২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আভিজাত্যে লেদার জ্যাকেট

রঙের ঝলক
-


শীত মওসুমের ফ্যাশন এক্সেসরিজের অন্যতম অনুষঙ্গ জ্যাকেট। তরুণদের কাছে জ্যাকেটের জনপ্রিয়তা রয়েছে সবসময়। বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের জ্যাকেটের পাশাপাশি লেদারের জ্যাকেটও তরুণদের প্রায় প্রত্যেকের শীত পোশাকের কালেকশনে থাকে। তবে জ্যাকেটের মধ্যে লেদারের জ্যাকেটের রয়েছে আলাদা জনপ্রিয়তা। আর এ বছর লেদার জ্যাকেটের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে প্রায় একচেটিয়া। শুধু ছেলেরা নয়, মেয়েরাও তাদের শীতপোশাক হিসেবে বেছে নিচ্ছে লেদারের জ্যাকেট।
লেদারের জ্যাকেট জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে। ক্যাজুয়াল অথবা পার্টি সব ধরনের পরিবেশে লেদার জ্যাকেট হয়ে উঠতে পারে আকর্ষণীয় পরিধেয়। বেশি শীতে সোয়েটারের ওপর একটা লেদার জ্যাকেট পরে নিলে সহজেই আনা যায় স্মার্ট লুক।
ডিনার, পার্টি বা বন্ধুদের আড্ডাÑ সব জায়গায় জ্যাকেট হয়ে উঠতে পারে তরুণদের অন্যতম ফ্যাশন অনুষঙ্গ। কারণ লেদার জ্যাকেট ফ্যাশনের সাথে সাথে ব্যক্তিত্ব ও আভিজাত্যকেও প্রকাশ করে।
এমনকি সাধারণ স্ট্রাইপ শার্টের সাথেও পরে নিতে পারেন একটা লেদার জ্যাকেট। এতেও আপনাকে দেখাবে পরিপাটি। অফিস শেষে সরাসরি পার্টিতে যাবেন এ ক্ষেত্রেও লেদার জ্যাকেট হতে পারে একই সাথে আপনার সারা দিনের ও পার্টির পোশাক। এ ক্ষেত্রে শার্টের সাথে রাখুন কালো জিন্সের প্যান্ট। আরামের জন্য লেদার জ্যাকেটের সাথে রাখুন সুতির শার্ট। এমনকি টি শার্টও পরতে পারেন। আরামের সাথে ফ্যাশনেবল হয়ে উঠতেও কোনো সমস্যা নেই এই পোশাকে। ডেনিম জিনস আর একরঙা শার্টের সাথে নিন জ্যাকেট। ক্যাজুয়াল আউটফিট হিসেবে চমৎকার মানাবে।
মেয়েদের ফ্যাশনেও লেদার জ্যাকেট ভালোভাবেই জায়গা করে নিয়েছে। টপস, শার্ট, সিঙ্গেল কামিজ বা কুর্তি যেকোনো আউটফিটের সাথে মেয়েরাও বেছে নিতে পারেন জ্যাকেট। সেমি লং জ্যাকেট মানাবে কুর্তি বা সিঙ্গেল কামিজের সাথে। টপস বা শার্টের সাথে বেছে নিতে পারেন শর্ট লেদার জ্যাকেট। কালো, নীল, বাদামি ও লাল রঙের জ্যাকেট প্রধানত তরুণরা ব্যবহার করে থাকেন। লাল রঙের জ্যাকেটের সাথে পলো শার্ট বেছে নিতে পারেন স্টাইলিশ একটি লুকের জন্য।
বিভিন্ন ডিজাইনের লেদার জ্যাকেট বাজারে দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ক্লাসিক লেন্থ জিপ ফ্রন্ট, বোম্বার স্টাইল, মোটরবাইক, ফোর বাটন-টু বাটন, রাইডিং জ্যাকেট প্রভৃতি। এ ছাড়া স্লিভলেস জ্যাকেটও রয়েছে। হালকা শীতে এই জ্যাকেটগুলোও বেশ স্টাইলিশ। লেদার জ্যাকেটের লেন্থেও রয়েছে ভ্যারিয়েশন। লং, সেমি লং, শর্ট সব ধরনের লেন্থে লেদার জ্যাকেট পাওয়া যায়। বৈচিত্র্য আনতে লেদার জ্যাকেটে বিভিন্ন ধরনের জিপার, বাটন, পাইপিং, মেটাল, পকেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মেয়েদের জ্যাকেটে কখনো কখনো এমব্রয়ডারির নকশাও দেখা যায়। এ ছাড়া এক রঙের পাশাপাশি প্রিন্টেড লেদারও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পিওর লেদারের জ্যাকেটের মধ্যে ভেড়ার চামড়ার লেদার জ্যাকেট সবচেয়ে দামি। চার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হতে পারে এসব লেদার জ্যাকেটের। তবে সিনথেটিক, মিক্স সিনথেটিক ও গরুর চামড়ার তৈরি জ্যাকেট পাওয়া যাবে অপেক্ষাকৃত কম দামে। আর্টিফিশিয়াল লেদারের জ্যাকেটও রয়েছে বাজারে। আরো রয়েছে র্যাকসিনের জ্যাকেট। র্যাকসিনের জ্যাকেটগুলো দামে সহজলভ্য হওয়ায় বেশ চাহিদা রয়েছে।
লেদার জ্যাকেটের সাথে বুট জুতা সবচেয়ে ভালো মানায়। তাই লেদার জ্যাকেট পরলে এর সাথে বুট জুতা রাখতে পারেন। তবে পার্টিতে লেদার জ্যাকেটের সাথে স্যু পরতে পারেন। ক্যাজুয়াল আউটফিটের সাথে অবশ্য স্নিকারও ভালো মানিয়ে যায়।
আজকাল ওয়েস্টেকস, এক্সট্যাসিসহ বড় বড় ব্র্যান্ড শপে লেদারের জ্যাকেটের ভালো কালেকশন রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলগুলোতেও পেয়ে যাবেন লেদার জ্যাকেট। পাতলা ও ছোট আকারের জ্যাকেট কিনতে খরচ পড়বে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। মোটা চামড়ার জ্যাকেটের দাম পড়বে চার থেকে ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া অর্ডার দিয়েও লেদার জ্যাকেট বানানো যায়।
ব্যবহার করার পাশাপাশি লেদারের জ্যাকেটের যতœ নিতে হয় নতুবা দামি জিনিসটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
হ লেদার জ্যাকেট ব্যবহারের পর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে আলমারিতে হাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন।
হ কাঠের আলমারিতে লেদার ভালো থাকবে।
হ কড়া রোদে রাখবেন না।
হ বডিলোশন, বডিঅয়েল, বডি স্প্রে বা অন্যান্য প্রসাধন থেকে লেদারের জ্যাকেট দূরে রাখুন।

 


আরো সংবাদ



premium cement