্থা কেন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এবং তা মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার রূপরেখা
ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার অনেক সফলতা থাকলেও কাক্সিক্ষত সফলতা এখনো অনেক দূরে। এর কারণ হয়তো, মানুষের মনগড়া মতবাদের ভিত্তিতে তৈরি ও বিশ্বব্যাপী প্রচলিত অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে নিহিত। ফলে গত কয় দশকে পৃথিবীতে সক্ষমতার বিকাশ ঘটলেও তা জনস্বার্থে তেমন কাজে আসেনি। সম্পদ মুষ্টিমেয়র হাতে কুক্ষিগত হচ্ছে। ধনিক গোষ্ঠীর সম্পদে প্রবৃদ্ধি, চোরাই সম্পদ বৃদ্ধি, বৈষম্য বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য-শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ দশা ও পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে উদ্বাস্তু সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনীতির প্রায় সব সেক্টর পুঁজিপতিরা গিলে ফেলে মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত এবং গরিবদের রাস্তায় ঠেলে দিচ্ছে। বিগত সরকারের মেয়াদে দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলোর নামে-বেনামে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঋণ দেয়া, অর্থ তছরুপ, তারল্য সঙ্কট, অংশীদারিত্বের ব্যবসায় না করা, শরিয়াহ পরিপালন না করা, নির্ধারিত হারে মুনাফা নেয়া, লোকসানের ভাগ না নেয়া ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। অথচ ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিশ্বে এখনো এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা সফল।
ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা পুরোপুরি ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার সাথে সম্পর্কিত। এই মূলনীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশে প্রথম ইসলামী ব্যাংক সৃষ্ট হলেও পরবর্তীতে সৃষ্ট ব্যাংকগুলো যেন প্রথম ব্যাংকটির সফলতা এবং ইসলামী ব্যাংকের জন্য দেয়া রেগুলেটরি সুবিধা, যেমন আইডিআর, এসএলআর, সিআরআর সুবিধাসহ ৯০ শতাংশ মুসলমানের আবেগকে পুঁজি করেই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সৃষ্ট। ওই ব্যাংকগুলোর মালিকদের অনেকেরই ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার বালাই নেই। ফলে প্রচলিত ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকিং ব্রাঞ্চ ও উইন্ডো পরিচালনা করা ব্যাংক মালিকদের কেবল শরিয়াহ অনুসরণে অনাগ্রহ নয়, এমনকি সুদের ব্যাপারেও কোনো ভীতি সৃষ্টি হয়নি। কারণ তাদের মূল ব্যাংক তো সুদের ভিত্তিতেই পরিচালিত। সুতরাং ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার সময় উদ্যোক্তাদের ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার বিষয়ে নজর দিতে হবে। প্রচলিত ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডো এবং ব্রাঞ্চ খোলার অনুমতি না দেয়াই হবে শ্রেয়।
ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূরীকরণের ব্যবস্থা। অথচ বাংলাদেশে এই ব্যাংক অলিগার্ক সৃষ্টি করেছে মূলত দেশের ব্যাংকিং আইনের দুর্বলতার জন্যই। দেশের ব্যাংকিং আইনে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকার কথা বলা হয়েছে। ফলে অবৈধ টাকার মালিক ও রাজনৈতিক মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা শেয়ার অধিগ্রহণের মাধ্যমে রাতারাতি ব্যাংকের মালিক বনে যায়। মালিকানা লাভের পর তারা ওই ব্যাংকগুলোকে শুধু আমানত সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করে এবং ব্যাংক মালিকসহ মুষ্টিমেয় কিছু ধনিক শ্রেণীর হাতে সব সম্পদ তুলে দেয়। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের পুঁজি না দিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় ঋণ এবং অযোগ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিশাল অঙ্কের আর্থিক সুবিধা দেয়ার কারণে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
