২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

যে নবী সর্বপ্রথম কলম দিয়ে লিখেছেন

আল্লাহর নবী হজরত ইদরিস আ: সর্বপ্রথম কলম ব্যবহার করেছেন। - ছবি : সংগৃহীত

ইসলামে শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআনের সর্বপ্রথম আয়াত নাজিল হয় শিক্ষা বিষয়ে। আর শিক্ষার অতি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো কলম। ইসলামে শিক্ষা ও কলমের মর্যাদা কতটুকু, তা বোঝা যায় কুরআনে কারিমের সর্বপ্রথম নাজিল হওয়া চারটি আয়াতের মাধ্যমে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পড় তোমার প্রতিপালকের নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন তিনি মানুষকে জমাট-বাঁধা রক্তপিন্ড থেকে। পড়, আর তোমার রব বড়ই অনুগ্রহশীল। যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন।’ সুরা আলাক, আয়াত : ১-৪)

কলম সর্বপ্রথম সৃষ্টি
মহান আল্লাহ সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর রাসূল সা:-এর সাহাবী উবাদাহ বিন সামেত রা: বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূল সা:-কে বলতে শুনেছি- নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করেছেন। তারপর কলমকে বললেন, লেখ, কলম বললো, কী লিখব? আল্লাহ বললেন, কেয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি বস্তুর ভাগ্য লেখ।’ এভাবেই কলমের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার সব সৃষ্টির নিয়তি লিখলেন।

অন্য হাদীসে মহানবী সা: বলেন, ‘আল্লাহ সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করেন এবং তাকে লেখার নির্দেশ দেন। সে মতে কলম কেয়ামত পর্যন্ত যা কিছু হবে, সব লিখে ফেলে। এ কিতাব আল্লাহর কাছে আরশে রক্ষিত আছে।’ (তাফসিরে কুরতুবি)।

সর্বপ্রথম যিনি কলম দিয়ে লিখেছেন
ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাক বলেন, আদম সন্তানদের মধ্যে সর্বপ্রথম আল্লাহর নবী ইদরিস আ: কলম দ্বারা লেখেন। বেশির ভাগ ইতিহাসবিদ মনে করেন, মহানবী সা: হাদীস শরীফে সর্বপ্রথম লেখার দিকে যে অনির্দিষ্ট নবীর কথা উল্লেখ করেছেন তিনি হজরত ইদরিস আ:। আল্লাহর নবী সা: বলেন, ‘নিশ্চয়ই তিনি একজন নবী ছিলেন, যিনি লিখন পদ্ধতির সূচনা করেন। যে তাঁর মতো লিখতে চায় সে যেন তা করে।’

আরো যেসব কাজের সূচনা করেন হজরত ইদরিস আ:
বর্ণিত আছে- হজরত ইদরিস আ:-ই সর্বপ্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞান, ওজন ও পরিমাপ পদ্ধতি এবং লোহার অস্ত্র ইত্যাদি আবিষ্কার করেন। সর্বপ্রথম কাপড়ও সেলাই করেন তিনি। নগরায়ণ পদ্ধতির আবিষ্কারকও হজরত ইদরিস আ:। তিনি ১৮৮টি নগরের গোড়াপত্তন করেন এবং সেগুলোর নকশাও আঁকেন।

ইদরিস আ:-এর পরিচয়
ইদরিস আ:-এর বংশধারা শিস ও আদম আ:-এর পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। তার বংশপরম্পরা নিম্নরূপ- ইদরিস বিন ইয়াদির বিন মাহলাইল বিন কিনান বিন আনুশ বিন শিস আ:। তাওরাতে তাকে বানুখ নামে সম্মোধন করা হয়েছে। তার উপাধি ছিল হারমাসুল হারামিসাহ। ইবনে ইসহাক বলেন, ইদরিস আ: ৩০০ বছরের বেশি সময় জীবিত ছিলেন। পবিত্র কুরআনে দুবার ইদরিস আ:-এর নাম এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘এই কিতাবে ইদরিসের কথা আলোচনা করো, তিনি ছিলেন সত্যবাদী নবী। আমি তাকে সুউচ্চ আসনে সমাসীন করেছিলাম।’ (সুরা : মারিয়াম, আয়াত : ৫৬-৫৭)

-আল মাউদু অবলম্বনে


আরো সংবাদ



premium cement
তোফাজ্জল হত্যা : ঢাবির ৬ শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার কুমিল্লা-১০ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে : ইয়াছিন আরাফাত চুয়াডাঙ্গায় মাদক কারবারে বাধা দেয়ায় ৪ জনকে কুপিয়ে জখম সুইসাইড নোটে ঋণের কথা লিখে বিমানকর্মকর্তার আত্মহত্যা যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে আলেমদের সাথে জুলুম করার কারণে আ’লীগের এই পরিণতি হয়েছে : আব্দুল হালিম এক বছরের মধ্যে লেবাননে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরাইলের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস ঢাবিতে ‘দলীয় রাজনীতি’ বন্ধ হলে সমন্বয়করা কি কার্যক্রম চালাতে পারবে? শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে

সকল