সৈয়দপুরে দুর্নীতির কারণে ইউপি চেয়ারম্যানের অফিসে ছাত্র-জনতার তালা

অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকার জুনের অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ছাত্রজনতা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় চেয়ারম্যানকে আপসে চলে যেতে বললেও তিনি চেয়ার না ছাড়ায় জোর করে বের করে দেয়া হয়।

তালা লাগানোর কারণ সম্পর্কে এলাকাবাসী জানান, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই চেয়ারম্যানজুন চরম স্বেচ্ছাচারী হয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করে চলেছেন। ঈদের সময় সরকারি বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল দুস্থ অসহায় মানুষকে না দিয়ে বিক্রি করে খেয়েছে। দরিদ্রদের জন্য সকল ধরণের ভাতা কার্ড করে দিতে ন্যুনতম তিন হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। অর্থ ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায় না।

এছাড়া আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে হামলা মামলায় হয়রানি করেছে। দলীয় দাপট দেখিয়ে রাস্তা সংস্কারসহ সকল অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে একেবারে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। মহিলা এমপির মাধ্যমে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ নিয়ে এসে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কোনো কাজ করেই সব অর্থ লোপাট করে পকেটস্থ করেছে।

সৈয়দপুর কলেজের ছাত্র ওই ইউনিয়নের সোনাখুলী গ্রামের ছেলে বায়েজিদ বলেন, মূলত: চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারীতা ও লুটপাটে ইউনিয়বাসী অতিষ্ঠ। এ কারণে জুনের মতো দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানকে আমাদের ইউনিয়নে চাইনা। তার অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। তার অপসারণ ও বিচার দাবি করছি।

একইভাবে পোড়ারহাট এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করে বলেন, এই চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে ইউনিয়নের সকল স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে। বিশেষ করে গরিব মানুষগুলো খুবই দুর্ভোগে পড়েছে। তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তাই তার অপসারণ দাবিতে অফিসের দরজায় ছাত্র জনতা একত্রিত হয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকার জুন বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি একারণে বিএনপির লোকজন জবরদস্তি করে আমার অফিস কক্ষে তালা লাগিয়েছে। অনিয়ম দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, মূলত: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এমন বেআইনি কাজ করা হয়েছে।