২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পরীক্ষার প্রস্তুতি : রঙের ফিচার

-

বছর শেষের এই সময়টা ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুবই উদ্বেগের। কারণ এ সময়ই শুরু হয় স্কুলের বিভিন্ন পর্যায়ের পরীক্ষা। জেএসসি পরীক্ষা চলছে। এরপরই শুরু হবে পিএসসি ও স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা। সারা বছর পড়াশোনা করার পরও বার্ষিক পরীক্ষার সময় এলেই ছাত্রছাত্রীরা কিছুটা ভীতিতে ভোগে। সবার মেধা সমান হয় না। তাই সবার প্রস্তুতিও এক রকমের হবে না। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সেটি সবার জন্যই পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হতে পারে।
সময়সূচি তৈরি করা : প্রথমেই সুবিধা অনুযায়ী একটি টাইম-টেবিল তৈরি করে নিতে হবে। কখন স্কুল, কখন কোচিং, বাড়িতে কতক্ষণ পড়াশোনা করতে হবে থেকে শুরু করে বিশ্রাম, খেলাধুলা পর্যন্ত এই রুটিনে সময় বেঁধে দিতে হবে। সেই সাথে কোন বিষয় কতক্ষণ পড়া হবে, সেটিও ঠিক করতে হবে।
ভয়কে জয় করা : ভয় ও মানসিক চাপ ভালো নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। ভালো প্রস্তুতি থাকার পরও ভয় ও নার্ভাসনেসের কারণে পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভোগে। ফলে পরীক্ষা ভালোভাবে দিতে পারে না। তাই ভয়ের বিষয়টি প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। ‘আমি পারব’ এই আত্মবিশ্বাস নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নোট রাখা : সব পড়া শুধু মুখস্থ না করে বরং ছোট ছোট নোট তৈরি করে নিতে হবে। কারণ মুখস্থ করা বিষয় ভুলে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই শেখার সময় ছোট ছোট নোট রাখলে সেগুলো মনে রাখা সহজ হবে।
পড়ার জায়গা : পড়ার জায়গাটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পড়ার জায়গাটি অবশ্যই আরামদায়ক হতে হবে, যেন পড়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ দেয়া যায়। পড়ার ফাঁকে কিছুটা রিলাক্স করার সুযোগও থাকতে হবে।
নিজের ওপর আস্থা : নিজের ওপর আস্থা থাকা জরুরি। ফলে পরীক্ষা হলেও প্রশ্ন কমন পড়েনি দেখে ঘাবড়ে যেতে হবে না।
খাওয়া ও বিশ্রাম : পরীক্ষার সময় খাওয়া ও ঘুম ঠিকমতো না করা ছাত্রছাত্রীদের বড় ভুল। কারণ ঘুম ঠিকমতো না হলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে মাথা ধরা, ঘুম ঘুম ভাব, বমিভাব এসব সমস্যা দেখা দিতে পারে। একইভাবে পুষ্টিকর খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। জাঙ্কফুড বাদ দিতে হবে। তার বদলে এনার্জি বাড়াবে এমন খাবার খেতে হবে।
পড়ার সময় : গবেষণায় দেখা গেছে, ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা ও সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টাÑ এ সময়টায় মানুষের মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে বেশি। তাই ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার জন্য এ সময়টা বেছে নিলে অপেক্ষাকৃত ভালো ফল পাবে।
খাতায় পরিষ্কার করে লেখা : পরীক্ষার খাতায় পরিচ্ছন্নভাবে লেখা হলে ও ঠিকমতো উপস্থাপন করা হলে নম্বর বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই পরীক্ষার খাতায় কাটাকুটি না করে পরিচ্ছন্নভাবে লেখার চেষ্টা করতে হবে।
পুরো বিষয় পড়া : যেকোনো বিষয় মাঝখান থেকে পড়া ঠিক নয়। লেখা যত বড়ই হোক পুরো চ্যাপ্টার পড়ে তার থেকে বেছে নিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ অংশটুকু। তাহলে যথার্থ উত্তর দেয়া সম্ভব হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement