তাবলিগে আসতে যাচ্ছেন না বিদেশী মেহমানেরা!
- খালিদ সাইফুল্লাহ
- ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৬:৩০
তাবলিগে বিদেশী মেহমান কমে গেছে। বিগত বছরগুলোতে এ সময়ে পাঁচ থেকে আট হাজার মেহমান থাকলেও বর্তমানে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ এর মতো মেহমান রয়েছেন। তাবলিগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ সঙ্ঘাতের কারণে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারিত না হওয়ায় বিদেশীরা আসছেন না বলে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রতি বছর জানুয়ারির মাঝমাঝিতে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নিয়ে থাকেন। এর পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও তাবলিগের সাথীরা অংশ নিয়ে থাকেন। ২০১৬ সালের ৯ জানুয়ারি তাবলিগের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ওই বছর ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ৯৭ দেশের আট হাজার ১৪৫ জন বিদেশী মেহমান বাংলাদেশে আসেন। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসেন দুই হাজার ৭২৬ জন। ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আসেন তিন হাজার ৯৭০ জন। এ ছাড়া ভারত পাকিস্তান শ্রীলংকা থেকে আসেন এক হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৭২ জন, ভারত থেকে এক হাজার ৯৪ জন, মালয়েশিয়া থেকে ৮৩৯ জন, সৌদি আরব থেকে ৬৫৭ জন, ওমান থেকে ৫৩০ জন, মরোক্কো থেকে ২৯৪ জন।
তাবলিগের নিজামুদ্দিনের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্দলভীকে নিয়ে বিতর্কের জেরে দুই গ্রুপের সঙ্ঘাত সংঘর্ষের কারণে বিদেশী মেহমান আসা কমে গেছে। গত বছরের ১৫ জানুয়ারির এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ওই সময় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ৮৮টি দেশের পাঁচ হাজার ২৪ জন বিদেশী মেহমান বাংলাদেশে আসেন। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসেন এক হাজার ৫৩০ জন। ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আসেন দুই হাজার ৮৪১ জন। এ ছাড়া ভারত পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা থেকে আসেন ৬৫৩ জন মেহমান।
তাবলিগের বাংলাদেশী মারকাজ কাকরাইল মসজিদে সরেজমিন দেখা গেছে, মসজিদের যে স্থানে বিদেশী মেহমানরা থাকেন সে জায়গা খালি পড়ে রয়েছে। খুবই অল্প সংখ্যক বিদেশী মেহমান রয়েছেন সেখানে। কাকরাইলে অবস্থান করা তাবলিগের দেশী সাথীরা জানান, অন্যান্য বছর এ সময়ে কাকরাইল মারকাজে বিদেশী মেহমান গমগম করে। কিন্তু এ বছর বিদেশী মেহমান নেই বললেই চলে।
তাবলিগের সাথী জহির ইবনে মুসলিম নয়া দিগন্তকে বলেন, বর্তমানে দেশে ১৫০ থেকে ১৭০ জনের মতো বিদেশী মেহমান রয়েছেন। ১৫-২০টি জামাতে ভাগ হয়ে তারা ঢাকা ও দেশের কয়েকটি জেলায় তাবলিগের কাজে রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, বিগত বছরগুলোতে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণার পর বাংলাদেশে থাকা বিদেশী দূতাবাসগুলোতে বিদেশী মেহমান আসার বিষয়টি জানিয়ে নভেম্বর মাসেই টেলিফোন করা হয়। সে অনুসারে তারা ভিসা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এ বছর ইজতেমার তারিখ ঘোষণা না করায় নতুন করে কোন বিদেশী আসেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা