এমপক্স প্রতিরোধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেই হিলি স্থলবন্দরে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:১১
বিশ্বের কয়েকটি দেশে সংক্রামক রোগ এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) ছড়িয়ে পড়লেও দিনাজপুরের হিলি আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরে এখনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
প্রতিদিন এই বন্দরের চেকপোস্ট ব্যবহার কয়েক শ’ পাসপোর্ট যাত্রী বাংলাদেশ ও ভারতে আসা-যাওয়া করেন। এছাড়া নেপাল ও ভুটানেও ঘুরতে যান অনেকে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা জানান, মাঙ্কিপক্সের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, পিঠে ব্যথা, দুর্বলতা, লসিকাগ্রন্থি ফোলা ও ত্বকের ফুসকুড়ি বা ক্ষত। এ রোগের লক্ষণগুলো কেউ অনুভব করলে বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নেয়ার জন্য বলা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চেকপোস্টে পাসপোর্ট যাত্রী সাইফুল ইসলাম ও সঞ্চিতা রাণী জানান, এই চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতীয়রা নাগরিকরা যাতায়াত করেন। অনেক সময় বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও আসা-যাওয়া করেন। তাই আগে থেকেই এ ব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কারণ এই ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে দ্রুত ছড়ায় বলে শুনেছেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদফদর থেকে বলা হয়েছে, এমপক্স সংক্রমণ যাতে দেশে না ছড়ায়, সে জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ রোগ প্রতিরোধে দেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়ছে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, এখনো পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এমপক্স ভাইরাসের তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনেছি। তাই এ বিষয়ে সতর্ক আছি। এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি।
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হয় এমপক্স। এরপর মহাদেশটির মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন ও কেনিয়া। গত ১৬ আগস্ট পাকিস্তানে এমপক্সে আক্রান্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা