সৈয়দপুরে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া
- সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
- ২৭ জুলাই ২০২৪, ১৬:০২
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া। গ্রেফতার আতঙ্কে ও রাজনৈতিক হয়রানি থেকে বাঁচতে তারা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। নেতাদের বাড়িতে প্রতিদিনই পুলিশি তল্লাশির কারণে এই আতঙ্ক দেখা দেয়ায় এবং হামলা ভাংচুর ও তাণ্ডবের সাথে জড়িত থাকার মিথ্যে ও আজগুবি অভিযোগে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতা কর্তৃক প্রশাসনের কাছে তালিকা প্রদানের ফলে এই অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা যায়, ইতোমধ্যে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রুপা বেগমসহ প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। এদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৭ জন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও ১২ থেকে ১৫ জন অরাজনৈতিক ব্যক্তি এবং সাধারণ কর্মজীবী মানুষ। এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশির নামে অভিযান চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করার ঘটনাও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামিদের খুঁজতে গিয়ে না পেয়ে পরিবারের শিশু ও নারী সদস্যদের আটক করা হয়েছে।
আটককৃতদের বেশিরভাগই কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছে তাদের পরিবার পরিজন। এমনকি ঘটনার দিন সৈয়দপুরেই ছিল না এমন অনেককে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী রশিদুল হক সরকারের ছেলে রাফি ও রাজির নাম এজাহারভুক্ত করেছে। তারা বাবার চিকিৎসার জন্য ওই দিন ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
এ দিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের ভাতিজি ও ভাগিনার নাম তার প্রতিপক্ষ গ্রুপ এজাহারে তালিকাভুক্ত করেছে বলে জানা গেছে।
বিগত প্রায় ১০ দিন পেরিয়েও বিএনপি ও জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীকে শহরে দেখা মেলেনি। এখনো চরম আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লোকজন জরুরি কাজ সেরে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। পথচলা বা বাজার করতে এসেও তরিঘরি ফেরার তাগিদ অনুভব করছেন। ফলে দুপুরের পরই শহরের প্রাণকেন্দ্র জনশূণ্য হয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই পুলিশি টহল অব্যাহত থাকায় ত্রস্তভাবে কর্মস্থলে কাজ করছেন সকলে। সন্ধ্যার পর শহর নিরবতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। সবার মুখেই কি হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে এ নিয়ে ভীতিকর আলোচনা চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা