আগডুম বাগডুম : কবিতা
- ২৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
কোন সে মায়ের ছেলে!
নূরুন্নাহার নীরু
বুক চিতিয়ে বাহু মেলে দাঁড়িয়ে গেলে যেই,
কাঁপলো না বুক, কাঁপলো না ঠোঁট পাক্কা সাহস সেই,
বুঝলো নাতো কেমন তুমি কেমন ছিলে বীর
নতুন করে এই সময়ের তুমিই তিতুমীর।
কোন সে তুমি মায়ের ছেলে কোন এলাকায় গাঁ,
বীর সেনানী বাবা বুঝি গড়ে ছিলেন তা?
সোনার হরফ দিয়ে তোমার নামটি হবে লেখা
থাকবে বেঁচে চিরটাকাল হবে সবার শেখা?
বুনে গেলে সেই সে ফসল বাংলা মায়ের মনে
জানিয়ে দিলে সব ছেলেদের জাগবে প্রয়োজনে।
কি যে তার স্নেহ পাই
শাহীন খান
গাঁয়ে আছে ফুল পাখি লতা আর পাতা
মিঠে মিঠে সোনা রোদ সুখ প্রেমে গাঁথা।
পিতা মাতা ভাই বোন দিদা দাদা নানা
মামা খালা ফুপা ফুপি সব চেনা জানা।
হিমহিম বায়ু আছে, আছে ধান পাট
রাখালের বাঁশি আছে পুকুরেতে ঘাট।
খেলার সাথী নিয়ে সারাক্ষণ খেলা
সবুজের বন দেখে কেটে যায় বেলা।
বটছায়ে দুপুরেতে কৃষকের ঘুম
হৈ চৈ নেই কোন সব নিঝ্ঝুম!
প্রীতি নীতি আছে খুব আছে বন্ধন
সব্বার সুখে হাসি দুখে ক্রন্দন!
আছে আশা ভালোবাসা সবার দিলে
আমরণ পাশে থাকে সবাই মিলে।
ডোবা খাল বিল ঝিলে মাছ ভরপুর
রাতে জাগে চাঁদ তারা ঝিঁঝিদের সুর।
ফেরিওয়ালা হাঁক দেন ভেঁপুও বাজান
বুড়ো খুড়ি পানদানে পানটা সাজান।
গাঁ-ই আমার নিঃশ্বাস প্রাণ মন আঁখি
তার ধূলিকণা যতো শরীরে তা মাখি।
কবি হয়ে লিখি গাই, আঁকি নানা ছবি
যেদিকে তাকাই আমি ভালো লাগে সবই।
আজীবন ভালোবেসে থেকে যাই গাঁয়ে।
কি যে তার স্নেহ পাই যেটা দ্যায় মায়ে।
বর্ষাঋতুর সাজ
এম এ জিন্নাহ
রঙ লেগেছে রঙিন হাওয়ায়
বর্ষা শীতল গাঁয়ে ;
মন বিলাসের দৃপ্তি ছড়ে
ভেজা ভেজা পায়ে।
হাঁটু জলে নাও ছুটে যায়
শাপলা বিলের বুকে ;
কোলাহলে মাতে সবে
ব্যাকুল করা মুখে।
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে
বৃক্ষ বনের কুলে ;
স্নিগ্ধ হয়ে হেসে বেড়ায়
পদ্মলতার ফুলে ।
মেঘে ভরা আকাশ আনে
বৃষ্টি মুশলধারা ;
বৃষ্টি পেয়ে বৃষ্টি চেয়ে
মন যে দিশেহারা।
অপরূপ বর্ষা
এম সোলায়মান জয়
সকালবেলা শাপলা ফোটে
হাসে পুকুর ডোবা
বর্ষা এলে আমার দেশে
দেখি এমন শোভা।
নৌকা নিয়ে শাপলা তুলে
গাঁয়ের কিশোর ছেলে
জাল ফেলে ওই মাছ ধরতে
ব্যস্ত থাকে জেলে।
ঝাঁকে ঝাঁকে মাছের পোনা
কি যে ভালো দেখায়
বর্ষার রূপ ফুটে উঠে
কবির কাব্য লেখায়।
ঢেউয়ের সাথে দুলে দুলে
খেলে পাতিহাঁসে
সারাটাদিন সারি সারি
ডিঙি নৌকা ভাসে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা