মুকুটহীন যে রাজপুত্র
- ক্রীড়া ডেস্ক
- ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
একবিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের ছোট্ট তালিকায় দু’জনের নাম তর্কাতীতভাবে সবার ওপরে থাকবে। লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপর তিন নম্বরে আপনি কাকে রাখবেন? এ প্রজন্মের তৃতীয় সেরা ফুটবলার হিসেবে যেই নামটি বেশি উচ্চারিত হয়, সেটা কি নেইমার নয়? ‘প্রিন্স’ বা রাজপুত্র খ্যাতি পাওয়া ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের নাকি কমপক্ষে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর জেতা উচিত ছিল, ইতালির কিংবদন্তি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন তেমনটাই মনে করেন। তবে অনন্য প্রতিভা নিয়ে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দেয়া নেইমার যখন পেছন ফিরে তাকাবেন, তখন কি তাকে আক্ষেপে পোড়ায় না। এ প্রজন্মে কেবল মেসি-রোনালদোর ছায়া হয়ে থাকা সান্তোসের রাজপুত্র কেন রাজা হয়ে উঠতে পারলেন না! চোট নামক মহাশত্রুই কি তবে সাম্বা তারকার পথের বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, নাকি অন্য কিছু। এখন তার বাজার মূল্য ২২ কোটি ২০ লাখ থেকে কমে হয়েছে ১ কোটি ৫০ ইউরো।
নেইমার তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ উত্থানটা দেখেছিলেন বার্সেলোনায়। লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজকে নিয়ে গড়া ‘এমএসএন’ নামক তাদের আক্রমণ ত্রয়ী ত্রাস ছড়িয়েছে ইউরোপজুড়ে। কাতালান জায়ান্ট ক্লাবটির হয়ে ২২৫ ম্যাচে করেছেন ১৩৬ গোল। দু’টি লিগ শিরোপা, তিনটি কোপা দেল রে আর একবার বার্সার হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তবে তাতে মন ভরছিল না নেইমারের। তখন ন্যু ক্যাম্পের মধ্যমণি ছিলেন মেসি। মাঠে তার দুর্দান্ত সব পারফরম্যান্স ঢাকা পড়ে যাচ্ছিল মেসির দাপটে। শেষ পর্যন্ত ইউরোপে দল বদলে রেকর্ড গড়ে পিএসজিতে নাম লেখান ৩২ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান। কিলিয়ান এমবাপ্পের সাথে সেখানে ভূরিভূরি ঘরোয়া শিরোপা জিতলেও ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় ব্যর্থতা কাঁধে নিয়েই ক্লাব ছাড়তে হয়েছে তাকে। এরপর আল হিলালের যাত্রা তো সদ্যই শেষ করলেন। যেখানে প্রাপ্তির খাতাশূন্য বললেই চলে। শৈশবের ক্লাবে ফেরার পর এখন পাওয়া না পাওয়ার হিসাবটা আবার কি মিলিয়ে দেখবেন নেইমার। ব্রাজিলের রাজপুত্র হয়েই থাকাটাকে সান্ত্বনা হিসেবে নিতে হচ্ছে তাকে।
এর মধ্যে চোটকে নিত্যসঙ্গী করেই ছুটছিলেন নেইমার। ক্লাব ফুটবল থেকে এবার জাতীয় দলে ফেরা যাক। ব্রাজিলের হয়ে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭৯ গোল করা এ ফুটবলারের এখন একটাই অপূর্ণতা। কিংবদন্তি পেলের পরম্পরা হিসেবে একটি বিশ্বকাপ জয়। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে নিজের সর্বোচ্চটা নিংড়ে দেয়ার পরও দলকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যেতে দেখেছেন তিনি। এখন তার সামনে শেষ সুযোগ আমেরিকার মাটিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এ একটা শিরোপাই হয়তো রাজপুত্র থেকে রাজা হওয়ার দূরত্ব। চোট আর ভাগ্যের খেলায় হেরে না গিয়ে শেষটা রাঙিয়ে নেইমার এ প্রজন্মের ফুটবল ভক্তদের মনে ঠিকই জায়গা করে নিবেন, এমনটাই তো প্রত্যাশা একজন নিখাদ ফুটবল ভক্তের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা