১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গণ-অভ্যুত্থান ও বিজয় দিবস

-

১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম বিজয় দিবস পালিত হলো। ১৯৪৭ সালে এক অপরিহার্য প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানে আমরা বাঙালিরা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকসহ বহুবিধ বৈষম্যের শিকার হই। পাকিস্তানের ২৪ বছরের ইতিহাস শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের ইতিহাস। এই শোষণ, বঞ্চনার বন্দিশালা থেকে মুক্তি পেতে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বাংলার মানুষেরা ২৬ মার্চ ১৯৭১ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল সর্ব প্রকার জুলুম, অত্যাচার, ভেদাভেদবিহীন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই জাতি ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ অনেক প্রাণের বিনিময়ে, অনেক মা-বোনের সম্ভ্রম হারিয়ে চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে। কিন্তু জনগণের বৈষম্য মুক্ত, গণতান্ত্রিক, সবার মতো প্রকাশের অধিকারের সেই অদম্য ইচ্ছেটা প্রথম ধাক্কা খায় ১৯৭৪ সালে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের বাকশাল কায়েমের মধ্যে দিয়ে। রক্ষীবাহিনী গঠন করে সে সময় জণগণের চাওয়া-পাওয়া ও মতপ্রকাশের অধিকারকে দমিয়ে দেয়া হয়েছিল। এক দলীয় সেই অন্ধকার যুগের পরও মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের বৈষম্য মুক্ত ও গণতান্ত্রিক চেতনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ২০০৮ সাল থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১৫ বছরের বেশি সময়ে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বৈষম্য মুক্ত অধিকার প্রতিষ্ঠার সরাসরি বিপরীতে এনে দাঁড় করায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তারা তাদের জুলুম, নির্যাতন ও লুটপাটের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। জণগণের মত প্রকাশ বাধা পায়। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশের গোলাম রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সব রাজনৈতিক দল-মতকে দমিয়ে দেয়া হয়। এভাবে যখন দেশ এক শ্বাসরুদ্ধকর অন্ধকারের মুখোমুখি দাঁড়ায়, তখনই মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের চেতনা প্রতিষ্ঠা করতে তরুণ প্রজন্ম (বিশেষত ছাত্ররা) জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান ঘটায়। এর ফলে স্বৈরাচারের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও অধিকারের দুয়ার আবার খুলে যায়। শেষ হয় সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, দমন-পীড়নের এক অন্ধকার যুগ। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীন হয়ে বিজয় উদযাপনের সুযোগ পেয়েছিল, সেই সুযোগটি কিন্তু আবার আমাদের সামনে এসেছে। আসুন আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে সমাগত বিজয় দিবস ২০২৪ কে সামনে রেখে আমরা শপথ করি দেশের গণতান্ত্রিক চেতনা, সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অর্থনৈতিক সচ্ছতা ও মত প্রকাশের অধিকারকে আমরা আপামর দেশবাসী ও সরকার মিলে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করি। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তার স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করি। দেশপ্রেম ও গণতান্ত্রিক চেতনার প্রদীপ জ্বেলে আমরা এগিয়ে যাই আরো বহুদূর।
খিলগাঁও, ঢাকা ১২১৯


আরো সংবাদ



premium cement
রাণীনগরে সড়কের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার রূপগঞ্জে টেক্সটাইল মিলে ভয়াবহ আগুন সাদপন্থীদের বিচার ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দান-কাকরাইল মসজিদ নিষিদ্ধের দাবি মেহেরপুরে একটি দোকোনে ট্রাক ভিড়িয়ে চুরি গণহত্যা ধামাচাপা দিতে শেখ হাসিনার নির্দেশে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট, পলকের স্বীকারোক্তি ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই মাসে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ভারতের কাছে হার দিয়ে সুপার ফোর শুরু বাংলাদেশের বগুড়ায় ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ফেরত, ক্লোজড এসআই যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ানতানামো কারাগারের ৩ বন্দীর মুক্তি দ্বীন প্রতিষ্ঠায় আলেমদেরকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন প্রধান উপদেষ্টার ‘নির্বাচনী রোডম্যাপে’ হতাশ বিএনপি

সকল