১৯৮৩ সালে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং চালু হলেও তার প্রায় ৩০ বছর পরে ২০১১ সালে জারি করা ইসলামী ব্যাংকিং গাইডলাইন; যে গাইডলাইন এখন সেকেলে বিবেচিত হচ্ছে। ইতঃপূর্বে বহুবার ইসলামী ব্যাংকিং আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে খসড়া ইসলামী ব্যাংকিং আইন-২০২৪ প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে প্রচলিত ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত উইন্ডো ও শাখাভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবা বন্ধের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়াও বৈশ্বিক ইসলামী ব্যাংকিং প্র্যাকটিসের সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামী ব্যাংক খাতে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকিং আইন প্রণয়ন করতে হবে যেন দেশে সত্যিকারের ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা কার্যকরী হয়।
বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এ খাতে ইসলামী অর্থায়নের যথেষ্ট গুরুত্ব থাকলেও যথাযথ তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডেডিকেটেড কোনো বিভাগ নেই। ফলে কাঠামোগত গুরুত্বের অভাবে ইসলামী ব্যাংক খাত অনেকাংশে উপেক্ষিত ও অবিভাবক শূন্য থাকায় বিগত সরকারের আমলে এই খাতে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। এই খাতের নিয়মতান্ত্রিক তদারকি ও নিবিড় তত্ত্বাবধানের জন্য পর্যাপ্ত রিসোর্স ও অভিজ্ঞ জনবলসহ একজন ডেপুটি গভর্নর বা সমমর্যাদার কর্মকর্তার অধীনে ডেডিকেটেড ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগ চালু করতে হবে; যা বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকিং ইসলামী অর্থনীতি কায়েমের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে; কাজ করছে শরিয়াহর অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য। অথচ এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার ৪০ বছর পরেও অর্থনীতির অন্য পর্যায়ে যেমন মানিমার্কেট, পুঁজিবাজার, বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইসলামী বিধান প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। বিনিয়োগের সব পর্যায়ে ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করা, মালামাল গ্রাহককে বুঝিয়ে দেয়া কঠিন হচ্ছে। অনেক শরিয়াহ নীতি চালু থাকলেও বাস্তবায়ন কম। ফলে ব্যাপকভাবে শরিয়াহ লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে জানা যায়। এ জন্য ইসলামী ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি ইসলামী মুদ্রাবাজার, পুঁজিবাজার, লিজিং, বন্ড ও ইনস্যুরেন্স চালু করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার অন্যতম প্রোডাক্ট অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসায়, যেমন মুশারাকা এবং মুদারাবা ব্যবসা। সুতরাং অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যাংকিং ইসলামের মূল লক্ষ। তবে পরবর্তীতে আবিষ্কৃত বাই মোড যা হাইব্রিড মোড হিসেবে বিবেচিত, তাও আল্লাহর কুরআনের আলোকে সৃষ্ট, সুতরাং শরিয়াহ অনুসৃত। তবে, এই ক্রয়-বিক্রয় মোডে সহজেই শরিয়াহর খেলাপ সম্ভব। এ ছাড়া এই বাই মোডের সাথে প্রচলিত ব্যাংকের সুদভিত্তিক মোডের পার্থক্য তেমন দৃশ্যমান নয়। ফলে ব্যাংক গ্রাহকদের কাছে দু’টি ধারার ব্যাংকের ব্যবসায় একই রকম মনে হয় যা ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রতি গ্রাহকদের আস্থার সঙ্কট সৃষ্টি করছে। ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার মৌলিকত্ব রক্ষা করতে হলে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যাংকিং বাড়াতে হবে এবং অন্য মোডও পুরোপুরি সুদমুক্ত রাখতে হবে।
একটি ফলপ্রসূ আর্থ-সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণে মানুষের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে, ইসলামী ব্যাংকগুলোকে তা পালন করতে হবে। তবে এই পদক্ষেপ হতে হবে বাস্তবসম্মত, যেন দরিদ্র মুসলিম জনগোষ্ঠী তাদের কৃষিক্ষেত, শিল্প-কারখানা, ওয়ার্কশপ সর্বত্র এর প্রভাব স্পষ্টরূপে উপলব্ধি করতে পারে।
বাংলাদেশে বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক খাতে ৫০ হাজারেরও বেশি জনবল কাজ করছে; চাহিদা আরো বেড়েই চলেছে। সুতরাং এ খাতে আরো মানবসম্পদ সৃষ্টির জন্য দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে; কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যায়গুলোতে ইসলামী ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স বিষয় কোর্স বা ডিগ্রি চালু করতে হবে। এই সেক্টরে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স বিষয়ের গ্র্যাজুয়েটদের অগ্রাধিকার দেয়া হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বাধ্য হয়েই এ সংক্রান্ত কোর্স চালু করবে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার ইনসিয়েফ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আওফি, আইএফএসবি, ইসরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সার্টিফিকেশন কোর্সগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। ইসলামী ব্যাংকিং লিটারেসি উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি), সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ (সিএসবিআইবি) এবং ইসলামিক ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরামসহ (আইবিসিএফ) বিভিন্ন সংগঠন যৌথভাবে কাজ করতে পারে।
ইসলামী ব্যাংক ইসলামী অনুশাসনের আলোকে পরিচালিত। সুতরাং এই ব্যাংক ইসলামী অনুশাসন মেনে চলে এমন মুসলমান কর্মীদের হাতে পরিচালিত হবে, এটিই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে ভিন্ন ধর্মের মানবসম্পদ নিয়োগ না করা সাম্প্রদায়িকতা নয় বরং বাস্তবতা।
ইসলামী ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্য কেবল মুনাফা অর্জন নয়; বরং আর্থিক খাতে কল্যাণ ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার মাধ্যমে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো। এর জন্য এই খাতের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা ও আস্থা বৃদ্ধির জন্য সব পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও দায়িত্ব অনেক বেশি। সামাজিক মাধ্যমে এ খাত নিয়ে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নলেজ-শেয়ারিং ও ডায়ালগ প্রোগ্রাম আয়োজন করতে হবে। এ খাতের টেকসই উন্নয়ন ও শক্তিশালী রেগুলেটরি কাঠোমোর জন্য ব্যাংক খাত, ক্যাপিটাল মার্কেট, বীমা খাত এবং সংশ্লিষ্ট রেগুলেটরদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে রেগুলেটরি কাঠামো সুসংহত করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে স্বতন্ত্র টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংকগুলো যেহেতু মুদারাবা নীতির ভিত্তিতে আমানত সংগ্রহ করে সেহেতু এসব ব্যাংকের ৯০ শতাংশ সম্পদের মালিকানা ডিপোজিটরদের। এ বিষয়টি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হওয়ার জন্য ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের বিদ্যমান আইনটি বাতিল করে তথাকথিত মালিক প্রথার অবসান ঘটাতে হবে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ডিপোজিটর, শেয়ারহোল্ডার এবং পেশাদার ব্যাংকারদের প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। এই ব্যাংকগুলোর পরিচালক নিয়োগে ব্যক্তির সততা, ন্যায়পরায়ণতা, ইসলামী অনুশাসন ও শরিয়াহ ব্যাংকিংয়ের প্রতি কমিটমেন্টকে প্রাধান্য দিতে হবে। ব্যাংকিং খাতের অর্থ তছরুপ ও বিদেশে পাচার রাজনৈতিক প্রভাবেই হয়েছে। সুতরাং ব্যাংকগুলোর প্রতি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের মানুষ ও অর্থনীতি ভুল নেতৃত্বের দ্বারা বারবার প্রতারিত হয়েছে। বিগত পতিত সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ইসলামী ব্যাংকিং সেক্টরকে বিপদগ্রস্ত করে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ছত্রছায়ায় অলিগার্কদের লুটপাটের সুযোগ করে দেয়। এখন সময় এসেছে এ খাতে মনোযোগ দেয়ার। এ জন্য যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের অধীনে আধুনিক আইনি কাঠামো, কেন্দ্রীয় শরিয়াহ বোর্ড, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স বিষয়ে ডিগ্রি প্রদান এবং এ খাত সংশ্লিষ্টদের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের প্রয়োজন ও আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করুক, এমনটিই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
লেখক : অর্থনীতিবিদ
ই-মেল : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা