২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নৌকাডুবিতে নিহতদের পরিবারে জামায়াতের অনুদান

- ছবি : নয়া দিগন্ত

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে ভয়াবহ নৌকাডুবিতে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবিপুর ইউনিয়নের মুজাবর্নি পাঞ্জিয়ার পাড়ার বাসিন্দা নিহত ভূমিকা রাণী রায় (১৫) এবং তার ছোট বোন দ্বীপ শিখা রাণী রায় (৮) এর পিতা দীপক চন্দ্র রায়ের হাতে এবং বড়গাঁও ইউনিয়নের লক্ষিরহাট এলাকার পুস্প রাণীর পুত্রবধূর হাতে নগদ আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন জামায়াত নেতারা।

দীপক চন্দ্র রায় ও ছন্দা রাণী রায় তাদের দুই মেয়েকে ওই সময় হারালেও এখন তাদের ঘর আলো করে এসেছে দুই জমজ সন্তান। যাদের একজন ছেলে ও একজন মেয়ে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা আমির মাওলানা ইকবাল হোসাইন। ঠাকুরগাঁও জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীর, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল আহমদ।

জামায়াত নেতারা বলেন, আমারা জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পক্ষ থেকে এসেছি নিহতদের পরবারের খোঁজ খবর নিতে। অতীতেও আমরা আমাদের হিন্দু ভাইবোনদের পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাআল্লাহ। জাতি ধর্ম বর্ণের ভেদাভেদ মুছে ফেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সনাতন ধর্মের শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া আউলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক মানুষ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর দুলতে শুরু করে। একপর্যায়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে মোট ৭২ জনের প্রাণহানি হয়। এর মধ্যে ৭১ জনই ছিল সনাতন ধর্মের। ওই সময়ও শোকাহত পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানাতে ছুটে যান ডা. শফিকুর রহমান। একইসাথে দলের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দেন তিনি। তারপর আবারো গিয়ে সেসব পরিবারের খোঁজ ও নিয়ে আর্থিক সহযোগিতা করেছিলেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement