১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সর্বোচ্চ গোলদাতা থামলেন শূন্যতে

-

ফুটবল বিশ্বের অন্যতম মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। টানা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ফুটবলে কখনো ইউরোপ, কখনো স্পেন, কখনো বা পর্তুগালের জার্সি গায়ে ছুটে চলা। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে নানা চড়াই উতরায়ের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন এই গোল মেশিন। তবে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসে বিদায়টা এমন বিষাদময় হবে এটা হয়তো জানা ছিল না। নিজের ক্যারিয়ার যে শেষের পথে, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইতোমধ্যে নিজের শেষ ইউরো ম্যাচও খেলে ফেললেন। টাইব্রেকারে ফ্রান্সের কাছে হেরে চলমান মহাদেশীয় এই শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছে পর্তুগাল। তার পর থেকেই আলোচনা হচ্ছে এটাই জাতীয় দলে রোনালদোর শেষ ম্যাচ কি না। যা নিয়ে কথা বললেও, স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি পর্তুগিজ কোচ রবার্তো মার্টিনেজ।
ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে টাইব্রেকারের পর্তুগালের হারের পরই এই প্রশ্ন উঠল সবার আগে। পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কি দেশের জার্সিতে এটাই শেষ ম্যাচ? জানতে চাওয়া হলো কোচ রবার্তো মার্তিনেজের কাছেও। তার কথায় রয়ে গেল রহস্য। পর্তুগাল ছিটকে যাওয়ার পর গণমাধ্যমের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান কোচ মার্তিনেজ, ‘মাত্রই খেলা শেষ হলো, এটা নিয়ে এখনই কথা বলা তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। এই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’
একই প্রশ্ন গিয়েছিল পর্তুগিজ ডিফেন্ডার পেপের কাছেও। তিনিও নিজের শেষ ইউরো খেলেছেন, এবারের আসর খেলতে নেমেই তিনি সর্বোচ্চ বয়সী হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন। জাতীয় দলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ৪১ বছর বয়সী পেপে বলেন, ‘ভবিষ্যতে এটা নিয়ে কথা বলা যাবে। এখন কথা বলতে চাই না। কারণ, লোকজন প্রক্রিয়া ভুলে আগামীকাল হয়তো আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলবে।’

এবার ইউরোতে সিআরসেভেন নিজের ছায়া হয়েছিলেন ৩৯ পেরুনো ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরাদের একজন। পাঁচ ম্যাচে ১০ শট নিয়েও কোনো গোল করতে পারেননি। অথচ ইউরোর ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। ২০০৪ থেকে টানা ছয় আসর খেলে রোনালদোর গোল ১৪টি। অথচ ১০টিও নেই অন্যদের। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ২১২ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ১৩০ গোলের মালিক এবার হাতছাড়া করেছেন অনেক সহজ সুযোগ। স্বাভাবিকভাবেই তার বিদায়ের প্রশ্নই উঠবে। ইউরোতে ২০১২ ও ২০২০ সালে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন রোনালদো। ২০১৬ সালে পর্তুগালকে শিরোপা পাইয়ে পান সিলভার বুট।
৪১ বছর বয়সী এই তারকা ষষ্ঠবারের মতো ইউরো খেলতে নেমে বলেছিলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই অবশ্যই এটাই শেষ ইউরো। তবে আবেগ ছুঁয়ে যাচ্ছে না। ফুটবলের সবকিছুই আমাকে প্রভাবিত করে। খেলাটির প্রতি এখনো আমার যে উৎসাহ, দর্শকের আগ্রহ, পরিবারকে পাওয়া, লোকজনের ভালোবাসা...ব্যাপারটা আসলে ফুটবলবিশ্ব ছেড়ে যাওয়া নয়। আমার জেতার বা করার জন্য আর কি-ই-বা বাকি আছে?’
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটা শেষ ম্যাচ না হলেও এটা যে শেষ ইউরো তা অবশ্য রোনালদো নিজেই নিশ্চিত করেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই- এটাই আমার শেষ ইউরো। ফুটবলের সব আমাকে প্রভাবিত করে। এখনো নিজের উৎসাহ, দর্শকদের আগ্রহ আমাকে টানে।’
২০২৬ বিশ্বকাপের সময় রোনালদোর বয়স হবে ৪১। তার যে ফিটনেস তাতে সেই বিশ্বকাপ খেলতেও পারেন তিনি। তবে গোধূলি লগ্ন পারফরম্যান্স তলানিতে চলে যাওয়ায় আর ক্যারিয়ার টেনে নেয়া ঠিক হবে কি না এটিই বড় প্রশ্ন কোটি কোটি ভক্তদের তরে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দক্ষিণ সিরিয়া থেকে আরো রুশ সেনা প্রত্যাহার পূর্ব সুদানের বেশিভাগ বাস্তুচ্যুত পরিবার খাদ্যাভাবে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার ‘শূন্য পাঁচ’ কর্মসূচি ঘোষণা সিরিয়া যাচ্ছেন কাতারের প্রতিনিধিদল ভারত কখনো চায়নি বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক : মিয়া গোলাম পরওয়ার ‘উৎপাদনের জন্য কৃষি পণ্য ও উপকরণ সহজলভ্য এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে’ পলিথিনে মোড়ানো নবজাতকের লাশ! আপনাকে ধরে এনে বিচার করা হবে : মোবারক হোসেন কালীগঞ্জে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উলামা পরিষদের বিক্ষোভ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরে যাবো : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতকে দেয়া ‘বিশেষ সুবিধা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড

সকল