০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ৮ শাবান ১৪৪৬
`

দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্তই নিতে হবে বাফুফেকে

-


বল এখন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়ালেরে কোর্টে। কোচ পিটার জেমস বাটলারের বিপক্ষে ১৮ ফুটবলারের বিদ্রোহ তদন্তে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সাত সদস্যের কমিটি। রিপোর্টের মূল বিষয় ছিল সাবিনা-মাছুরা, নীলাদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়। এই বিষয়ে বাফুফেকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে কমিটি। এ প্রসঙ্গে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তাবিথ আওয়ালের। তিনি চাইলে একাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আবার বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভাও ডাকতে পারেন। তবে বাফুফে যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন তা হতে হবে দৃষ্টান্তমূলক। কোনো পক্ষকেই ছাড় দেয়া যাবে না। সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দলের সদস্যরা জাতীয় দলের ক্যাম্প বর্জন করে যে গুরুতর অন্যায় করেছেন এই যেমন একটা বিহিত করতে হবে, সে সাথে বাটলারসহ ভবিষ্যতে যারা বাংলাদেশ দলের হেড কোচের দায়িত্ব পাবেন তাদেরকেও একটা কঠিন বার্তা দিতে হবে।

দেশে এমনিতেই ইস্যুর শেষ নেই। নানা ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ই রাস্তা ঘাট বন্ধ থাকে। ভোগান্তি বাড়ে। আর বাটলার ও ১৮ ফুটবলারের ইস্যু এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয়। তবে আগামীতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে ফুটবল অঙ্গনে সেই বিষয় মাথায় রেখেই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এটা সত্য, এখনো বিকল্প তৈরি হয়নি সাবিনা খাতুন-মাছুরা পারভীনদের। বিদ্রোহে নেতৃত্ব নেয়া অন্যতম তারা। এ ছাড়া নীলুফার ইয়াসমিন নীলা, সানজিদারা এখন একাদশে জায়গা পেতে সংগ্রাম করছেন। এর পরও এই দু’জনের অভিজ্ঞতা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে এসব কিছু আমলে নেয়ার সুযোগ থাকে না। বিশেষ কমিটির রিপোর্টে সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এটা নিশ্চিত পিটার বাটলার নারী দলের হেড কোচ পদে থাকলে বিদ্রোহীদের কয়েকজনের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আবার ফুটবলাররা যে যুক্তি তুলে কোচের বিপক্ষে বিদ্রোহ করেছেন এতে সায় দিয়ে বাটলারকে সরালে সেটাও হবে হাস্যকর। উল্লেখ্য, সিনিয়র ফুটবলার ছাড়া যে ম্যাচ জেতা যায় না তা পাকিস্তানের বিপক্ষে সাফের ম্যাচই প্রমান। সেই ম্যাচে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ দল কোনো মতে ড্র করেছিল। এরপর বাটলারের কোচিংয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়ে নেপাল থেকে শিরোপা নিয়ে ফেরে বাংলাদেশ। তবে কোচের বিপক্ষে ১৮ ফুটবলার জোটবদ্ধ থাকাটা কিন্তু ভাবার বিষয়। তারা এই কোচ থাকলে গণ-অবসরের ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছেন।

বাফুফেকে এ ধরনের সমস্যা বা ইস্যু যেন ভবিষ্যতে আর মাথা চাড়া না দিতে পারে তা মাথায় রাখতে হবে। এর আগেও পুরুষ জাতীয় দলের কোচ এডসন সিলভা ডিডোর সাথে বিবাদে জড়িয়েছিলেন রজনী-ওয়ালী ফয়সালরা। ২০০৮ সালের সাফে বাংলাদেশ দলের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার নেপথ্যে ছিল দলের মধ্যে ফুটবলারদের গ্রুপিং এবং কোচ আবু ইউসুফ ও ম্যানেজার শেখ মোহাম্মদ আসলামের দ্বন্দ্ব। আসলামতো নিজেই কোচিং করাতে শুরু করতেন।
নিশ্চিত বাফুফে সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর সবচেয়ে বিব্রতকর অবস্থার মুখে পড়েছেন তাবিথ আওয়াল। অবশ্য তার যে সাংগঠনিক দক্ষতা তাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন বলেই বাফুফের অন্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এখন অপেক্ষা কি সিদ্ধান্ত আসে।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে `সাংবাদিকতায় মেধাস্বত্ত্বের চর্চা' শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই : এ টি এম মাসুম আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেবে না সেটাই আমরা চাই : মেজর হাফিজ রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসঙ্ঘ প্রধান আওয়ামী লীগের বড় শত্রু শেখ হাসিনা : আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হলের নাম পরিবর্তন পুলিশের এক ডিআইজি ও তিনজন এসপি আটক ‘ফ্যাসিস্ট আ’লীগ দেশে দুঃশাসন কায়েম করেছিল’ মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে : ভিপি নূর গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি, আহত ১

সকল