১০ ইনিংস পর শান্তর ফিফটি
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৭
সৌম্য সরকার আউট হয়েছিলেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জ না করে। নাজমুল হোসেন শান্ত নিজের বেলায় সেই ভুলটা করলেন না। গাজানফার নিজের নতুন স্পেলে এসেই শান্তকে ফেলেছিলেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। তাতে সায় দিয়েছিলেন আম্পায়ারও। তবে শান্ত রিভিউ নেয়ার পর হক-আইয়ে দেখা গেল বল সুইং করে বেরিয়ে যাচ্ছে লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে। শান্ত বেঁচে গিয়েছেন সেই সুবাদে।
এর পরের ওভারেই রশিদ খান ওয়াইড বল করে মেহেদী মিরাজের সাথে শান্তর জুটিকে নিয়ে গেলেন পঞ্চাশ রানের ল্যান্ডমার্কে। দ্বিতীয় উইকেটে শান্ত-সৌম্যর ৭১ রানের পর তৃতীয় উইকেটেও পঞ্চাশ রানের জুটি পেল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটার পরেই আবার আঘাত। এবারে রশিদের দারুণ সুইংয়ে আউট মিরাজ। ৩৩ বলে ২২ রান তার। দলীয় রান যখন ১৫২, বাংলাদেশ হারাল তৃতীয় উইকেট। এ জুটির পথেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন শান্ত। যদিও খেলেছেন বেশ ধীরগতিতে। ৭৫ বলে ৪ টি চার ও এক ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে ৮২ রান করার ১০ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পেয়েছন শান্ত।
ফিফটি করার পর সেভাবে উদ্যাপনই করলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। ধারাভাষ্যকার বললেন, ‘খুবই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনে হচ্ছে তাকে দেখে, বড় কিছু করতে চান তিনি।’ তার ব্যাটিংয়েও ছিল সেই ছাপ। বেশ গতিময়তায় শুরুর পর নিজেকে অনেকটাই দমিয়ে রেখে লম্বা ইনিংস খেলায় মনোযোগ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত যদিও ইনিংসটিকে পূর্ণতা দিতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শারজাহতে ১১৯ বলে ৭৬ রান করেন শান্ত।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের পর তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়, আমার উইকেটই আজকের ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’ সেই দায় ঘোঁচাতে এবার দায়িত্ব নিয়ে খেলেছিলেন। কিন্তু ছক্কার চেষ্টায় যখন আউট হয়ে গেলেন, তখনও প্রায় ১০ ওভার বাকি ইনিংসের। তার ইনিংসটাকে পরিষ্কার দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ৩০ রান করেন ৩৫ বলে। বাউন্ডারি তখন তিনটি, ছক্কা একটি। পরের ৪৬ রান আসে ৮৪ বলে। রান-বলের সমীকরণ যেমনটি বলছে, তার ব্যাটিংয়ের ধরনও ছিল তেমনই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা