শবে কদরে কি ভাগ্য লেখা হয়, এই রাতের বিশেষত্ব কী?
- ফাতেমা বিনতে আশরাফ
- ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৩
শবে কদর কী?
আরবিতে ‘লাইলাতুল কদর’, বাংলায় কদর রজনী, এর ফারসি হলো- শবে কদর। অর্থ সম্মানিত রজনী কিংবা ভাগ্যনির্ধারণী রজনী। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর যে কোনো একটি রাত শবে কদর। তবে এককভাবে সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় না যে এটা আসলে এই রাত। তবে হাদিসে বিভিন্ন ইঙ্গিতে কিছুটা সম্ভাবনা তৈরি হয় যে শবে কদর হলো রমজানের ২৭ তারিখে। মানে ২৬তম রোজার দিন রাতে। কারণ, হিজরিতে দিনের আগে রাত গণনা করা হয়।
শবে কদরের গুরুত্ব
ইসলামী শরিয়তে শবে কদরকে বছরের শ্রেষ্ঠ রাত আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ রাতেই হজরত মোহাম্মদ সা:-এর ওপর পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি এটি নাজিল করেছি ‘লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জান কদরের রাত কি? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও অধিক শ্রেষ্ঠ। এ রাতে ফেরেশতারা ও রুহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। (এ রাতে বিরাজ করে) শান্তি আর শান্তি- ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত।’ (সূরা কদর)
শবে কদরের ফজিলত
পবিত্র এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। গোনাহ মাফ করানোর সুবর্ণ সুযোগ এ রাত। হাদিস শরিফে আল্লাহর রাসুল সা: বলেছেন, ‘লাইলাতুল কদরে যে ব্যক্তি ইমান ও সওয়াবের নিয়তে কিয়াম (নামাজ পড়বে) করবে, তার পূর্বের সব পাপ মোচন করা হবে।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস: ৭৬০)
একইসাথে যে এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, তাকে দুর্ভাগা আখ্যা দেয়া হয়েছে। হজরত আনাস ইবনে মালেক রা: বর্ণনা করেন, ‘রমজান মাস এলে রাসূল সা: সাহাবিদের উদ্দেশে বলতেন, তোমাদের কাছে এই মাস সমাগত হয়েছে, তাতে এমন একটি রাত রয়েছে, যা এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে প্রকৃতপক্ষে সব কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত। একমাত্র (সর্বহারা) দুর্ভাগাই এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৪৪)
শবে কদরে ভাগ্য লেখা হয়
ভাগ্য লেখা হয় কোন রাতে– এমন প্রশ্নের জবাবে কেউ কেউ বলে থাকেন, শবে বরাতে। তবে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন যে– ভাগ্য লেখা হয়ে শবে কদরে। তিনি বলেন, ‘হা-মিম! শপথ! উজ্জ্বল কিতাবের, নিশ্চয়ই আমি তা নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে; নিশ্চয়ই আমি ছিলাম সতর্ককারী। যাতে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারিত হয়।’ (সূরা দুখান, আয়াত: ১-৪)।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা