সুপার এইটে যাওয়া কঠিন হবে টাইগারদের
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৪ জুন ২০২৪, ০১:৩৬
টি-২০ বিশ্বকাপের সবচেয়ে কঠিনতম গ্রুপ ‘ডি’তে সাউথ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের সাথী নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ অব ডেথের ডার্কহর্স হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ডাচদের। সবশেষ কয়েক বছর ধরেই আইসিসির টুর্নামেন্টে ভালো ক্রিকেট খেলছে তারা। ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছিল স্কট এডওয়ার্ডসের দল।
কুড়ি ওভারের এই আসরকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও বিচার-বিশ্লেষণ। কোন দলের স্কোয়াড কেমন হবে, সেমিফাইনালে যাবে কোন দলগুলো এবং কারা হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, এ নিয়ে চলছে কাটা-ছেঁড়া।
প্রথমবারের মতো ২০ দলের বিশ্বকাপ হওয়ায় এবারের লড়াইটাও হয়েছে কঠিন। চার দলের প্রতিটি গ্রুপ থেকে মাত্র দু’টি করে দল যাবে সুপার এইটে। বাংলাদেশের গ্রুপ ডি। যেখানে অন্য চার দল দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। গ্রুপে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। নেদারল্যান্ডস প্রস্তুতি ম্যাচে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া মনে করছেন, বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপে মৃত্যুকূপে পড়েছে। বাংলাদেশের পরের পর্বে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও কাজটা কঠিন।
আকাশ চোপড়া বলেন, ‘বাংলাদেশের সুযোগ আছে। তবে অনেক কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। যদি এই গ্রুপ থেকে তারা বের হতে পারে, তাহলে সুপার এইটে সহজ হবে। তবে এটাও বলতে পারব না, এই দলটা সুপার এইট পর্যন্ত যেতে পারবে কি না।’
কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। সাবেক এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের ধারণা, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলে অঘটনের জন্ম দিতে পারে নেপাল ও নেদারল্যান্ডস।
তার কথায়, আমি মনে করি, নেপালের কিছু একটা করে ফেলার সামর্থ্য আছে। ডাচদের দেখেও সব সময়ই মনে হয়, তারা কোনো অঘটন ঘটাবে। তারা দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে একই গ্রুপে পড়েছে। সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হতাশ করেছিল। তাই এবারো ডাচরা এমন কিছু করতেই পারে। টি-২০ সংস্করণে এই দেশগুলোর অঘটন ঘটানোর সুযোগ আছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সিরিজের ফলই বুঝা যায়, যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু অঘটন ঘটিয়েছে।’
বাংলাদেশকে হারাতে চাই : অ্যাডওয়ার্ড
সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস হারিয়েছিল সাউথ আফিকা ও বাংলাদেশকে। এবারো তাদের সাথে একই গ্রুপে থাকায় এমন কিছু ভাবছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে বিশ্লেষকরা। ডাচদের লক্ষ্যটাও প্রায় একই রকম। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে সুপার এইটে খেলতে চায় দলটি। এ প্রসঙ্গে নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক অ্যাডওয়ার্ড বলেন, ‘বিশ্বকাপে যেকোনো প্রতিপক্ষের সাথে খেলার সুযোগ আমরা উপভোগ করি। বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে আমাদের বেশ কিছু ভালো সাফল্য আছে। প্রথম রাউন্ডে চার দলের (বাংলাদেশ, সাউথ আফ্রিকা, নেপাল এবং বাংলাদেশ) বিপক্ষে খেলার জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। আমরা এই চারটি দলকেই হারাতে চাই এবং এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
বিশ্বকাপের প্রথম দিনেই চমক দেখিয়েছে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। একইদিন পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিল পাপুয়া নিউগিনি। দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের কাঁপিয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে তাদের। এবারের বিশ্বকাপে সহযোগী দেশগুলোর ম্যাচের ফলাফল দেখতে মুখিয়ে আছেন ডাচ অধিনায়ক। ‘আমার মনে হয় বিশ্বকাপে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী সহযোগী দেশ আছে। ফলাফল কেমন হয় এটা দেখাটা দারুণ ব্যাপার হবে। আমরা যে স্টাইলে ক্রিকেট খেলি সেটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী এবং প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার আশা নিয়েই খেলব। সুপার এইটে যাওয়া প্রথম লক্ষ্য। আপাতত আমাদের মনোযোগ প্রথম চার ম্যাচে।’
ডাচরা হারাবে বাংলাদেশকে : বিশপ
নিজের ক্রিকেট দর্শনে অঘটন শব্দটির জায়গা দেননি ইয়ান বিশপ। কেননা সাবেক এই ক্যারিবিয়ান পেসার এই শব্দটা পছন্দ করেন না। তবে ছোটো দল যে বড় দলকে চাইলেই হারিয়ে দিতে পারে, সেই ব্যাপারে অটল বিশ্বাস আছে তার। এবারের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস এবং বাংলাদেশের ম্যাচেও তেমন কিছুই ঘটবে বলে মনে করেন তিনি। বিশ্বকাপে গ্রুপ অব ডেথে আছে বাংলাদেশ। ডি গ্রুপে দলটির প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, সাউথ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। এই দল থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়া নিঃসন্দেহে বড় পরীক্ষা বাংলাদেশের।
জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপের মতে, চলতি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের খেলায় বাংলাদেশকে হারিয়ে দেবে নেদারল্যান্ডস। এ ছাড়া ছোট দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের সম্ভাবনাও বেশি।
গত কয়েকটি বিশ্বকাপে নতুন দলগুলো বড় দলকে হারাতে দেখেছি। আমি বলব বাংলাদেশকে হারাবে নেদারল্যান্ডস।
এ দিকে নিজের দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এই বিশ্বকাপের ফেবারিট মানছেন বিশপ। এ ছাড়া ভারতকেও সেরা দল বলেছেন। তবে বোলিং বিবেচনায় বিশপের সবচেয়ে পছন্দ পাকিস্তানকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা