বাথটাবে মেসির গোসল করানো ইয়ামালের বিশ্বরেকর্ড
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
ইউরোর চলমান আসরে ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ফুটবল বিশ্বকে প্রতিভার ঝলক দেখালেন স্পেনের তরুণ ফুটবলার লামিনে ইয়ামাল। ফরাসিদের বিপক্ষে গোল করে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হওয়ার নজির গড়লেন। ইউরো ও বিশ্বকাপ মিলিয়ে সবচেয়ে কম বয়সে গোলের রেকর্ডও এখন স্পেনের প্রতিভাবান এই তরুণ তারকা ফুটবলার দখলে। আর ইউরো ও বিশ্বকাপের ইতিহাস মিলিয়ে প্রথমবার গোল করলেন কোনো ১৬ বছর বয়সী ফুটবলার। এর আগে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার কীর্তি ছিল পেলের। ব্রাজিলের হয়ে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে প্রথম গোলটি করার সময় পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর ২৩৯ দিন। ইয়ামালের ১৭ পূর্ণ হবে আগামী শনিবার। ইতিহাস গড়ার চেয়েও দল ফাইনালে ওঠায় বেশি খুশি ইয়ামাল।
‘এই জয়ে ও ফাইনালে উঠতে পেরে আমি দারুণ খুশি। জানি না, এটা টুর্নামেন্টের সেরা গোল কি না। তবে আমার কাছে এটি স্পেশাল, কারণ দল ফাইনালে উঠেছে। আমার জন্য এটি সুপার স্পেশাল।’
ফুটবল বিশ্বে আলো ছড়ানো ইয়ামালের বেড়ে ওঠা বার্সেলোনার আঁতুড়ঘরে। বর্তমান বিশ্বের মহা তারকা ফুটবলার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল সাথে ১৫ বছর আগে সেখানে সাক্ষাৎ হয়েছিল ইয়ামালের। ২০০৮ সালে ২০ বছর পেরিয়েছে মেসি, তখন কয়েক মাসের ইয়ামাল। সেই সময় তাকে সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছিল মেসিকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শিশু ইয়ামালকে বাথটাবে বসিয়ে স্নান করাচ্ছেন কুড়ি বছরের মেসি। ছবিটি তখন যিনি তুলেছিলেন, সেই আলোকচিত্রী জোয়ান মনফোর্ট সে দিনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘মেসির তখন ২০ বছর বয়স। খুব লাজুক ছিল। হঠাৎ ওকে লকার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখে একটা জলভর্তি বাথটাবে একটি শিশু। ও থতমত খেয়ে গিয়েছিল। বাচ্চাটাকে কী করে ধরবে প্রথমে বুঝতেই পারছিল না।’
সংবাদ সংস্থা ‘এপি’-এর হয়ে তখন কাজ করতেন মনফোর্ট। বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু-তে একটি ফোটো শুটের সময় প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল দুই তারকার। তখনই এই ছবি তোলা হয়।
স্পেনের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৫, ১৬, ১৭, ১৯ সব দলের হয়ে খেলেছেন ইয়ামাল। জাতীয় দলের হয়েও খেলে ফেললেন ১৩টি ম্যাচ। আর ফরাসিদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে জয়সূচক গোল করে বুঝিয়ে দিলেন, শুধু প্রতিভা হয়ে থাকতে আসেননি। আগামীতে শাসন করতে চান ফুটবল বিশ্বকে। ম্যাচের বয়স তখন ২১ মিনিট। ফ্রান্সের বক্সের বাইরে বল পান ১৬ বছরের এই ফুটবলার। প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে নাস্তানাবুদ করে বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে পরাস্ত করেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক মাইক মাইগানানকে।
ইয়ামালের জন্ম স্পেনের মাটারা প্রদেশে এক উদ্বাস্তু পরিবারে। দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা এই ফুটবলারের বাবা মরক্কোর আর মা আফ্রিকার ছোট্ট দেশ ইকোয়াটোরিয়াল গিনির। জন্মের পর থেকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেই বিকশিত হয়েছে তার ফুটবল প্রতিভা। সাত বছর বয়সে লা মাসিয়ায় যাওয়ার আগেই ফুটবলার ইয়ামালকে চিনে ফেলেছিল মাটারার অলিগলি। পাড়ায় পাড়ায় ‘সেভেন এ সাইড’ ফুটবল খেলতেন তিনি। খেলতেন বড়দের সাথেই। ২০১৪ সাল থেকে বার্সেলোনায় স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করে ইয়ামালের পরিবার। তখন তাকে ভর্তি করানো হয় বার্সেলোনার ফুটবল অ্যাকাডেমিতে।
ইয়ামালের পেশাদার ফুটবলজীবন শুরু ২০২৩ সালে। সবে ফুটবলজীবনের চৌকাঠ পেরিয়েছেন। চৌকাঠে দাঁড়িয়েই যে কেরামতি দেখাচ্ছেন, তাতে নিশ্চিতভাবে বহু জাদু দেখাবে তার বাঁ পা। বাঁ পায়ের ফুটবলারদের খেলা একটু বেশিই নান্দনিক হয়। ব্যতিক্রম নন ইয়ামালও।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা