পিঠা উৎসব
- ফারজানা ইয়াসমিন
- ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
রিতুর খুব মন খারাপ। তাদের স্কুলে পিঠা উৎসব শুরু হবে। রিতু দাদিকে বলে রেখেছে পিঠা উৎসবের আগেই যেন গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে আসে। এবারের পিঠা উৎসবে দাদির সাথে পিঠা বানিয়ে স্কুলের এই মেলায় অংশ নেবে। কিন্তু হঠাৎ করেই দাদী অসুস্থ হয়ে গেছেন। এ অবস্থায় দাদি তো আসতে পারবে না।
রিতু পিঠা উৎসবে যোগদানের জন্য স্কুলে নাম দিয়েছে। দাদি না এলে কীভাবে পিঠা বানাবে রিতু? এত ভালো পিঠা তো আর কেউ বানাতে পারে না। রিতুর মাও তেমন ভালো পিঠা বানাতে পারেন না। সে চাইনিজ খাবার ভালো রান্না করতে পারে। কার সাথে সে পিঠা উৎসবের জন্য পিঠা বানাবে? রিতুকে তার বাবা-মা অনেক বুঝিয়েছে। কিন্তু রিতু কিছুতেই মানতে রাজি নয়। সে যেভাবেই হোক পিঠা উৎসবে অংশ নেবেই। এদিকে পিঠা বানানোর সব কিছুই রিতুর বাবা কিনে এনেছে।
দাদী রিতুর ছোট ফুপু দিপাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন ঢাকায়। দিপাও খুব ভালো পিঠা বানাতে পারে। ফুফুকে দেখে রিতু তো মহাখুশি। তার আর কোনো সমস্যা নেই। এখন সে ফুপুকে নিয়ে পিঠা উৎসবে অংশ নিতে পারবে।
রিতু ফুপুর সাথে কয়েক ধরনের পিঠা বানাল। এর মধ্যে ছিল পাটিসাপটা, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা ও রস পিঠা। রিতুর স্কুলের সবাই রিতুর পিঠার খুব প্রশংসা করল। এত মজা হয়েছে পিঠা যে, খুব তাড়াতাড়ি রিতুর সব পিঠা শেষ হয়ে গেল। রিতু মহাখুশি হয়েছে ফুপুর সাথে পিঠা বানিয়ে উৎসবে যেতে পারাতে। এই পিঠা উৎসব রিতুর জন্য সুন্দর একটি স্মৃতি হয়ে থাকল।
রিতু মেলা থেকে ফিরে এসে দাদীকে ফোন করে পিঠা উৎসবের গল্প বলতে লাগল। সবাই কত পছন্দ করেছে সেই গল্প বলা শুরু করল। রিতুর আনন্দ দেখে বাবা-মা, দাদী, ফুপু সবাই খুব খুশি হলো। এবারের শীতে পিঠা উৎসব রিতুর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর উৎসব ছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা