কী নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
- জসিম উদ্দিন রানা
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও, সঙ্গে ভারতের পতাকা জুড়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান স্টার ইন্ডিয়া। একই পোস্টে এই টুর্নামেন্টের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানাতে চায়, এবার ভারতের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। যেখানে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য আট দলের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অবস্থান একদম তলানিতে। ১৯৯৮ সাল থেকে হওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এবার প্রথমবারের মতো রশিদ-নবীদের আফগানিস্তান। এ জন্য আফগানদের হিসাবের বাইরে রেখেছে স্টার স্পোর্টস। বাকি সাত দলের মধ্যে জয়ের হারে বাংলাদেশের অবস্থান সবার পরে। ২০০০ সালে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে মাত্র দুই জয় বাংলাদেশের। শতকরা জয়ের হারে যা ১৮.১ শতাংশ। এমন তেঁতো স্মৃতি নিয়ে এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন শান্ত বাহিনী।
বাংলাদেশ ছাড়া বাকি দলগুলো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ২০টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে কম ২৩ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে এবারের আসরের স্বাগতিক দল পাকিস্তানের। ৪৭.৮ শতাংশ গড়ে ১১টি ম্যাচ জিতেছে দলটি। ২৪ ম্যাচে ৫০ শতাংশ হারে ১২ জয়ে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। সমান ২৪ ম্যাচে ৫৪.৫ শতাংশ গড়ে জয়ে পঞ্চম স্থানে নিউজিল্যান্ড। তিনে থাকা ইংল্যান্ড ২৫ ম্যাচে ৫৬ শতাংশ গড়ে জিতেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ ম্যাচ।
শতাংশের অঙ্কে ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ কম খেলেও ৬০ শতাংশ ম্যাচ জয়ী অস্ট্রেলিয়া টুর্নামেন্টটি জিতেছেও সর্বাধিক দুইবার। ২০০৬ ও ২০০৯ সালে টানা দুইবার জিতেছিল অসিরা। এ দিকে সর্বোচ্চ ২৯ ম্যাচ খেলে ৬৯.২ শতাংশ গড়ে সর্বাধিক ১৮ জয় ভারতের। এবারের আসরেও ফেভারিট হয়ে খেলতে নামা দলটি দুইবার এই শিরোপা জিতেছে। ২০১৩ সালে এককভাবে চ্যাম্পিয়ন হলেও ২০০২ সালে বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শিরোপা ভাগাভাগি করতে হয়েছিল দলটির।
এত উদাহরণের বিপরীতে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই বাংলাদেশের। অথচ একদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে কোচ ফিল সিমন্স দলকে উজ্জীবিত করেছেন ফাইনাল খেলবেন বলে।
যে লজ্জায় আছে বাংলাদেশের নামও
বাংলাদেশের আহামরি কোনো পারফরমেন্স নেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। আইসিসির এই ইভেন্টে এশিয়ার দলটি এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে জিতেছে ২টি। দলীয় পারফরম্যান্সে যেখানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাংলাদেশের একরাশ হতাশা, তাতে বিব্রতকর এক রেকর্ডে নাম থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেই বিব্রতকর রেকর্ডটি হচ্ছে আইসিসির এই ইভেন্টটিতে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ চারবার ডাক মেরেছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। বিব্রতকর এই রেকর্ডে যৌথভাবে দুইয়ে আছেন চার ক্রিকেটার। বাংলাদেশের হাবিবুল বাশার সুমনের মতো তিনটি করে ডাক মেরেছেন নাথান অ্যাস্টল, সনাথ জয়াসুরিয়া ও শোয়েব মালিক।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাশার সর্বসাকুল্যে খেলেছেন ৫ ম্যাচ। করেছেন ৪৮ রান। সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন ২০০৬ সালে জয়পুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন শাহরিয়ার নাফিস। ১৬১ বলে ১৭ চার ও ১ ছক্কায় ১২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছিল তার হাতে।
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের গ্রুপে পড়েছে ভারত-পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। এর পর নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহীমদের ফিরতে হবে পাকিস্তানে। ২৪ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ দুটি হবে রাওয়ালপিন্ডিতে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে বাংলাদেশ সেরা ক্রিকেট খেলেছে ২০১৭ সালে। সেবারই প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলে এশিয়ার দলটি। এজবাস্টনে সেমিতে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ১৮০ রানে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সবশেষ ২০১৭ সালেই হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা