২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

আম্পায়ার বিতর্কে বিদায় ইমার্জিং দলের

-

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ কয়েক বছর ধরে দারুণ উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আইসিসি ইভেন্ট, এশিয়া কাপ তো বটেই। বয়সভিত্তিক দলেও দেখা যায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। মাঝেমধ্যে জড়িয়ে যান আম্পায়াররাও। এবারের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা উত্তপ্ত ম্যাচের ভেনু ওমানের আল আমেরাত গ্রাউন্ড।
ইমার্জিং এশিয়া কাপের ম্যাচটি ছিল দুই দলের জন্য অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল। শেষ তিন ওভারে জিততে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দরকার ছিল ৩৭ রান। হাতে তিন উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে ১৮তম ওভারে শ্রীলঙ্কার পেসার ঈশান মালিঙ্গা বল ছোড়ার মুহূর্তেই আম্পায়ার হঠাৎই ডেড বল কল দিলেন। ততক্ষণে আবু হায়দার রনি লং অফ দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। তখনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। ডাগআউট থেকে নো বলের সঙ্কেত দিচ্ছিলেন কোচ সোহেল ইসলাম ও তৌহিদ হৃদয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী রেগেমেগে চতুর্থ আম্পায়ারের দিকে গেলেন।
সোহেল-হৃদয়রা যে নো বলের ইশারা দিচ্ছিলেন, সেটার যুক্তি খুঁজে পেয়েছেন ধারাভাষ্যকারেরা। তখন ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘বল ঠিক ছোড়ার সময়ই আম্পায়ার ডেড বল ডেকেছেন। লং অফ দিয়ে ছক্কা মারার পর আম্পায়ার লং অনের দিকে কোনো ফিল্ডারকে ইঙ্গিত করছিলেন। তিনি দাবি করছিলেন ফিল্ডার ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে। তাতে এটা ডেড বল না, নো বল ডাকা উচিত ছিল। বৃত্তের ভেতরে তিন ফিল্ডার থাকলে এটা নো বলই হওয়ার কথা।’
তাতে স্মৃতিতে উঠে এলো ২০১৮ সাল। কলম্বোর প্রেমাদাসায় নিদাহাস ট্রফির ম্যাচে লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানার বাউন্সার ছেড়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। স্কয়ার লেগ আম্পায়ার ওয়াইড ডাকলেও পরে সেটা বাতিল করা হয়। ছয় বছর পর আল আমেরাত গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ রয়ে গেল পরাজিত দলে। ১৯ রানে হেরে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের।


আরো সংবাদ



premium cement