হোম কন্ডিশনই ফাহিমাদের ভরসা
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৯
আগামীকাল ২৭ নভেম্বর আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ নারী দল। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এরপর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হবে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। এই সিরিজে বাংলাদেশের মেয়েরা হোম কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে চাইছেন। গতকাল মিরপুরে অনুশীলনের পর দলের লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন।
তার কথায়, ‘এশিয়া মহাদেশের দলগুলো এবং পিচ কন্ডিশন অজানা নয়। এখন এফটিপির যে খেলাগুলো খেলছি, আমি মনে করি স্পোর্টিং উইকেটে খুব কম খেলি। সে দিকে (স্পোর্টিং উইকেট) গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। হোম কন্ডিশনে যে সুবিধা পাব, সেটা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে চাই।’
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ খেলেছে অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নারী টি-২০ বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের শুরুটা জয় দিয়ে হলেও টানা ম্যাচ হারায় সেমিতে আর ওঠা হয়নি জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলের। আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে ফাহিমা বলেন, ‘বিশ্বকাপে যখন আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছিলাম, আশা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের সঙ্গেও দেখলাম যে ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আরও একটা ম্যাচ জেতার সুযোগ ছিল। বিশ্বকাপের পর সামনে যে সিরিজটা আছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দল হিসেবে আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে।’
বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বে অসংখ্য লেগস্পিনারদের ভিড়ে আফগানিস্তানের রশিদ খান আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের লেগস্পিনার ফাহিমা খাতুনের গতকাল মিডিয়ায় বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে রশিদ খান ও শেন ওয়ার্নের খুব বেশি ভক্ত। আমাদের যে লেগ স্পিন গ্রুপ আছে, সেক্ষেত্রে আমার চাওয়া লেগস্পিন গ্রুপটা সামনে নেতৃত্ব দেবে।’
জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপে ১৪ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। যা টি-২০ বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ উইকেট।
রিশাদের প্রশংসা করতে গিয়ে বাস্তবতাও তুলে ধরেছেন ফাহিমা। ‘রিশাদ হোসেনের অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পেরেছি। আমি মনে করি বাংলাদেশের ছেলেদের ক্রিকেট দলের চেয়েও নারী দলে বেশ কিছু লেগস্পিনার দেখা যায়।’
এ দিকে গতকাল বিসিবি পাঠানো ভিডিও বার্তায় ওয়ানডেতে অভিষেক হতে যাওয়া তাজ নেহার বলেন, ‘এটা আমার প্রথম, স্বপ্নের মতো ছিল। একাদশে সুযোগ পেলে স্বপ্ন পূরণ হবে। আমারো চেষ্টা থাকবে প্রতিদান দেয়ার। সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবো। আমরা সেভাবেই নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছি।
চেষ্টা করবো যাতে ৬ পয়েন্ট অর্জন করতে পারি। ভালো পারফর্ম করে বেস্ট ব্যাটার হতে চাই। যেটুক ঘাটতি ছিল তা পূরণ করছি। কোচ যে পজিশনে নামাবে সেখানেই সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো। বিগত দিনে যে ভুলগুলো ছিল সেগুলো নিয়ে কাজ করা হয়েছে। দর্শকদের ভালো কিছু দেয়ার চেষ্টা করবো, দেশকে তো অবশ্যই।’
প্রায় ১৩ মাস পর জাতীয় দলে ফেরা সানজিদা আক্তার মেঘলা জানান, ‘অনেক পরিশ্রম করেছি ফিরে আসার জন্য। একবার জায়গা হারালে পাওয়া অনেক কঠিন। আলহামদুলিল্লাহ কষ্ট করে আবার ফিরে এসেছি। এ পথচলায় আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলে। দেশকে কিছু দিতে চাই। সবার আগে বাবাকে খুশির খবরটা দেই। বাবা বলেছেন এই জায়গাটা ধরে রাখতে হবে এবং তা করতে হলে কি কি করা লাগবে তা তুমি ভালোই জানো। ’
সিরিজ নিয়ে মেঘলার উক্তি, আমাদের যেন কোয়ালিফাইং খেলতে না হয় সেজন্য আয়ারল্যান্ড সিরিজ জেতা জরুরি এবং সে পথেই সবাই হাটতে চাই।’
নারী দলের প্রধান হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘বিশ্বকাপ খেলতে হলে আমাদের ছয়টি ম্যাচ জিততে হবে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩টি। এটলিস্ট ৫ ম্যাচ জেতা জরুরি। সবার আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা বেশি জরুরি। তাহলে মোমেন্টামটা ভালো থাকে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা