২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গয়নায় বৈচিত্র্য : রঙের ঝলক

-

গয়না ছাড়া কি পূর্ণতা পায় নারীর সাজ? কখনো না। সেই আদিকাল থেকেই নারীর সাজের সাথে জড়িয়ে আছে গয়না বা অলঙ্কার। সাধারণ সাজ হোক অথবা উৎসব, গয়না থাকতেই হবে। সেটা ছোট্ট একজোড়া কানের দুল হোক অথবা জড়োয়া সেট।
এক সময় সাজে গয়নাই ছিল মুখ্য। গয়না পরেছেন, এটিই ছিল মূল বিষয়। বৈচিত্র্য ততটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কিন্তু এখন বৈচিত্র্যই বেশি গুরুত্ব পেয়ে থাকে। একই গয়না সব অনুষ্ঠানে পরা যায় না। ভিন্ন সাজের সাথে চাই ভিন্ন ডিজাইনের গয়না। অফিসে বা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে হালকা কিছু গয়না পরতে পারেন। তবে উৎসবে বা অনুষ্ঠানের জন্য চাই ভারী গয়না। এখন পোশাকের সাথে মিলিয়ে বেছে নেয়া হয় গয়না। তাই এর ডিজাইন, ম্যাটেরিয়ালেও রয়েছে বৈচিত্র্য। আজকাল অনলাইনে বিক্রি হয় গয়না। বিভিন্ন অনলাইন শপের ফেসবুকে ঢুকলেই পেয়ে যাবেন গয়নার পসরা। মার্কেটগুলোতে গয়নার বিশাল আয়োজন তো রয়েছেই। বিভিন্ন সময়ে গয়নার ডিজাইনে আসে নতুনত্ব। এ সময়ে জড়োয়া ও ভারী গয়নার প্রচলন বেশি।
এ সময়ে গয়না : সোনার গয়না সাধারণত বড় পার্টি ব্ াউৎসবে পরা হয়। তবে দামি ও নিরাপত্তার অভাবে আজকাল সোনার গয়না অনেকে কমই পরে থাকে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি চলছে জার্মান সিলভার। এ সিলভার দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গয়না। কখনো মূল রঙটাই থাকছে বা কখনো এতে দেয়া হচ্ছে গোল্ড, কপার অথবা এন্টিক কালার। জার্মান সিলভার ছাড়াও গয়না তৈরি হচ্ছে সিলভার বা রুপা, মেটাল, অক্সিডাইস, পিতল, মুক্তা, পুঁতিসহ বিভিন্ন উপাদানে। ডিজাইনে বৈচিত্র্য আনতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পাথর। হীরা, পান্না, রুবি ও পার্লের মতো দামি রতেœর ব্যবহার এখন অনেকটাই কম। এর বদলে এসেছে আর্টিফিসিয়াল স্টোন, টারকোয়িজ, ব্লাডস্টোন, কোরাল, মালাকাইটসহ কাচ ও প্লাস্টিকে তৈরি স্টোন ব্যবহার হচ্ছে গয়নায়।
চওড়া জড়োয়া নেকলেস এ সময়ে বেশ জনপ্রিয়। কনের বিয়ের গয়না থেকে শুরু করে যে কেউ বেছে নিচ্ছেন চওড়া নেকলেস, জমকালো সাজের সাথে ম্যাচিং করে। ক্রিস্টাল, সিলভার, মেটাল ও স্টোনের সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের চওড়া নেকলেস আর সাথে থাকছে বিভিন্ন ঝালর।
একই সাথে আরেকটি গয়না এ সময়ে বেশ চলছে, সেটি হচ্ছে চোকার। গলায় পরার এ গয়না বেশ স্মার্ট একটি লুক এনে দেয়। যারা হালকা গয়না পরতে পছন্দ করেন তাদের অনেকেই এই চোকার বেছে নিচ্ছেন।
এ সময়ের আরেকটি গয়না রতনচূড়। আঙুলসহ হাতের চুড়ির সাথে মিলিয়ে বানানো ঐতিহ্যবাহী এ গয়নাটি এখন বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে তরুণীদের মধ্যে। পার্ল চেইন, পুঁতি প্রভৃতি ব্যবহার করা হচ্ছে এর ডিজাইনে বৈচিত্র্য আনতে।
পায়েল এ সময়ের গয়নাগুলোর মধ্যে ব্যাপক ব্যবহৃত একটি গয়না। অসংখ্য ডিজাইনে পাওয়া যাচ্ছে পায়েল। রুপা, অক্সিডাইস, পিতল, পমপম, পুঁতি সুতা সব কিছুই পাওয়া যাবে পায়েলের ডিজাইনে। এসব ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন ছাড়াও অভিনব সব ডিজাইন ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে গয়না। আকর্ষণীয় এসব গয়না বেশ ইউনিক। নিমিষেই ফ্যাশনে আনবে চমক। বাজার ঘুরলেই দেখবেন গয়নার অসংখ্য ডিজাইন। বৈচিত্র্যে ভরা এসব গয়নার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছেই।
গয়নার যতœ : গয়না স্বর্ণের হোক অথবা ইমিটেশন বা মেটালের, যতœ কিন্তু সব কিছুরই প্রয়োজন।
ষ স্বর্ণের গয়না সাবান-পানিতে ভিজিয়ে রেখে নরম ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে মুছে রাখতে পারেন। জৌলুস বজায় থাকবে।
ষ মেটালিক গয়না সাবান-পানি থেকে দূরে রাখুন। ব্যবহারের পর শুকনো নরম কাপড় দিয়ে মুছে রাখুন।
ষ গয়না নরম তুলা দিয়ে মুড়ে রাখুন, অনেক দিন রঙ থাকবে।
ষ বিভিন্ন মেটালের গয়না আলাদা আলাদা রাখুন। একটার সংস্পর্শে অন্য ধাতুর ক্ষতি হতে পারে।
ষ পাথর বসানো থাকলে পাথরের ওপর ট্রান্সপারেন্ট নেলপলিশ এক কোট লাগিয়ে নিন। পাথর সহজে পড়বে না।
ষ মুক্তা, পান্না, ফিরোজা প্রভৃতি গয়না সাবান-পানিতে দেয়া যাবে না।


আরো সংবাদ



premium cement