১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চ্যাম্পিয়ন হবো এই আত্মবিশ্বাসেই খেলি : অস্কার

-

২০১৮-১৯ সিজনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আগমন বসুন্ধরা কিংসের। তাদের উপস্থিতির পর অন্য কোনো ক্লাবের দখলে যায়নি লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ। ফলে এবার টানা পঞ্চম শিরোপা জয় বিপিএলে। সাথে এই প্রথম তাদের ঘরে মৌসুমের সব ট্রফি। মানে ট্রেবল জয়। যা এই শতাব্দীতে তৃতীয় ক্লাব হিসেবে বসুন্ধরা কিংসের অর্জন। এর আগে মোহামেডান ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ট্রেবল জিতেছিল। বসুন্ধরা কিংসের এই সাফল্যের নেপথ্যে দক্ষ ক্লাব ম্যানেজমেন্টের সাথে কুশলী কোচ অস্কার ব্রুজন এবং মানসম্পন্ন দেশী-বিদেশী ফুটবলাররা।
কোচ অস্কারের মতে, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হবো এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলি। আমাদের প্রতিদিনের কাজে, অনুশীলনে থাকে একটাই পণ শিরোপা জিততে হবে। এটা আমাদের ক্লাব পলিসিরও অংশ। শেষ পর্যন্ত সেই সাফল্য ধরাও দেয়।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবলের শুরু থেকেই বসুন্ধরার দায়িত্বে অস্কার ব্রুজন। এই স্প্যানিশ কোচের অধীনে ফেডারেশন কাপ এবং স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার ঘটনাও আছে। তবে এবার এক সাথে ঘরোয়া ফুটবলের সব ট্রফিই গেছে বাংলাদেশের ফুটবলের এই নতুন শক্তির দখলে। আগে মালদ্বীপ ও ভারতের ক্লাব ফুটবলে কাজ করা এই কোচের বক্তব্য, ‘ফুটবলারদের মানসিক শক্তি এবং দৃঢ়তাই আমাদের ভিন্ন ভিন্ন সব ট্রফি জিততে সহায়তা করছে।’ যোগ করেন, আমাদের প্রতিদিনের ট্রেনিংয়ের বিশেষত্বই হলো উপভোগ্য এবং কার্যকরী প্র্যাকটিস সেশন। এখানে ট্রফি জয়টা মুখ্য থাকে না। সেই ফলশ্রুতিতেই আমাদের সফলতা।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে অপ্রতিরোধ্য বসুন্ধরা কিংস। তবে এখন পর্যন্ত এএফসির ক্লাব ফুটবলে কোনো সাফল্য সেই। সাফল্য মানে অধুনালুপ্ত এএফসি কাপের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। যা ঢাকা আবাহনী একবারই করেছিল। এরপর বসুন্ধরা কিংসের উপর দায়িত্ব বর্তেছিল সেই সাফল্য ধরে রাখা। তবে তারা চারটি প্রচেস্টাতেও পারেনি এএফসি কাপের ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালে খেলতে। প্রতিবারই ভারতের ক্লাবের বাধায় আটকে যায় তারা। যদিও ২০২০ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের স্ট্রাইকার হারনান বার্কোসের উপস্থিতিতে দারুণ আশা জাগিয়েও পরে করোনায় এএফসি কাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা আর হয়নি। এই প্রসঙ্গে অস্কার ব্রুজন বলেন, ‘বসুন্ধরা নতুন ক্লাব। এমন একটি ক্লাবকে এই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খেলতে হচ্ছে। যেখানে এশিয়ার সেরা ক্লাবদের উপস্থিতি। আমরা এমন কয়েক ক্লাবের কাছে হেরেছি যাদের বাজেট বেশি। রয়েছে লম্বা ইতিহাস। সে সাথে তারা আসছে, আমাদের চেয়েও তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ লিগ থেকে।’ এরপরই জানান, ‘বসুন্ধরা কিংস এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অল্প কয়েকটি ম্যাচে হেরেছে। প্রতিবারই আমরা গ্রুপ রানার্সআপ। সব আসরেই আমাদের ভালো রেজাল্ট ভারতের বড় বড় ক্লাবের বিপক্ষে।’ আরো যোগ করেন, বাস্তবতাও বুঝতে হবে। আমরা কোথায় আছি আর আমাদের কি অর্জন করতে হবে। স্বপ্ন এবং রোডম্যাপের সাথে বাস্তবতার পার্থক্যও বোঝা জরুরি। সাফলতা তখনই মিলবে যখন অ্যাপ্রোচটা হবে বাস্তব সম্মত।
এর পরও এতদূর আসার জন্য কোচ অস্কার ব্রুজন টিম ওয়ার্কের কথাই উল্লেখ করলেন। জানান, পারস্পরিক বিশ্বাস, বিচক্ষণতা, ব্যক্তিগত কমিটমেন্টই দারুণ এক টিম ওয়ার্কের জন্ম দিয়েছে দলে।’


আরো সংবাদ



premium cement