নতুন মহাশূন্য টেলিস্কোপ জেমস ওয়েবের যাত্রা শুরু
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:২৩
মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক যুগের সূচনা ঘটিয়ে এযাবৎকালের সর্বাধিক ক্ষমতাশালী টেলিস্কোপ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
শনিবার গ্রিনিচ মান সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ফরাসি গায়ানার কোউরু মহাকাশ কেন্দ্র থেকে জেমস ওয়েব নামের এই টেলিস্কোপ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।
ইউরোপীয় আরিয়েন রকেট দিয়ে এটিকে মাত্র আধঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে কক্ষপথে স্থাপন করা হবে।
নতুন এই টেলিস্কোপের মূল বৈশিষ্ট্য এর একটি প্রতিফলক আয়না - যা ৬.৫ মিটার চওড়া। বিশালাকৃতির এই আয়নার পেছনে সোনার প্রলেপ লাগানো রয়েছে।
বর্তমানে হাবল নামে যে মহাশূন্য টেলিস্কোপটি কাজ করছে - তার চেয়ে এটি প্রায় তিনগুণ বড় এবং ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো চন্দ্রাভিযানের অন্যতম স্থপতি জেমস ওয়েবের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে।
নতুন টেলিস্কোপটি হাবল টেলিস্কোপের জায়গা নেবে এবং এটি দিয়ে মহাশূন্যের এমন দূরত্ব পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যাবে - যা আগে কখনও সম্ভব হয়নি।
কী দেখা যাবে এই নতুন টেলিস্কোপ দিয়ে?
বিশাল আয়না এবং চারটি অতি-সংবেদনশীল যন্ত্রের কারণে এই জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশবিজ্ঞানীরা মহাশূন্যের অনেক গভীর পর্যন্ত দেখতে পাবেন।
এর ফলে তাত্ত্বিকদের মতে প্রথম যে তারাগুলোর আলোয় সাড়ে ১৩শ কোটি বছর আগেকার বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের পর নেমে আসা অন্ধকার কেটে গিয়েছিল - তার অনুসন্ধান করা যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলেন - সেই সময় ঘটে যাওয়া পারমাণবিক প্রতিক্রিয়ার ফলে প্রথমবারের মত কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ফসফরাস এবং সালফারের মত 'ভারী পরমাণু'গুলো গঠিত হয়েছিল - যা প্রাণ সৃষ্টির জন্য ছিল অত্যাবশ্যক।
জেমস ওয়েবের আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে, বহু দূরের গ্রহগুলোর পরিবেশ কেমন তা পর্যবেক্ষণ করা -যার ফলে তারা অনুমান করতে পারবেন যে সেগুলোতে আদৌ প্রাণীর বসবসের মত পরিবেশ আছে কিনা।
পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে টেলিস্কোপটি স্থাপন করা হবে।
সেখানে মহাশূন্যের তাপমাত্রা হচ্ছে মাইনাস ২৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থাৎ শূন্যের ২৩৩ ডিগ্রি নিচে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা মার্ক ম্যাককফরিয়ান বলেন, ‘সেই চরম শীতল তাপমাত্রাতে তার ইনফ্রারেড তরঙ্গদৈর্ঘ্যগুলো আর জ্বলজ্বল করবে না এবং তার ফলেই জেমস ওয়েব সেই বহুদূরের জগতের ছবি তুলতে পারবে যেখানে প্রথম গ্যালাক্সিগুলো সৃষ্টি হয়েছিলো।’
তিনি আরো বলেন, তখন অন্য তারাগুলোর চারদিকে যেসব গ্রহ ঘুরছে - সেগুলোরও ছবি তোলা সম্ভব হবে।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা