রংপুরে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে বসতভিটা ও আবাদি জমি থেকে উচ্ছেদ পাঁয়তারার অভিযোগ
- সিনিয়র করসপনডেন্ট, রংপুর ব্যুরো
- ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:২৩
বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে রংপুরের গঙ্গাচড়ার গজঘণ্টা ও মর্ণেয়ায় স্থানীয় অধিবাসীদের বসতভিটা ও আবাদি জমি থেকে উচ্ছেদের অপতৎপরতার অভিযোগ করেছে বসতভিটা ও আবাদি জমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর মহানগরীর রংপুর নগরীর সুমি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ।
এ সময় আরমান ইসলাম, আবুল কালাম, রফিকুল ইসলাম, তাওফুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, মোজাম্মেল হক ,মোকতার হোসেন, মুশফিকুর রহমান, আফজাল হোসেনসহ অনেক ভুক্তভোগি উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।
বসতভিটা ও আবাদি জমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ও মর্ণেয়া ইউপির তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকার অনেক জমি অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের ফলে ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। এই সম্পত্তিতে বংশ পরম্পরায় ওয়ারিশ সূত্রে জমিতে ধান, আলু, মিষ্টি কুমড়া, চিনা বাদাম, পিঁয়াজ, রসুন ফসল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
পলাশ কান্তি নাগ দাবি করেন, সম্প্রতি ‘বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড’- এর নামে বসুন্ধরা গ্রুপ ছালাপাক ও আলাল মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানভূক্ত কৃষি জমি বেআইনীভাবে জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করছে। পাশাপাশি দলিল অথবা রেকর্ডীয় মালিকগণের বসতভিটা ও আবাদি জমি নামমাত্র মূল্যে গরিব-অসহায় মানুষদের বিক্রয়ে বাধ্য করছে। ইতোমধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাক ও আলাল মৌজায় ‘বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি’ স্থাপনের জন্য ৯৮৬ এবং ৯১৫ একর খাস জমি প্রতীকি মূল্যে বন্দোবস্তের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। একইসাথে বসুন্ধরা গ্রুপ এক হাজার ৪০০ একর ভুমি উন্নয়নে বালু ভরাটের আবেদন করেছেন।
অ্যাভোকেট পলাম কান্তি নাগ সংবাদ সম্মেলনে আরো দাবি করেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ১৪০০ একর জমি ক্রয়ের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যার ফলে এলাকার মানুষ আতংকিত ও উদ্বিগ্ন। একটি প্রতিষ্ঠান কিংবা গোষ্ঠীর মুনাফার শিকার হয়ে হাজার হাজার মানুষ বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছাড়া হতে পারে না। কৃষি জমি বিধ্বংসী মুনাফা লোভীদের প্রকল্প কোন ক্রমেই কাম্য নয়। ভুক্তভোগিরা স্থানীয় প্রশাসনের নিকট বসুন্ধরা গ্রুপের অপতৎপরতা বন্ধে দাবি জানালেও তারা তা কর্ণপাত না করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ‘বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড’ প্রকল্প বাতিল, বসুন্ধরা গ্রুপকে খাসজমি দীর্ঘমেয়াদী কিংবা স্বল্পমেয়াদী বন্দোবস্ত না দেয়া এবং স্থানীয় অধিবাসীদের নিকট থেকে নামমাত্র মূল্যে ক্রয়কৃত জমি ফিরিয়ে দেয়ারর দাবি জানানো হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দাবি আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ বিষয়ে ‘বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড’-এর স্থানীয় অফিসের কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগে চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা