১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আগডুম বাগডুম : কবিতা

-

কেউ তো আমার নাই
মুস্তাফা ইসলাহী

খোকা, তোমার কী নাম?
: সবাই ডাকে, ইনাম।
কোথায় তোমার বাড়ি?
: পদ্মায় নিছে কাড়ি।
এখন থাকো কই?
: রাস্তার ওপর রই।
জুটে কোথায় খানা?
: ডাস্টবিনে দেই হানা।
কোথায় ভগ্নি ভাই?
: কেউ তো আমার নাই।
ক্যামনে জীবন চলে?
: কেঁদে, পুড়ে, জ্বলে।


গ্রীষ্ম
সাদমান হাফিজ শুভ

গ্রীষ্ম গরম গ্রীষ্ম চরম
গ্রীষ্মে আগুন ঝরে,
গ্রীষ্ম নরম গ্রীষ্ম পরম
গ্রীষ্মে বৃষ্টি পড়ে।

গ্রীষ্ম ভয়ের গ্রীষ্ম লয়ের
গ্রীষ্মে ঝোড়ো হাওয়া,
গ্রীষ্ম জলের গ্রীষ্ম ছলের
গ্রীষ্মে মেঘের ধাওয়া।

গ্রীষ্ম আমের গ্রীষ্ম জামের
গ্রীষ্মে খোকা ভোলে,
গ্রীষ্ম ঘ্রাণের গ্রীষ্ম প্রাণের
গ্রীষ্মে খোকা দোলে।

গ্রীষ্ম ধানের গ্রীষ্ম গানের
গ্রীষ্মে চাষি হাসে,
গ্রীষ্ম তিতা গ্রীষ্ম মিঠা
গ্রীষ্মে সুখ-দুখ আসে।


কুসুমবাগে ফুল কানন
গোলাম আযম খান

আসবে কটুম আমার বাড়ি
রাঙা প্রভাতবেলা,
কুসুমবাগে ফুল কাননে
কিচিরমিচির খেলা।

ঝিলের ধারে পদ্মপাতায়
শিশিরকণা ঝরে,
পত্র পাতার ভাঁজে ভাঁজে
থাকে থরে থরে।

ঘনকুয়াশার চাদর গায়ে
ঢেকে রাখে মাঠ,
কুটুম পাখি রবের শানে
দরুদ করে পাঠ।

মাঠ পেরিয়ে ঘাট পেরিয়ে
ঘন সবুজ বন,
রাঙা প্রভাত দেখে সবার
পড়ে থাকে মন।

 

তাপদাহ
আল আমিন মুহাম্মাদ

চোখ যায় যদ্দূর... রোদ্দুর কড়া!
গায়ে লেগে পুড়ে যায় চোখ ছানাবড়া।
ঘাম ঝরে দরদর ভ্যাপসা গরম!
ঘরে নেই বিদ্যুৎ কষ্ট চরম।
আম পাকে, জাম পাকে গরমের চোটে
পিচঢালা পথে যেন খই-মুড়ি ফোটে।
ফেরিঅলা ফেলে ঝাঁকা বসে গাছ তলে
মাঠ ফাঁকা, ঘাট ফাঁকা দুপুরটা জ্বলে!
চাষি ভাই জল খায় আট-দশ গ্লাস
আজকের ওয়েদার ভেরি হট প্লাস।
খোকাখুকি খেলাধুলা ভুলে নিশ্চুপ
বাতাসের হরতাল - অসহ্য রূপ!
চৌচির মাঠ-ঘাট অঙ্কুর পোড়ে!
তাড়াড়াড়ি পানি ঢাল মাথা কার ঘোরে।
জিব্বাটা বের করে কুকুরের হাঁফ...!
কি যে হলো নিখিলের আছে কোন পাপ।
রোদ্দুরে ঝলসায় গাছ-পাতা-বন
একটুও ভালো নেই আজ কারো মন।
কি জানি কি নিখিলের কপালে কি আছে!
মেঘ দাও! পানি দাও! সকলেই যাচে।

 

গরমের পত্র
মুহিব্বুল্লাহ ফুয়াদ

গরমের যাত্রা
বাড়াল যে মাত্রা
জামা পরা যায় না
পাখি গান গায় না
কী চরম তাপ রে
হাঁফ ছাড়ি বাপরে
রোদে পুড়ে ছাতাটা
ভাঙে বুঝি হাতাটা
জল নাই পুকুরে
নামে তাও কুকুরে
যা’ও পায় অল্প
নেমে শেষ গল্প
নাই গাছ বায়ু রে
শেষ বুঝি আয়ু রে
ঘেমে ঘেমে গলছি
গাছ লাগা বলছি।

 

বন, পাহাড়ের দেশে
কাব্য কবির

নীলগিরিতে যাবার জন্য মন করে আনচান,
চাকমা মেয়ের গান শুনতে খেতে ইচ্ছে পান।
লেকের জলে ¯œান করি না হলো বহুদিন,
গা ভাসতে লেকের জলে মন করে চিনচিন।

বনের সবুজ পরিবেশটা লাগে অপরূপ,
বনমোরগের ডাক শুনতে ইচ্ছে জাগে খুব।
নীলকান্ত বসে ডাকে গাছের ডালে ডালে,
বেনে বউয়ের ডাক শোনা যায় ভরদুপুরের কালে।

জংগী ফুলের মধু লুটে ভোমরের গুনগুন,
পাতার ফাঁকে টুনটুনিটা করে যে টুনটুন।
হিমেল হাওয়ায় গাছের শাখা নাচে হেলেদুলে,
প্রজাপতি চুমো আঁকে সাদা চালতা ফুলে।

থাকতে আমার ভালো লাগে এমন পরিবেশে,
ঘর বানাতে ইচ্ছে জাগে বন,পাহাড়ের দেশে।


আরো সংবাদ



premium cement