২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঋণ নিয়ে পদ্মা সেতু করা হলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কেন নয়, প্রশ্ন জি এম কাদেরের

ঋণ নিয়ে পদ্মা সেতু করা হলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা কেন নয়, প্রশ্ন জি এম কাদেরের - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, তিস্তা প্রকল্পের বিষয়টি সরকার জটিল করে তুলেছে। আমরা বিভিন্নভাবে বাহিরের শক্তির কাছে পরনির্ভর হয়েছি। সরকার জনগণের স্বার্থ চিন্তা না করে নিজেদের ক্ষমতায় থাকার চিন্তা করেছে। যদি পদ্মা সেতু ঋণ নিয়ে তৈরি করা হয়, তবে কেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঋণ নিয়ে করা হবে না। এটি হলে গোটা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে রংপুরে তিন দিনের সফরে এসে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফি, মহানগর সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন ও জাহেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জি এম কাদের বলেন, সরকারের ওপর আস্থাহীনতার কারণে দেশে কোটা ও পেনশন নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। এ আন্দোলন যৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আস্থাহীনতা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা পাচ্ছে না। সরকার তাদের অনুগতদের চাকরিতে নিয়ে আসছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবহার করে। আর এ জন্য ছাত্ররা আন্দোলন করছে, সরকার যেন চাপের মুখে সেটি তুলে নেয়।

জি এম কাদের এমপি বলেন, যে আন্দোলন চলছে আমি মনে করছি সমথর্ন যোগ্য। প্রধানমন্ত্রী কিছু কথা বলছে, এটা হাইকোর্ট যে রায় হয়েছে। এই সব আন্দোলন কতটুকু যৌক্তিক। এটা সাবিকভাবে চিন্তা করলে ওনাদের কথা যৌক্তিক। যে কোটা ও পেনশন আন্দোলন কথা বলি দুটিই যৌক্তিক।

জি এম কাদের বলেন, আমি সংসদে বলেছি যারা পেনশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে এনারা সবাই শিক্ষক সমিতির। আমার জানা মতে সরকারের খুব ঘনিষ্ঠজন। সরকার বলছে যে তাদেরকে সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তারা যেকোনো কারণে ভালো মনে করছে না। আস্থাহীনতায় সরকার দলের লোকেরা, সরকারের সমথর্নরা আস্থা রাখতে পারছেন না।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারের ঘনিষ্ঠজন। সরকারের সাথে তারা সব সময় থাকে এবং সরকারের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে। সরকার বলছে নতুন পেনশন স্কিমে আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। কিন্তু এরপরও শিক্ষকরা আস্থাহীনতার জায়গা থেকে আন্দোলন করছেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা বলতে পারি ঋণ নিয়ে ঘি খাওয়ার মতো অবস্থা দেশে বিরাজ করছে। ফলে ঋণের বোঝা জনগণের ওপর পড়বে। ইতোমধ্যেই আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সরকার করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধের অযুহাত দেখাচ্ছে। অথচ ভারতের মুদ্রাস্ফীতি অর্ধেকে নেমেছে, নেপালে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। দেউলিয়া দেশ শ্রীলংঙ্কা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সব দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা পিছিয়ে পড়ছি। সরকার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছে।


আরো সংবাদ



premium cement