বিজয় দিবসের সাজ : রূপ কথা
- ফাহমিদা জাবীন
- ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
জাতীয় চেতনাকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সাজপোশাক এখন অন্যতম একটি মাধ্যম। কয়েক বছর ধরে এ কাজটা খুবই আন্তরিকতার সাথে করে যাচ্ছেন আমাদের ফ্যাশন হাউজ ও বিউটি পার্লারগুলো। যা আমাদের জীবনে এনেছে নতুন এক ধারা। এ বছরের বিজয় দিবসের সাজ ও পোশাক নিয়ে কথা বলেছেন স্রোতধারা ফ্যাশন হাউজ ও বেয়ার বিজ বিউটি সেলুনের কর্ণধার শারমিন সেলিম তুলি।
পোশাক : এ দিবসগুলোতেই নিজেদের সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। দিবসগুলো আমাদের কাছে গর্বের আর অহঙ্কারের। আমাদের পতাকার লাল-সবুজ রঙ বাঙালির পোশাকে উঠে আসে। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টি-শার্ট, ফতুয়াতে ইতিহাস-ঐতিহ্য, দেশীয় চেতনার ছোঁয়ায় নিজেদের রাঙিয়ে তোলেন নারীরা। আর বাঙালিয়ানা মানেই তো শাড়ি। তাই শাড়িতে সেজে উঠতে চান নারীরা। তবে শাড়ির পাশাপাশি সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়ার ফ্যাশনও কম যায় না। তাঁতের শাড়ি, টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়িগুলো বেশ মানিয়ে যায় এ দিবসগুলোতে। আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোর তৈরি লাল কিংবা সবুজ অথবা এ দুটো রঙের মিশ্রণে তৈরি শাড়ি এ দিবসের জন্য বেছে নিন।
ব্লক ও প্রিন্টের শাড়িও সব বয়সী নারীদের বেশ ভালো মানিয়ে যাবে। যারা আরেকটু গর্জিয়াস শাড়ি পরতে চান, তাদের জন্য কাপড়ে বৈচিত্র্য আনতে ব্লক ও প্রিন্টের শাড়িতে কাঁথা, চুমকি ও গ্লাসের কাজ করা শাড়ি কিংবা তসর সিল্ক বেশ মানিয়ে যাবে। এখন শাড়ির সাথে ব্লাউজেও থাকে বাহারি রঙের ছোঁয়া। আর এর সাথে যোগ হয়েছে নতুন ডিজাইন। যারা শাড়ি পরতে চান না, তারা সালোয়ার-কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, টপস, সিঙ্গেল ওড়না, ফতুয়া জিন্স পরতে পারেন অনায়াসে।
গয়না : বাঙালি নারীর সাজ গয়না ছাড়া যেন অপূর্ণ। শাড়ির সাথে লাল-সবুজ হাত ভরা রেশমি কাচের চুড়ি অথবা বিভিন্ন মেটালের চুড়ি পরা যেতে পারে। গলা, কানে গয়না হিসেবে বিডস, পার্ল, মেটালের গয়না দিবসভিত্তিক সাজপোশাকে বেশ মানিয়ে যায়। কারণ এ ধরনের গয়নাতে নান্দনিকতার ছোঁয়ার সাথে থাকে দেশীয় উপাদানের সংমিশ্রণ।
মেকআপ : এবার আসা যাক মেকআপ আর চুলের সাজসজ্জায়। দিনের বেলায় হালকা করে সাজুন। প্রথমে মুখে পাঁচ মিনিট ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ত্বক নরম করে নিন।
তারপর ফোঁটা ফোঁটা স্টিক ফাউন্ডেশন লাগিয়ে ভালোমতো ত্বকের সাথে মিশিয়ে নিন। হালকা ফেস পাউডার লাগান, তার ওপর পিচ কিংবা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিন। চোখে পানিরোধক কাজল টেনে নিন। শাড়ি বা পোশাকের সাথে ম্যাচ করে শ্যাডো পরে নিন। পাপড়িতে মাশকারা দিলে সুন্দর দেখাবে চোখ। ঠোঁটে লিপস্টিকে দিন দিনের সাজে গোলাপি, ব্রাউন, লাল, কমলা রঙের শেড। সব শেষে শাড়ির পাড়ের রঙের সাথে মিলিয়ে টিপ পরে নিন। আর রাতের সাজে স্মোকি চোখের সাজই মেকাপে পরিপূর্ণতা আনবে। চোখের কাজল রেখা ঘেঁষে ঘন করে আইলাইনার লাগান। নিচের পাতার ভেতরের অংশে ঘন কাজল দিয়ে নিচে বাদামি শ্যাডো টানুন। পাপড়িতে ঘন করে মাশকারা দিন। আর রাতে চোখে যেকোনো শ্যাডো পরতে পারেন। সে ক্ষেত্রে হাইলাইট হতে পারে সোনালি, বাদামি, রূপালী, পার্ল ও তামাটে রঙ। চোখের কোণে একটু কালো শ্যাডো মিশিয়ে নিলেই চোখের সাজের সাথে পরিপূর্ণতা পাবে রাতের সাজ। সকালে চুল শ্যাম্পু করে কন্ডিশনিং করে নিন। খোলা চুলে ওয়েভ কার্ল, স্পাইরাল করে নিতে পারেন। যারা চুল আটকে রাখতে চান তারা চুলে বেনি করতে পারেন, পনিটেল, ফ্রেঞ্চ বেনি করে নিলেও ভালো লাগবে। শাড়ির পরলে সাথে হাত খোঁপা করে নিতে পারেন। খোঁপায় গুঁজে নিতে পারেন লাল একটা গোলাপ, অথবা হরেক রকম চুলের কাঁটা গুঁজে খোঁপায় তুলুন নতুন ছন্দ। সব শেষে সুগন্ধির ছোঁয়া আপনাকে সতেজ ও ফুরফুরে রাখবে সারা দিন।