কোয়ালিফায়ারে বসুন্ধরা ও ব্রাদার্স

হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল দুই দলেরই। বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়েছিল ফর্টিস এফসি। আর ব্রাদার্সকে হারের লজ্জা দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। তবে শেষ পর্যন্ত এই বসুন্ধরা কিংস ও ব্রাদার্সই পৌঁছে গেল বসুন্ধরা গ্রুপ ফেডারেশন কাপের কোয়ালিফায়ারে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস খেলবে কোয়ালিফায়ার রাউন্ড ওয়ানে। অন্য দিকে ব্রাদার্স যোগ্যতা অর্জন করেছে কোয়ালিফায়ার টুতে খেলার। গতকাল ‘এ’ গ্রুপে ময়মনসিংহের মাঠে বসুন্ধরা কিংস ৫-০তে হারিয়েছে ওয়ান্ডারার্সকে। আর কুমিল্লায় পুলিশের সাথে গোলশূন্য ড্র করা ব্রাদার্সের। ব্রাদার্সের এই ড্রতে কপাল পুড়েছে বাংলাদেশ পুলিশ ও ফর্টিসের। তাদের বিদায় নিতে হলো গ্রুপ পর্ব থেকেই।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা এখন ফাইনালে যেতে কোয়ালিফায়ার ওয়ানে খেলবে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের সাথে। অন্য দিকে ব্রাদার্সকে অপর গ্রুপের রানার্সআপের সাথে কোয়ালিফায়ার টুতে খেলে জিততে হবে। এরপর কোয়ালিফায়ার ওয়ানের হেরে যাওয়া দলের বিপক্ষে জিতলে তবেই ফাইনালে খেলতে পারবে। ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আবাহনী ও রহমতগঞ্জের ম্যাচে নির্ধারিত হবে ‘বি’ গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্ব।

লিগের ম্যাচে ইয়ংম্যান্স ক্লাব ফকিরেরপুল হারিয়েছিল মোহামেডানকে। ইয়ংম্যান্সের মতোই প্রিমিয়ারে নবাগত দল ঢাকা ওয়ান্ডারার্স। তবে বহু বছরের পুরনো এই ক্লাবের পক্ষে যে বসুন্ধরার বিপক্ষে অঘটন ঘটানো সম্ভব নয়, তা আগেই স্পষ্ট ছিল। কাল রফিকউদ্দিন স্টেডিয়ামে এর ব্যতিক্রমও ঘটাতে পারেনি ওয়ান্ডারার্স। উল্টো তাদের ৫-০ গোলে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ভ্যালেরিও তিতার দল। দুই সোহেল রানা এবং ব্রাজিলিয়ান মিগুয়েল ফিগেইরো ও স্থানীয় তপু বর্মণের গোলে এই বড় জয়। ১৮ মিনিটে মিগুয়েল এগিয়ে নেন দলকে। এরপর ৪০ মিনিটে বড় সোহেল রানা এবং ৭০ মিনিটে ছোট সোহেল রানা গোল করেন। মাঝে ৫৫ মিনিটে রাসেলের আত্মঘাতী গোল স্কোরকে ৪-০ করে। ৭৭ মিনিটে তপু বর্মণের গোল ৫-০তে জয় নিশ্চিত করে গত বছর ট্রেবল জয়ীদের।
কুমিল্লার মাঠে কোয়ালিফায়ারে যেতে বড় ব্যবধানে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না পুলিশের। অন্য দিকে ব্রাদার্সের প্রয়োজন ছিল ড্র। শেষ পর্যন্ত ব্রাদার্স গোলশূন্যতে ড্র করে চলে গেছে পরের রাউন্ডে। পুলিশ ন্যূনতম ব্যবধানে জিতলে রাস্তা খুলত ফর্টিসের। ব্রাদার্স ড্র করায় ফর্টিসের সাথে তাদের পয়েন্ট সমান ৭ হলেও গোলে এগিয়ে কোয়ালিফায়ারে এখন গোপীবাগের দলটি। বসুন্ধরা কিংসের পয়েন্ট ৯।