১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিগবেন

-

বিগবেন একটি উঁচু অট্টালিকা ঘড়ি এবং বৈচিত্র্যময় প্রযুক্তির নাম। প্রতি বছর এ ঘড়িটি দেখার জন্য লাখ লাখ পর্যটক ছুটে আসে লন্ডনে। এর রয়েছে সুমধুর ঘণ্টাধ্বনি, উঁচু মিনার আর অপরূপ নির্মাণশৈলী।
১৮৫৯ সালে এক অগ্নিকাণ্ডে ব্রিটেনের পুরনো পার্লামেন্ট ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাতাগণ এই নতুন ভবনকে একটু ভিন্নভাবে সাজাতে চাইলেন। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, এ নতুন ভবনে বিশাল আকারের একটি ঘড়ি স্থাপন করা হবে। সে কারণে অনেকের কাছে নকশা আহ্বান করা হয়। বিশ্বের বেশ কিছু দেশ থেকে বিখ্যাত নকশাবিদ ও ঘড়ি নির্মাতারা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রায় ৯৭ জন প্রতিযোগীর মধ্যে চার্লস ব্যারির নকশা গৃহীত হয়। আর এ নিখুঁত ঘড়িটি তৈরির ক্ষেত্রে এডমান্ড ডেনিসন এবং ইজেডেনটের বিশেষ অবদান রয়েছে।
ঘড়িটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর চারদিক একই রকম। অর্থাৎ চারদিকে চারটি ঘড়ি নিয়েই এ বিগবেন। ঘড়িটির প্রতিটি মিনিটের কাটার দৈর্ঘ্য ৪.২ মিটার ও ওজন ১০০ কিলোগ্রাম। মূল ভূমি থেকে এর অবস্থান ৫৮ মিটার উঁচুতে। বিগবেনের দৈর্ঘ্য ৩.৯ মিটার এবং ওজন ৩০০ কেজি। পেন্ডুলামটির নিচে শুধু গোলাকার চাকতির ওজনই ২০০ কেজি, প্রতি সেকেন্ডে এই পেন্ডুলাম দোল খায় দু’বার। সবচেয়ে আশ্চর্য হলো বিগবেনের ঘণ্টার কাঁটাটি। পৃথিবীর বৃহত্তম এই ঘণ্টার কাঁটাটির ওজন ১৫ টনেরও বেশি। এই ঘণ্টার কাঁটাটির ৭৭ ভাগ তামা এবং ভাগ টিন। এই ঘড়ির চার পাশে লম্বালম্বি সরু কিছু ফাঁকা জায়গা রাখা আছে। ঘড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিষ্কার করার জন্যই এ ব্যবস্থা। বিগবেন চারটি ঘড়ির প্রতিটি ডায়ালের ব্যাস ৭ মিটার এবং ডায়ালগুলো লোহা দিয়ে তৈরি। ডায়ালগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩১২টি অস্বচ্ছ টুকরো কাচ। এর প্রতিটি মিনিটের ঘর ৩০ বর্গ সেমি.। প্রতিটি ঘণ্টার ঘর ও প্রসারিত। এ সময় সঙ্কেতগুলো রোমান সংখ্যা দিয়ে সাজানো। পেন্ডুলামটির শীর্ষে আছে বেশ কিছু পয়সা, যা খুব সহজেই স্থানান্তরিত করা সম্ভব। প্রতি সপ্তাহে এই পয়সাগুলো নড়াচড়ার মাধ্যমে ঘড়ির সময়কে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটি তৈরির সয়মকাল থেকে ১৯১৩ সাল পর্যন্ত হাতেই চাবি দেয়া হতো। বর্তমানে এ কাজটি সারা হচ্ছে ইলেকট্রনিক মোটরের সাহায্যে। সময় ঘোষণার সুর সৃষ্টির জন্য ঘড়ির সাথে চারটি ছোট ঘণ্টা সংযুক্ত আছে- যা থেকে প্রতি পনেরো মিনিট পরপর ওয়েস্ট মিনিস্টার সুর ধ্বনিত হয়।
বিগবেন সবসময় নিখুঁত সময় দিয়ে থাকে। এটি তৈরির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এক সেকেন্ডের সিকি ভাগ সময়ের তারতম্য ঘটেনি। কারণ এর পিছনে কাজ করছে এক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশে মুসলিম কৃষকের ধানে আগুনকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বলে প্রচার শিক্ষানুরাগী এস এম খলিলুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ সিরিয়ার নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র! ইতিহাসের প্রথম : ৪০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক মাস্ক ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদি আরবে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর সচল ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ ভারতীয় মিডিয়াতে ইসকনের ওপর হামলার খবর ভুয়া : সিএ প্রেস উইং ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা ঢাকা সফর নিয়ে ভারতের এমপিদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন দুর্নীতি তদন্তে অগ্রাধিকার পাবে

সকল