১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

সাকিবকে খেলতে দেয়া হবে না মিরপুরে

-


দেরিতে হলেও সার্বিক পরিস্থিতি বোধগম্য হওয়ায় সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব আল হাসান। একইসাথে মিরপুরের মাটিতে নিজের বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেশে ফেরার কথা জানিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের সমর্থনও চেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বসেরা এই টাইগার অলরাউন্ডারের এমন আকুতিতে অনেকেই সমর্থন জানালেও বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন একটা অংশ।

বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্ট দাবি করা একটি পক্ষ তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন। যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চত্বরে একত্রিত হয়ে সাকিবের ছবি টাঙিয়ে জুতাপেটা করেন তারা। একইসাথে জানিয়ে দেন, মিরপুর স্টেডিয়ামে সাকিবকে খেলতে দেবেন না তারা। পরে স্টেডিয়াম এলাকাজুড়ে সাকিব বিরোধী গ্রাফিতি আঁকেন বিক্ষুব্ধ ওই শিক্ষার্থীরা। তবে তারা কোন দলের ব্যানারে এমন কীর্তি করেননি- এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিজেদের উদ্যোগ নিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যে মিরপুরে আমার ভাইয়েরা হত্যার শিকার হয়েছে, সেই মিরপুরে স্বৈরাচারের দোসর সাকিব খেলতে পারবে না। মিরপুরের মাটিতে সাকিবকে খেলতে হলে আমার লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে। আমরা জানি অনেকেই আমাদের যেকোনো একটি রাজনৈতিক দলের ট্যাগ দিয়ে দিবেন। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আমরা নিজেদের বিবেক থেকে সাকিবকে মিরপুরে খেলতে দিচ্ছি না। কোনো রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নয়।’
এ ছাড়া গ্রাফিতি করার কাজে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদমান, আদিব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দ মুয়াজ, নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী হিরণ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিমেষসহ অনেকে। পিপল অ্যাক্টিভিস্ট কোয়ালিশনের পিয়াস এবং মিরপুরের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ হাবিবুর রহমানও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সমর্থন জোগাতে সেখানে উপস্থিত হন এবং বিক্ষোভকারীদের অবস্থা দেখেন-শুনেন-বলেন।

বিদায়ী টেস্ট খেলতে সাকিবের দেশে ফেরার ইচ্ছার প্রতিবাদে তারা জানান, ভোট চুরির সাথে সরাসরি জড়িত এবং স্বৈরাচারের দোসর সাকিব, যে কি না দেশবাসীর ক্রান্তিলগ্নে বিদেশের মাটিতে আনন্দময় সময় কাটাচ্ছিল, সে আর কোনোদিন যেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে না দেয় এবং মিরপুর মাঠে না আসে। আর এখানে বিদায়ী ম্যাচ খেলার প্রশ্নই উঠে না।
এর আগে ছাত্র আন্দোলনে নীরব ভূমিকার দায় নিজের মাথায় নিয়ে ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চান।
এর জবাবে বিক্ষোভকারিরা সমস্বরেই জানিয়ে দেন, ‘নিজের স্বার্থের জন্যই সাকিব এ অভিনয় করেছে, ক্ষমা চেয়েছে। তা না হলে এত দিন পর কেন। যখন তাকে নিয়ে ট্রল হচ্ছিল তখন কেন সে চুপ ছিল। তিনি কি মনে করেছেন, ক্রিকেটে নম্বর ওয়ান হতে পারলে রাজনীতিতেও পারবেন। সবগুলোই তার কৌশল। বিদায়ী ম্যাচ খেলার পর তার টিকিটিও পাওয়া যাবে না। এখন কাকুতি-মিনতি করলেও পরে সব ভুলে যাবে। এর নাম সাকিব।’

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
থাড ক্ষেপণাস্ত্র চালাতে ইসরাইলে মার্কিন সৈন্য! মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা কমলার সমর্থনে প্রচার এ আর রহমানের, বানিয়ে ফেললেন গানের ভিডিও সাহারায় শিহরণ! ৫০ বছরের মধ্যে প্রথম বন্যা দৌলতদিয়ায় ছাত্রদলের কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা উপদেষ্টা নাহিদের সম্মাননা গ্রহণ না করাকে 'শিশুসুলভ কাজ' বললেন সেই শিক্ষক হিন্দুসহ বাংলাদেশের সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান ভারতের মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ কার্যক্রম সবার জন্য সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়তে চাই : ড. ইউনূস বঞ্চিত কর্মকর্তাদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে বৈষম্য এস আলমের দুই লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিপাকে ব্যাংকগুলো

সকল