উৎসবে মেহেদি : ঈদ আয়োজন
- নিপা আহমেদ
- ২৮ মে ২০১৯, ০০:০০
ঈদ উৎসবের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো মেহেদির নকশা। হাতে মেহেদির নকশা না হলে ঈদের সাজ যেন পরিপূর্ণ হয় না। মেহেদির নকশায় হাত রাঙিয়ে তোলা ঈদ উৎসবের অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ, যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে সময়ের সাথে সাথে ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক মেহেদির পাশাপাশি বাজারে পাওয়া টিউবের ব্লাক ও ব্রাউন হেনা বা হোয়াইট হেনা বা সাদা মেহেদির চাহিদাও বেড়েছে। আজকাল হেনা ট্যাটু ও ট্যাটু স্টিকারের জনপ্রিয়তাও মেয়েদের কাছে অনেক। ঈদের সাজে হরেক রকম মেহেদির ব্যবহার নিয়ে জানাচ্ছেন টু ফেইসড বিউটি জোনের স্বত্বাধিকারী ও বিউটি এক্সপার্ট দিলশাদ শম্পা।
ট্রেডিশনাল মেহেদি : ভারতীয় উপমহাদেশে লাল হেনা বা মেহেদি সব সময়ই জনপ্রিয়। যেকোনো রঙের ত্বকেই গাঢ় রঙের মেহেদির নকশা খুব চমৎকারভাবে মানিয়ে যায়। আর পরিচ্ছন্ন ঝকঝকে হাতে গাঢ় লাল মেহেদির নকশা বিশেষভাবে নজর কাড়ে সবার। যারা ঈদের জন্য কিছুটা ট্রেডিশনাল সাজসজ্জা পছন্দ করেন তারা প্রাকৃতিক মেহেদি অথবা টিউবের ব্রাউন মেহেদি দিয়ে হাতে পায়ে বিভিন্ন মোটিফের নকশা করতে পারেন।
হোয়াইট হেনা ও বিভিন্ন রঙের হেনার ফ্যাশনেবল নকশা : হোয়াইট হেনা মূলত সাদা রঙের বডি পেইন্ট। ফ্যাশন জগতে ইদানীং বেশ জনপ্রিয় এই হোয়াইট হেনা। সাজসজ্জায় আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে হাতে, বাহুতে হোয়াইট হেনার নকশার জুড়ি নেই। তবে যেহেতু এটা প্রাকৃতিক মেহেদির মতো নয়, তাই এই বডি পেইন্ট ব্যবহারের জন্য স্যালুন বা বিউটি পার্লারের সাহায্য নেয়া ভালো। পোশাকের রঙের সাথে মিলিয়ে বেশ কয়েক রঙের পেইন্ট দিয়েও অনেকেই হাতে নকশা আঁকতে পছন্দ করেন। লাল, সবুজ, বেগুনি, নীল ইত্যাদি রঙের নকশায় গ্লিটারস দিয়েও হাত আকর্ষণীয় করা হয়।