২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জুমার দিনে যে আমলে এক বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব হয়

জুমার দিনে যে আমলে এক বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব হয় - ছবি : সংগৃহীত

জুমার দিন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে অনেক বড় একটি নেয়ামত। এ দিনকে সাইয়িদুল আইয়াম বা সমস্ত দিনের সরদার বলা হয়। এ দিনে ইবাদতের নির্দেশ ও গুরুত্ব তুলে ধরে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা বন্ধ করে দাও। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বোঝো। অতঃপর নামাজ শেষে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহের সন্ধান কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরা জুমআ, আয়াত ৯-১০)

জুমার দিনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে নবীজি সা. বলেছেন, নিঃসন্দেহে জুমার দিন সেরা দিন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে সর্বোত্তম দিন। (ইবনে মাজাহ)
আমলের দিক থেকে মহান আল্লাহ তায়ালা যেসব দিনকে ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করেছেন এর অন্যতম হলো জুমার দিন। এ দিনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক আহকাম ও ঐতিহাসিক ঘটনা। সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ।

জুমার ফজিলত সম্পর্কে নবীজি সা. বলেছেন, এক জুমা থেকে অপর জুমা উভয়ের মাঝে (গোনাহের জন্য) কাফ্ফারা হয়ে যায়, যদি কবিরা গোনাহের সাথে সম্পৃক্ত না থাকে। (মুসলিম)

জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা থাকেন। যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম মসজিদে প্রবেশ করে তার নাম লিখে রাখে। এর উদাহরণ হলো, প্রথম ব্যক্তি একটি উট কোরবানির সওয়াব পাবে, এরপর যে প্রবেশ করবে একটি গরু কোরবানির সওয়াব পাবে, এর পর যে প্রবেশ করবে সে দুম্বা কোরবানির সওয়াব পাবে, এরপর যে প্রবেশ করবে সে মোরগ কোরবানির সওয়াব পাবে। (বুখারি ও মুসলিম শরীফ)

জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে। যা অত্যন্ত সহজ; কিন্তু সওয়াব বেশি।

হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, আগে আগে মসজিদে গেল, পায়ে হেঁটে মসজিদে গেল, ইমামের কাছাকাছি বসল, মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনল, কোনো কথা না-বলল, আল্লাহ তায়ালা তাকে প্রতি কদমে এক বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব দান করবেন। (মুসনাদে আহমাদ)

জুমার দিনে হাতের নখ কাটা, ভালোভাবে গোসল করা, পরিষ্কার জামা-কাপড় পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, আগে আগে মসজিদে যাওয়ার চেষ্টা করা, ধুমপান না করা, ভালোভাবে মেসওয়াক বা ব্রাশ করা। মসজিদে প্রবেশ করে দুরাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামাজ পড়া, ইমাম সাহেবের খুৎবা মনোযোগের সাথে শোনাও সওয়াবের কাজ।

এছাড়া সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা।
হযরত আলী রা. নবীজি সা. থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সরধরনের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।

জুমার দিনের অন্যতম আমল হলো, বেশি বেশি দুরূদ শরিফ পড়া। হাত ওঠানো ছাড়া দুই খুৎবার মাঝে মনে মনে দোয়া করা। সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ মুহূর্তে দোয়া করা।

লেখক : তরুণ আলেম ও সংবাদকর্মী
muhammadbinwahid96@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আড়াই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার চট্টগ্রামে আইনজীবী কুপিয়ে হত্যা করল চিন্ময়ের সমর্থকরা তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চট্টগ্রামে ইসকন সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ বিপুল পরিমাণে বিদেশী মুদ্রাসহ শাহ আমানতে যাত্রী আটক রাখাইনে গণহত্যা ও চলমান সহিংসতার বিচারের দাবি রোহিঙ্গাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের সমন্বিত ফলাফল প্রকাশ রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির কুলাউড়ায় শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দায় ন্যাশনাল হাসপাতালের ওপর চাপানো ভিত্তিহীন : কর্তৃপক্ষ

সকল