২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
বাফুফে নির্বাচন

সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চাই

সহসভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক -

গত নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করে মাত্র এক ভোট পওয়া। সেই শফিকুল ইসলাম মানিক এবারের বাফুফের নির্বাচনে সহসভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ছয় প্রার্থীর অন্যতম তিনি। জাতীয় দলের সাবেক কোচ, জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়। ক্লাব ফুটবলে মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্ল¬াব এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ ছিলেন। ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক, ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি। মোটামুটি ফুটবলের সব সাইডেই সম্পৃক্ত থাকার অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই এবারের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সাবেক এই ডিফেন্ডার। জানান, আমি এখন ফুটবলের জাতীয়পর্যায়ে কাজ করতে চাই। আমি জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়েছি, জাতীয় কোচ হয়েছি। তবে জাতীয় সংগঠক হতে পারিনি। এবার এখন যদি সেই সুযোগ আসে সেখানেও সাফল্য চাই। কারণ কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে আমার সাফল্য আছে। বাফুফের নির্বাচনে জয়ী হলে জাতীয় সংগঠকও হতে পারব।
প্রথমে দর্শক, এরপর খেলোয়াড় ও কোচ। তা জাতীয় দলে এবং ঘরের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলেও। ফলে দেশের ফুটবলের সব দুর্বলতাই তার জানা। কোন কোন সাইডে আরো উন্নতি করলে সাফল্য আসবে সে বিষয়েও অবগত। তাই মানিকের বক্তব্য, আমাদের দেশে দশ মাসব্যাপী ফুটবল লিগ চালানোর কোনো দরকার নেই। এই লিগ ছয়/সাত মাসেই শেষ করার পক্ষে তিনি। আরো যোগ করেন, প্রত্যেক ক্লাবেই একাডেমি থাকতে হবে। তাদের বয়সভিত্তিক দলের টুর্নামেন্ট থাকতে হবে। একাডেমি গড়া বাফুফের কাজ নয়।
মানিকের মতে, ‘এবার আমি সত্যিকার অর্থেই বাফুফেতে প্রবেশ করতে চাই। আমার আত্মবিশ্বাস আছে, বাফুফেতে গেলে কাজ করতে পারব। এ ছাড়া সদস্য হলে কাজের পরিধিটা ছোট হয়ে যায়। সহসভাপতি হলে কাজের পরিধিটা বড় হয়। তা ডেভেলপমেন্ট কমিটি বা ম্যানেজমেন্ট কমিটি যা-ই হোক। তাই সহসভাপতি ভোটে দাঁড়িয়েছি। যদি সম্মানিত প্রার্থীরা যোগ্য প্রার্থী বেছে নেন তাহলে আমি অন্যতম যোগ্য প্রার্থী।’ আরো জানান, সহসভাপতি হলে তিনি ফেডারেশনের প্রত্যেক সদস্যের ফেডারেশনে বসার ব্যবস্থা করা হবে। ‘বাফুফেতে শুধু সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি এবং সহসভাপতিদের বসার জায়গা আছে। ফুটবল যেমন ১১ জনের খেলা তেমনি ফেডারেশনটা ২১ জনের। এর বাইরে যারা আছেন তারা কাউন্সিলর। তাদেরও কাজে লাগাতে হবে। তাদেরও কাজের স্পৃহা আছে। জেলাগুলোকেও আরো সক্রিয় করার পরিকল্পনা আছে। এদের সবাইকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ। আশা করি এই জায়গাগুলোতে কাজ করলে দেশের ফুটবল এগোবে। জানান, কিছু হোম ওয়ার্ক করে রেখেছি।
এএফসি কাপে বাংলাদেশী ক্লাবগুলোর প্রথম যে জয় তা এই মানিকের অধীনেই। তখন মুক্তিযোদ্ধা তুর্কমেনিস্তানের মাঠে ১-০ গোলে হারায় নেবিথচিকে। এরপর আরো তিনবার এএফসি কাপে তিন ভিন্ন ক্লাবকে এই আসরে খেলিয়েছেন। জাতীয় দলের কোচ থাকার সময় বেশ কিছু সমস্যা মোকাবেলা করেছেন। ক্লাবগুলোর কিছু প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়। এই সমস্যার সমাধানেরও চেষ্টা করার কথা জানান। আমার এই চাওয়ার পূর্ণতা আসবে যদি আমি নির্বাচিত হই।
জাতীয় দলের জন্য কোয়ালিটি ফুটবলর তৈরির ওপর জোর দেন তিনি। তার মতে, এ জন্য ক্লাব এবং জেলাগুলোকে কাজ করতে হবে। এ জন্য মাস্টার প্ল্যান ও এবং ভালো কোচদের দায়িত্ব দিতে হবে। ১৮ বছরের কোনো ফুটবলারকে ধরেই ঘষামাজা করা যাবে না। আরো আগে থেকে শুরু করতে হবে।
গত নির্বাচনে মাত্র এক ভোট পাওয়ার নেপথ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘বাদল রায় গত বছর প্রথমে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়ে পরে নির্বাচন করার ফলে আমি গা ছাড়া ভাব দেখাই। এতেই ভোট কম পেয়েছি।’


আরো সংবাদ



premium cement