ক্লাব থেকে টাকা নিতে অস্বীকার করেছিলেন তানভীর
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৪ মে ২০২৪, ০০:০৫
আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দলের একজন তানভীর ইসলাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পিনে নজর কেড়ে জাতীয় দলে সুযোগ করে নিয়েছেন। প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বমঞ্চে খেলার। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুতে ক্লাবে সুযোগ পেয়ে পারিশ্রমিক হিসেবে নিজের প্রাপ্য টাকা নিতেও দ্বিধা কাজ করত তার। নিজের ক্রিকেটার হওয়ার সেই গল্প বিসিবিকে জানিয়েছেন তানভীর।
কিভাবে ক্রিকেটে এলেন সেই গল্পে তানভীর বলেন, ‘আমার বাবা-মা সবাই ঢাকায় চাকরি করত। নানুও সরকারি চাকরি করত। কিন্তু মাস শেষে তার কাছে আমার আবদার থাকত ক্রিকেটের ব্যাট-বল স্টাম্পসহ কিনে দিতে হবে। ছোটবেলায় বড়দের সাথে অনেক খেলেছি। আমার বল-ব্যাট থাকার কারণে তারা আমাকে দলে নিত।’
মা-বাবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিভাবে এতদূর আসা যায়, সে কথাই জানালেন, ‘বরিশাল বুলস নামে বিপিএলে একটি দল হইছিল, সেখানে লারা নামের একজন ছিল আমার এলাকার। তার সাথে কথা হয়, তিনি আমাকে ঢাকা এসে কোনো একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার জন্য বলেন। আমার আব্বু রাজি ছিল না, ক্রিকেট অনিশ্চিত বিষয়। তার পর আমার নানু বলে ঢাকায় দিয়ে আসতে।’
ক্রিকেটার না হলে পেশা হিসেবে কোনটি বেছে নিতেন তানভীর সে প্রশ্নে বলেন, ‘আমার আব্বু আমাকে দুই এক বছর সময় দিয়ে বলে এখানে কিছু না হলে আবার এই পেশায় ফিরে এসো। তার পছন্দ ছিল প্যারামেডিক্যাল, সাধারণ শিক্ষা, ডেন্টাল বা পুলিশের কিছু একটা।’
তানভীরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয় তৃতীয় বিভাগের একটি দল দিয়ে। সেই ক্লাবের হয়ে সুযোগ পেয়েই খুশি ছিলেন তিনি। টাকা নিতেও তাই অস্বীকার করেছিলেন। বলেন, ‘এক দিন আব্বু বলে চল আবাহনীর দিকে যাই, ওটা অনেক বড় ক্লাব। আবাহনীর মাঠে অনেক অ্যাকাডেমি, সিসিএস নামের একটি অ্যাকাডেমি আছে, ওইখানে সাতদিন অনুশীলন হতো। তার পর ওখানে ভর্তি হওয়া। ভর্তি হওয়ার পর রায়ের বাজার প্রগতিতে একটি থার্ড ডিভিশন টিমে খেলি। ওনারা আমাকে টাকা নেয়ার কথা বললে আমি নিতে অস্বীকার করি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা