বিসিবির জন্য লজ্জার ও বিব্রতকর : ফাহিম
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
বিপিএল পরিচালনা কমিটির পেমেন্ট শিডিউল অনুযায়ী, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে খেলোয়াড়দের মোট পারিশ্রমিকের ৫০ শতাংশ, টুর্নামেন্ট চলাকালীন ২৫ শতাংশ এবং বাকি ২৫ শতাংশ টুর্নামেন্ট শেষে পরিশোধ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজিই এই সময়সূচি মেনে চলতে পারেনি। জানা গেছে, কেবল ঢাকা ক্যাপিটালস, রংপুর রাইডার্স এবং ফরচুন বরিশাল নিয়মিত পেমেন্ট দিতে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমানে বিসিবির কোনো স্থায়ী কমিটি না থাকায় বিপিএলও শিথিলভাবে পরিচালিত হচ্ছে, যা অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়। জানা গেছে, ফ্র্যাঞ্চাইজি, খেলোয়াড় এবং বোর্ডের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিগুলো এখনো বিসিবিতে পাঠানো হয়নি। তবে পুরো পরিস্থিতি যে লজ্জাজনক তা স্বীকার করেছেন বিসিবির পরিচালক এবং বিপিএল পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ‘এই ঘটনা বিসিবির জন্য এবং পুরো ক্রিকেট সম্প্রদায়ের জন্য বিব্রতকর। এটি আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষা। ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা এড়াতে আমরা কাজ করব। কিছু কাজ আমাদের করা উচিত ছিল, যেগুলো হয়তো আমরা করিনি। তবে এটাও সত্যি যে, এই আসরটি ভিন্ন এক পরিস্থিতির মধ্যে আয়োজিত হচ্ছে। অনেক বিষয়ে আমরা চাপের মধ্যে ছিলাম।’
দারুণ কিছু করার আশ্বাস দিয়ে এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু করেছিল ফারুক আহমেদের অধীনে নতুন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু আদতে কিছুই বদলায়নি। উল্টো নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। আসর শুরুর আগে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে ব্যাংক গ্যারান্টিই নেয়নি বিসিবি! বর্তমানে বোর্ডের সবচেয়ে বড় আশঙ্কা সত্যি হতে শুরু করেছে।
বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড়রা অভিযোগ করছেন যে তাদের প্রাপ্য টাকা এখনো মেটানো হয়নি। গত বুধবার তো প্রশিক্ষণই বাতিল করেছে দুর্বার রাজশাহী। অংশগ্রহণ না করার হুমকিও দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেই ম্যাচে ৬৫ রানে জয়ী হয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে আসে রাজশাহী। তাদের এক খেলোয়াড় জানিয়েছেন, ম্যাচের আগে তিনি তার মোট পারিশ্রমিকের ২৫ শতাংশ পেয়েছেন, তবে সবাই পাননি। চট্টগ্রাম কিংসের এক খেলোয়াড় জানিয়েছেন যে তাদের ক্যাম্পেও অসন্তোষ বাড়ছে এবং দুই দিনের মধ্যে পেমেন্ট না পেলে বিষয়টি নিয়ে সরব হবেন ক্রিকেটাররা।
এই বাজে পরিস্থিতি নিয়ে কেউ দায় নিতে চান না। ফাহিম জানান, ‘আমরা মিডিয়া থেকে বিষয়টি জেনে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বুঝিয়েছি এবং তারা পেমেন্ট দেয়া শুরু করেছে। আশা করছি, তারা নিয়ম মেনে পেমেন্ট চালিয়ে যাবে।’
গোছানো আয়োজনে ব্যর্থ বিপিএল : সুজন
এসব বিষয় নিয়ে হতাশ ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ ও বিসিবির সাবেক পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনও। তিনি বলেন, ‘বিপিএলে ভালো কিছু হচ্ছে না এবং গোছানো বিপিএল আয়োজনে ব্যর্থ হয়েছি। টিকিট নিয়ে সঙ্কট। বাংলাদেশের কয়জন অনলাইন থেকে টিকিট কিনতে পারে? রিকশাওয়ালা কি অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবে? সে কি খেলা দেখবে না? সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। কালোবাজারি বন্ধ করা যদি উদ্দেশ্য হয়, তাহলে সেই কালোবাজারি কি বন্ধ করতে পেরেছেন ?’
পারিশ্রমিক নিয়ে সুজন বলেন, ‘ছয় ম্যাচ হওয়ার পর একটা দল বলছে, প্রাপ্য টাকা না পাওয়ায় তারা খেলবে না। এটা তো আমাদের জন্য লজ্জাজনক। দলগুলোর ব্যাংক গ্যারান্টি কোথায়? বিসিবি কেন সেটা ভাঙিয়ে টাকা দেয়নি?’
বিপিএলের গভর্নিং বডির ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুজন, ‘বিপিএল গভর্নিং বডির কাজ কী? একটা টিম করতে প্রায় ৮ কোটি টাকা লাগবে। সেই টাকা না থাকলে আমি টিম কিনব কেন? মানুষ আমাকে স্পন্সর দেবে সেই ভরসায় তো আমি টিম কিনিনি।’
নিজ দলের ব্যর্থতা নিয়ে সুজন বলেন, ‘এটা তো স্কুল ক্রিকেট না যে কাউকে বকা দিয়ে শেখানো যাবে। ট্রেনিং তো কম হচ্ছে না। কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না। আমাদের বিদেশি খেলোয়াড়দের কোয়ালিটি মানসম্মত নয়। প্রতিদিন হারলে মোটিভেট করা কঠিন।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা