২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

যদি চান সুস্থ শিশু

-

সুস্থ থাকার জন্য যেমন প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিক পরিশ্রম করা দরকার, তেমনি শিশুদেরও দরকার। শারীরিক পরিশ্রমের কারণে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। তা ছাড়া ছোটবেলা থেকেই শারীরিক পরিশ্রম করার অভ্যাস গড়ে তুললে শিশুরা বড় হয়েও খুব সবল ও কর্মঠ হয়ে ওঠে। তাই মা বাবা হিসেবে শিশুর ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখন থেকেই তাদের বাইরে খেলাধুলা করতে উৎসাহিত করতে হবে ও তারা যেন খেলাধুলার সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। শিশুর শারীরিক পরিশ্রম নিশ্চিত করতে নিচের কাজগুলো করতে পারেন।

খেলাধুলা
বাসার আশপাশে খেলার মাঠ থাকলে সেখানে শিশুকে খেলতে দিতে পারেন। ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল আরো কত কী খেলার আছে। এসব খেলার জন্য তেমন কিছু উপকরণও প্রয়োজন হয় না। ফুটবল খেলার জন্য শুধু দরকার একটি ফুটবল ও দু’টি গোলপোস্টের নেট। ব্যাডমিন্টনের ুজন্য প্রয়োজন শাটলকক, র্যাকেট ও একটি নেট। বাস্কেটবল খেলতে প্রয়োজন হয় শুধু একটু জায়গা যেটা হবে বাস্কেটবল কোর্ট, একটি বল আর একটি বল ফেলার হুপ। সাইক্লিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে সেটিও হতে পারে খুব ভালো একটি শারীরিক ব্যায়াম, শুধু দরকার একটি সাইকেলের। শিশুর সুস্থতার জন্য একটি সাইকেলের মূল্য নিশ্চয়ই খুব বেশি নয়।

পিকনিক
পিকনিক মানেই যেকোনো রিসোর্ট বা এমিউজমেন্ট পার্কে যেতে হবে তা কিন্তু না। মাঝে মধ্যে শিশুদের নিয়ে শহরের বাইরে দূরে কোথাও নিয়ে যেতে পারেন যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর সাথে সাথে গাছপালা চিনতে পারবে, বনে জঙ্গলে ঘুরে দেশটাকে চিনতে পারবে। গ্রামের মেঠোপথে হেঁটে গ্রামবাংলাকে চিনতে পারবে, নৌকায় ঘুরে বেড়াতে পারবে।

খেলার ছলে ঘরের কাজ
ছোটবেলা থেকেই শিশুদের ঘরের কাজে অংশগ্রহণ করতে দিলে শিশুরে দায়িত্বশীল হয়ে বেড়ে ওঠে। কিন্তু তাদেরকে এসব শেখাতে হবে খেলার ছলে। এতে করে তাদের কাজও শেখা হবে, শারীরিক সুস্থতাও নিশ্চিত হবে, ঘরের কাজে সাহায্যও হবে।
সাত বছরের বেশি বয়সের শিশুদের আপনার গাড়িটি ধুতে দিতে পারেন, তবে আপনি সামনে থাকবেন তদারক করার জন্য। যদিও শিশুরা গাড়ি ধোয়ার চেয়ে বেশি একে ওপরের গায়ে সাবানের ফেনা ও পানি ছিটাবে, গাড়িও হয়তো তেমন ঝকঝকে তকতকে পরিষ্কার হবে না, কিন্তু আপনার শিশুরা দায়িত্ব নিতে শিখবে, শারীরিকভাবে শক্তিশালী হবে।
বাগানে গাছে বা বারান্দার টবের গাছে পানি দেয়ার দায়িত্বটি আপনার শিশুকে দিন। সে উপভোগ করবে। এই গাছে যখন ফুল ফুটবে তখন সে কিছু অর্জন করার আনন্দ পাবে। তার মধ্যে পরিবেশের যতœ নেয়ার প্রবণতা গড়ে উঠবে।
বাসায় যদি পোষা প্রাণী যেমন কুকুর বা বিড়াল থাকে তাহলে মাঝে মধ্যে সেই প্রাণীটিকে গোসল করানোর দায়িত্ব দিতে পারেন আপনার শিশুদেরকে। খেয়াল রাখবেন যেন প্রাকৃতিক শ্যাম্পু দিয়ে পোষা প্রাণীটিকে গোসল করানো হয়। অন্য কোনো শ্যাম্পু দিলে হয়তো শিশুরা খেয়াল রাখতে পারবে না, শ্যাম্পু চোখে চলে যেতে পারে। তাই প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যেন প্রাণীটির চোখ না জ্বলে।

 


আরো সংবাদ



premium cement