২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সুপার ওভারে হারল রংপুর রাইডার্স

-

জেতা ম্যাচ। অথচ সেই ম্যাচ সুপার ওভারে হ্যাম্পশায়ার হকসের বিপক্ষে হারল রংপুর রাইডার্স। গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা দলটি মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ডের প্রথম শ্রেণীর কাউন্টি দলটির বিপক্ষে। আর সেই ম্যাচে একেবারে তীরে এসে তরী ডুবাল রংপুর। বৃথা যায় জ্যাক চ্যাপেলের ফাইফার। পরাজয় দিয়েই নিজেদের যাত্রা শুরু করল রাইডার্সরা।
১৩৩ রান লক্ষ্যের ম্যাচ ড্র হলে সুপার ওভারে শুরুতে ব্যাটিং করতে নামে রংপুরের দুই ব্যাটার খুশদিল শাহ এবং স্টিভ টেইলর। ক্রিস উডের বলে খুশদিলের ছক্কায় রাউডার্সদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২ রান। ১৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে হ্যাম্পশায়ারের ব্যাটার জেমস ফুলার প্রথম বলেই ছক্কা মারেন। পরের বলে উইকেট হারালেও পঞ্চম বলে আরেক ব্যাটার লিয়াম ডসন ছক্কা হাঁকালে নিশ্চিত হয় নুরুল হাসান সোহানের দলের পরাজয়।
সুপার ওভারে যাওয়ার আগে ১২০ বলে মাত্র ১৩৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বেশ ভালো শুরু করে রংপুরের দুই ওপেনার টেইলর এবং সৌম্য সরকার। দুইজনে মিলে গড়েন ৪৬ রানের ওপেনিং জুটি। পঞ্চম ওভারে ১২ বলে ২০ রান করে আউট হন টেইলর। পরের ওভারেই টানা দুই বলে দুই উইকেট হারায় রংপুর। তিনটি চার আর একটি ছক্কায় ২০ বলে ২৭ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার পরের বলেই আউট হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। রিভিউ নিয়েও গোল্ডেন ডাক থেকে বাঁচতে পারেনি। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার শেষে রংপুর রাইডার্সের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৫৭ রান।
পরে ইতালির ব্যাটার ওয়েন ম্যাডসেন এবং রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান চেষ্টা করেন উইকেটে থিতু হতে। ১৩তম ওভারে সোহান সাজঘরে ফেরেন ২৩ বলে ২৪ রান করে। এরপর খুশদিল শাহ ১৫তম ওভারে দুই চার হাঁকিয়ে অনেকটাই চাপ দূর করেন। তবে নিজেদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝিতে ২০ বলে ২৫ করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন রানআউট হয়ে। পরের ওভারে ম্যাডসেন রানআউটের শিকার হলে আবারো চাপে পরে রাইডার্সরা। ২৫ বলে ১৭ রান কিংবা ১২ বলে ১০ রানের লক্ষ্যও মনে হচ্ছিল কঠিন। ৯ বলে তিন রান করে মেহেদী আউট হলে রংপুরের লক্ষ্য দাঁড়ায় শেষ ওভারে ৭ রানের। শেষ বলে যখন ৩ রান দরকার, তখন রিশাদের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে হ্যাম্পশায়ার হকসের ইনিংস থামে মাত্র ১৩২ রানে। আর এত কম রানে এই কাউন্টি ক্লাবকে আটকাতে বল হাতে সব থেকে বড় অবদান রাখেন ইংলিশ বোলার জ্যাক চ্যাপেল। ৪ ওভারে এই ডানহাতি পেসার নেন পাঁচ উইকেট। একটি করে উইকেট পান লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন এবং পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদ (৫৬)।


আরো সংবাদ



premium cement