২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আগামীর পরাশক্তি ও বাংলাদেশ

- প্রতীকী ছবি

লেখক, কলামিস্ট মিনা ফারাহ। একসময় নয়া দিগন্তে নিয়মিত উপসম্পাদকীয় কলাম লিখতেন। পতিত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তার শাণিত যুক্তিনির্ভর কঠোর সমালোচনা তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। এখনো অনেক পাঠক তাকে মনে রেখেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে দেশে ফিরে এক ফাঁকে এসেছিলেন নয়া দিগন্ত অফিসেও। অনেক স্মৃতিচারণ করলেন। বললেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার চাওয়া-পাওয়ার নানা বিষয় নিয়ে। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের রুমে বসে তার কথা শুনছিলাম। বলছিলেন, প্রযুক্তিনির্ভর নতুন শিল্পোদ্যোগের কথা। এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বশেষ প্রযুক্তি পণ্যের দিকে মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজনের কথা। সেই পণ্য হলো সেমাই-কন্ডাক্টর (এটি আমেরিকান উচ্চারণ, যেটিকে ব্রিটিশ উচ্চারণে আমরা বলি সেমি কন্ডাক্টর) বা চিপ। বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত সব ধরনের ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের প্রাণ এই চিপ। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চিপ নির্মাণ শিল্পে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, জাপানের মতো দেশ কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেই দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে মিনা ফারাহ বলেন, আমাদের গার্মেন্ট শিল্প থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি গার্মেন্ট কারখানা তুলে দিয়ে সেখানে চিপ ফেব (চিপ কারখানাকে ফেব্রিকেশন প্লান্ট বা সংক্ষেপে ফেব বলে) স্থাপন করতে হবে। তার মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নতুন এ শিল্পের সম্ভাবনা বোঝাতে পারলে এবং তার প্রভাব কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশে নতুন শিল্প বিপ্লব ঘটানো সম্ভব।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে অনেকের দ্বিধা আছে। ‘আমেরিকা যার বন্ধু তার কোনো শত্রুর দরকার নেই’ এমন আওয়াজ প্রায়ই শোনা যায়। মহল বিশেষের স্লোগানটি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যবহার করার চেষ্টা আমরা দেখেছি পতিত সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকেও। বলা হয়েছিল, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে রাজি হলে তার সরকার টিকে যেত। এ বিষয়ে মিনা ফারাহ দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও অন্য কিছু দেশের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা থাকায় দেশগুলো কি স্বাধীনতা হারিয়েছে? বিষয়টি গুরুতর রাজনৈতিক তর্ক ডেকে আনার মতো। আমাদের আজকের প্রসঙ্গ সেটি নয়।

আমরা গত সপ্তাহে এ কলামে বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তি পণ্যের বিষয়ে বলেছি। লিখেছি চীন-যুক্তরাষ্ট্র চিপ যুদ্ধ নিয়ে। এ যুদ্ধ নিছক প্রযুক্তি অর্জনের যুদ্ধ নয়। এটি মূলত শক্তিমত্তায় সেরা হয়ে ওঠার লড়াই। কারণ প্রযুক্তিগত দিক থেকে যে দেশ এগিয়ে থাকবে সে-ই হবে আগামীর সুপার পাওয়ার। কিন্তু লেখাটি আমরা শেষ করেছি বিশ্বে নতুন পরাশক্তির উত্থানের প্রসঙ্গ তুলে। বলেছি, কোনো একক বা একাধিক দেশ নয়, আগামীর পরাশক্তি হয়ে উঠতে পারে ভিন্ন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সত্তা বা ভিন্ন অস্তিত্ব। আজ সে বিষয়ে কিছু কথা।
ভ‚রাজনীতির বর্তমান গতি-প্রকৃতির বিচার-বিশ্লেষণ, গবেষণা, রাজনৈতিক সুলুক সন্ধান বিশ্বজুড়ে চলছে নিরন্তর। শত শত থিংকট্যাংকের সহস্র গবেষক পণ্ডিত গলদঘর্ম হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তাদের গবেষণার ফল, উদঘাটনসহ সুচিন্তিত উপসংহার আগের লেখায় মোটামুটি বলা হয়েছে। আজ একজন ব্যতিক্রমী গবেষকের ভিন্নতর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস তুলে ধরব।

এই গবেষক হলেন প্রফেসর ইয়ান আর্থার ব্রেমার। তিনি আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, লেখক ও উদ্যোক্তা। বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে পড়িয়েছেন গ্লোবাল রিসার্চ এবং ফলিত ভূরাজনীতি (জিও-পলিটিক্স) বিষয়ে। এখন বৈশ্বিক রাজনৈতিক ঝুঁকি বিষয়ে কাজ করছেন। গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইউরেশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা। বিশ্বে প্রযুক্তিশিল্প ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ ও সম্ভাব্য ভূমিকা বিষয়ে ইয়ানের অন্তর্দৃষ্টি কৌতূহলোদ্দীপক। অনেকে তার বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

ব্রেমার বৈশ্বিক নানা বিষয়ে ১১টি বই লিখেছেন। যার মধ্যে একাধিক বেস্ট সেলার আছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই : ‘দ্য জে কার্ভ : অ্যা নিউ ওয়ে টু আন্ডারস্ট্যান্ড হোয়াই নেশন্স রাইজ অ্যান্ড ফল’ (The J Curve: A New Way to Understand Why Nations Rise and Fall.), ‘সুপার পাওয়ার : থ্রি চয়েসেস অব আমেরিকাস রোল ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’
(Three Choices for America's Role in the World), ‘দ্য পাওয়ার ক্রাইসিস : হাউ থ্রি থ্রেটস-অ্যান্ড আওয়ার রেসপন্স-উইল চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’ (The Power of Crisis : How Three Threats--And Our Response--Will Change The World.)। ‘আমরা এবং ওরা, গ্লোবালিজমের ব্যর্থতা’ তার আলোচিত বই।

প্রতিটি বইয়ে ব্রেমারের বক্তব্যের অভিনবত্ব ও চমৎকারিত্ব অনুসন্ধিৎসু পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বইগুলোর ওপর আলাদা করে বলার সুযোগ এখানে নেই। আমরা বরং পরাশক্তি বিষয়ক তার আলোচনায় আগ্রহী। ইয়ান ব্রেমার বলছেন, আগামী বিশ্বে কোনো দেশ পরাশক্তি হবে না; বরং পরাশক্তি হয়ে উঠবে বিশাল বিশাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বা টেক জায়ান্টস। কোনো পরিপ্রেক্ষিত সামনে রেখে ব্রেমার এমন সিদ্ধান্তমূলক উপসংহার টানছেন?

বিশ্বে ক্ষমতা ও প্রভাব রূপান্তরের তিনটি মূল চালিকাশক্তি চিহ্নিত করেছেন ব্রেমার। সেগুলো হলো :
১. রাশিয়ার পতনে ভ‚রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বিশ্বে অস্থিতিশীলতার অনুভ‚তি সৃষ্টি।
২. চীনের উত্থান ও স্বতন্ত্র পরিচয় ধরে রাখায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে অস্বস্তি। এবং
৩. বিশ্বায়নের কারণে ধনী গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নাগরিকদের মনে সৃষ্ট পিছিয়ে পড়ার অনুভূতি।

ব্রেমারের মতে, বিশ্বব্যাপী বর্তমান ভ‚রাজনৈতিক উত্তেজনার ৯০ শতাংশের জন্য দায়ী এই তিন বিষয়। এর সাথে তিনি বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা বা ওয়ার্ল্ড অর্ডারের ধারণা পাল্টানোর প্রস্তাব করেন। দাবি করেন যে, বিশ্ব এখন তিনটি স্বতন্ত্র ওয়ার্ল্ড অর্ডারে চিহ্নিত একটি পর্যায়ে প্রবেশ করেছে :
১. সিকিউরিটি অর্ডার : নিরাপত্তাকেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র এখনো সুপার পাওয়ার। এটি একমাত্র দেশ যে তার সেনা ও নাবিক এবং সামরিক সরঞ্জাম বিশ্বের প্রতিটি কোণে পাঠাতে পারে। এর ধারেকাছে কেউ নেই।

২. ইকোনমিক অর্ডার : অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বহুমুখী, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপান উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ পরস্পরনির্ভরতা দিয়ে পরিমাপ করা হয়, বিভিন্ন দেশ একে অন্যের বাজারে প্রবেশাধিকার চায়।
৩. ডিজিটাল অর্ডার : ব্রেমার একটি ডিজিটাল অর্ডারের উত্থানের ধারণা করেন। এটির চালক কোনো সরকার নয়; বরং এর স্টিয়ারিংয়ে আছে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো। সাইবার নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও অ্যালগরিদমের মাধ্যমে এ কোম্পানিগুলো বিপুল ক্ষমতাধর। ব্রেমারের মতে, ভবিষ্যতে ডিজিটাল অর্ডার হয়ে উঠতে পারে একটি পরাশক্তি, যা হবে বিশ্বায়নের আরেক নতুন রূপ এবং এর অর্থ হলো প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর আধিপত্যের অধীনস্থ বিশ্ব।

বলা যায়, এর মধ্যে টেক জায়ান্টরা নিয়ন্ত্রণ করছে বিশ্বের যাবতীয় তথ্য এবং বিশ্ববাসীর জীবনযাপনের প্রায় সব দিক। আমাদের সবার কমবেশি জানা যে, আগামীর বিশ্বে সেই ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান অথবা রাষ্ট্র হবে সবচেয়ে ক্ষমতাধর যার হাতে থাকবে সব বিষয়ের সর্বশেষ তথ্যভাণ্ডার। এ জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো এককভাবে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সামষ্টিকভাবে নজরদারির এমন সব উদ্যোগ আয়োজন সম্পন্ন করে রেখেছে যাতে কোনো তথ্য জানার আওতার বাইরে না থাকে। শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক তো আছেই, আছে ভার্চুয়াল নজরদারির আয়োজন। ফাইভ আইস বা নাইন আইজ নামে রাষ্ট্রগুলোর জোটের নাম অনেকে শুনে থাকবেন। কিন্তু গত কয়েক বছরের অগ্রগতি এমন যে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠছে সামাজিক মাধ্যমের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ এরা এখন কোনো দেশের সরকার নিয়ন্ত্রণের মতো শক্তি ও ক্ষমতার অধিকারী।

ইয়ান ব্রেমার বলছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ইউনিপোলার বা বাইপোলার বা এমনকি মাল্টিপোলার বিশ্বও থাকবে না। থাকবে না একক বিশ্বব্যবস্থাও; বরং পরাশক্তি হয়ে উঠবে আমাদের বহু চেনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো, যাদের আমরা টেক জায়ান্ট বলে জানি। যেমনÑ অ্যাপল, অ্যালফাবেট, স্যামসাং (দক্ষিণ কোরিয়া), মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, মেটা প্ল্যাটফর্ম, এনভিডিয়া, হুয়াওয়ে (চীন), টিএসএমসি (তাইওয়ান), তেসলা, ব্রডকম, টেনসেন্ট (চীন), ওরাকল, নেটফ্লিক্স, স্যাপ, সেলফোর্স, লেনোভো (হংকং), ফক্সকন (তাইওয়ান) এবং এরকম অন্য সংস্থাগুলো। আর এদের নিয়ন্ত্রিত বিশ্বে যে বিশ্বব্যবস্থা জায়গা করে নেবে সেটি ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড অর্ডার।

ব্রেমার উদাহরণ দেন ইউক্রেন যুদ্ধের। সেখানে ন্যাটো দেশগুলো যত সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকুক, ইউক্রেনকে রাশিয়ার সাইবার আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার সরঞ্জাম কিন্তু সরবরাহ করেছে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো, যা ইউক্রেনের নেতাদের তাদের জেনারেল ও সেনাদের সরাসরি নির্দেশনা দেয়ার সক্ষমতা দিয়েছে। এ সহায়তা না পেলে যুদ্ধের প্রথম কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেন সম্পূর্ণ অফলাইন হয়ে যেত এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ক্ষমতা হাওয়ায় উড়ে যেত।

প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্প বা কমলা হ্যারিসকে রিয়েল টাইমে এবং ফিল্টার ছাড়া কয়েক মিলিয়ন লোকের সাথে কথা বলার সক্ষমতা দেয়। আবার সোশ্যাল মিডিয়াই সেই প্ল্যাটফর্ম যার আছে বিভ্রান্তি এবং ষড়যন্ত্রতত্ত¡ প্রচারের ক্ষমতা। সোশ্যাল মিডিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছাড়া ৬ জানুয়ারি (২০২১) ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা হতে পারত না।

এ সক্ষমতাই প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর বিস্ময়কর ক্ষমতার পরিচায়ক। যদি চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডিজিটাল বিশ্বের ওপর অনেক বেশি শক্তি প্রয়োগ করে এবং সেই দেশের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সেই সরকারের সাথে একত্রিত হয়, তাহলে একটি প্রযুক্তিগত শীতল যুদ্ধ শুরু হবে। আর তাতে ডিজিটাল অর্ডার দুই ভাগে বিভক্ত হবে। অন্য দিকে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো যদি বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক মডেলগুলোর সাথে টিকে থাকে এবং ডিজিটাল ও ভৌত জগতের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় থাকে, তাহলে একটি নতুন বিশ্বায়ন হবে। সেটি ডিজিটাল গেøাবাল অর্ডার।

সে ক্ষেত্রে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিশ্বমঞ্চে প্রভাবশালী কুশীলব হয়ে উঠবে। প্রযুক্তি নির্ধারণ করবে, আমাদের সামনে সীমাহীন সুযোগের জগত আবারিত থাকবে, নাকি আমরা স্বাধীনতাহীন একটি পৃথিবীতে বাস করব।

এটি সত্য যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি অর্জনে এ মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে। অনেক কোম্পানি নতুন এবং শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কব্জা করতে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সম্ভাব্য অপপ্রয়োগ বা অনৈতিক কাজে ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের কোনো ম্যাকানিজম নেই। জবাবদিহি ব্যবস্থা নেই। এটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

ব্রেমারের বক্তব্য বা পূর্বাভাসের সাথে অনেকে একমত নাও হতে পারেন। সুপার পাওয়ার বা পরাশক্তি বিশ্বে একই সাথে সামরিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আদর্শিক প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বজুড়ে তেমন কোনো প্রভাব সৃষ্টিতে সক্ষম কি? তাদের বলা যেতে পারে বৈশ্বিক শক্তি। যেমন- গ্রেট ব্রিটেন বা ফ্রান্স নিঃসন্দেহে বিশ্বশক্তি, পরাশক্তি নয়। যুক্তরাষ্ট্র বা আগামীর চীন হয়তো পরাশক্তি।

এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেরও সুযোগ আছে নতুন প্রযুক্তি পণ্যের ওপর নজর দেয়ার। এক গার্মেন্ট শিল্পে ভর করে ডিজিটাল বিশ্বে টিকে থাকা কঠিন হতে পারে।

mujta42@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement