১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তিন সেঞ্চুরির ম্যাচে আবাহনীর দশে দশ

-


ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে তামিম-মুশফিকদের প্রাইম ব্যাংককে ৫৮ রানে হারিয়ে দশে দশ পূর্ণ হয়েছে আবাহনীর। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নাঈম ও শান্তর সেঞ্চুরিতে নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪১ রান করে আবাহনী। জবাবে মুশফিকের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ৪৯.৪ ওভারে ২৮৩ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় আবাহনীকে। এনামুল হক বিজয় এবং নাঈম শেখের উদ্বোধনী জুটিতেই ১১০ রান পেয়ে যায় তারা। ৪৫ রান করে বিজয় রানআউট হলে ভাঙে সে জুটি। তবে নাঈম আপন গতিতে ব্যাট করে তুলে নেন সেঞ্চুরি।

অবশ্য সেঞ্চুরির আগেই ফিরতে পারতেন নাঈম, তবে তার বিরুদ্ধে ‘অনেকটা নিশ্চিত’ এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত দেননি আম্পায়ার আসাদুর রহমান। সে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে একচোট বচসাও হয় আম্পায়ারদের, খেলাও কিছু সময় বন্ধ থাকে।
জীবন পেয়ে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম। তিনে নেমে তিন অঙ্কের দেখা পান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। তার ব্যাটে আসে ১১৮ রান। জোড়া সেঞ্চুরির সাথে তৌহিদ হৃদয়ের ৩৫ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে চড়ে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪১ রানের পাহাড় গড়ে আবাহনী। বোলারদের খরুচে দিনে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে দুই উইকেট পান হাসান মাহমুদ।
জবাব দিতে নেমে ৭ বলে ১ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে নাঈম শেখের ক্যাচ হন প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক তামিম। অন্য ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৫৬ রান করে রানের গতি সচল রাখেন। এদিকে চোট থেকে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পান অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। ১০৫ বলে ১৪ চারে অপরাজিত থাকেন ১১১ রানে। তবে শেষ পর্যন্ত ৪৯.৪ ওভারে ২৮৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। তিনটি করে উইকেট পান তাসকিন এবং তানজিম। ম্যাচসেরা নাজমুল হোসেন শান্ত।

মাশরাফিরা দাঁড়াতে দেয়নি গাজী টায়ার্সকে
ডিপিএলে গাজী টায়ার্সকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ওপেনার তৌফিক খান তুষারের সেঞ্চুরিতে কোনো উইকেট না হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে নিজেদের ষষ্ঠ জয় তুলে নিয়েছে তারা।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টসে জিতে গাজী টায়ার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রূপগঞ্জ। গাজী টায়ার্সের দুই ওপেনার ইফতেখার হোসেন এবং মহব্বত হোসেন মিলে ওপেনিং জুটিতে এনে দেন ৪১ রান। এরপরই ছন্দপতন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৪৪.২ ওভারে ১৫০ রান অলআউট হয় তারা। ৪ উইকেট পান শুভাগত হোম চৌধুরী। ৮ ওভারে ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট নেন মাশরাফি। জবাবে ১৯.২ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ৬১ বলে সেঞ্চুরি করেন তুষার। ১২ চার এবং ৮ ছক্কায় ৬৬ বলে ১১৪ রানের হার না মানা ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন এই ওপেনার। ৩৫ রানে অপরাজিত থেকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম।

শেখ জামাল ৫ উইকেটে জয়ী
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব : ৪৮.২ ওভারে ২০৫ (আজমির ২৫, জাহিদুজ্জামান ৩২, তানবির ৩০, আহরার ৩৫, শফিকুল ৪/৩২, তাইবুর ৩/১৯)
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব : ৪৬ ওভারে ২০৮/৫ (সৈকত ৪১, সোহান ৭৬*, তাইবুর ৩৯*; আহরার ৩/৪২)।

 


আরো সংবাদ



premium cement