২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

যেমন ছিল রাসূল সা:-এর ইতিকাফ

- প্রতীকী ছবি

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সা: রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৭১) শেষ দশকে ইতিকাফ করার কারণ ছিল, ওই সময়ে তিনি লাইলাতুল কদর তালাশ করতেন। হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সা: রমজানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০২০)

রাসূল সা:-এর ইতিকাফ যেমন ছিল
রাসূলুল্লাহ সা: ইবাদতের জন্য মসজিদের একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে নিতেন, সেখানে তিনি সব রকমের ইবাদত করতেন। যেমন- নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির ইত্যাদি। প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে কথা বলতেন না, এমনকি প্রয়োজন ছাড়া কোনো স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করতেন না। কেননা, ইতিকাফ অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে একান্তে মিলিত হওয়া জায়েজ নেই। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না।’ (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৮৭)।

ইতিকাফের সময়সীমা
রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসে নিয়মিত ইতিকাফ করতেন এবং তাঁর সাহাবি, স্ত্রীদেরকেও ইতিকাফ করার আহ্বান জানাতেন। হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা: মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন, তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রীরাও ইতিকাফ করেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০২৬)

শেষ দশক ছাড়াও তিনি মধ্যবর্তী দশ দিনে ইতিকাফ করেছেন। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সা: রমজানের মধ্যবর্তী দশ দিনে ইতিকাফ করেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০২৭) রাসূলুল্লাহ সা: ই‘তিকাফের ইচ্ছা করলে ফজরের সালাত আদায়ের পর তাঁর ইতিকাফের স্থানে প্রবেশ করতেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৬৪)

ইতিকাফের স্থান
রাসূলুল্লাহ সা: ইতিকাফের জন্য মসজিদকে গ্রহণ করেছেন, হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আয়েশা রা: বলেছেন যে, তিনি ঋতুবতী অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সা:-এর চুল আঁচড়ে দিতেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ অবস্থায় মসজিদ থেকে তাঁর (আয়েশার) কক্ষের দিকে তাঁর কাছে মাথাটা বাড়িয়ে দিতেন। তখন তিনি মাথার চুল আঁচড়াতেন অথচ তিনি ছিলেন ঋতুবতী। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৬)


আরো সংবাদ



premium cement