ঠাকুরগাঁওয়ে ‘সোনার খনি’ খ্যাত ইটভাটায় অনুসন্ধান
- ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
- ০৬ জুন ২০২৪, ১৭:১৪, আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪, ১৭:১৮
গত কিছুদিন আগে ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার এলাকার ‘ইটভাটার মাটির স্তুপের নিচে সোনা পাওয়া যাচ্ছে’ এমন একটি খবর বেশ স্থান করে নেয়। সোনা পাবার আশায় স্থানীয়সহ বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় জমাতে শুরু করে সেখানে সোনা খোঁজার উদ্দেশ্যে। কারো হাতে কোদাল, কারো হাতে বসিলা, খুন্তি এই নিয়েই মাটি খুঁড়ে দিন-রাত। এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গত ২৬ মে আর বিবি ইটভাটার ওই স্থানটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। তবে লোকমুখে চলতে থাকে সোনা পাবার নানা গল্প।
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার হাট এলাকায় ভূতত্ত অধিদফতর থেকে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধানী দল আসে মাটি পর্যবেক্ষণের জন্য। গত ৩ জুন থেকে ৫ জুন পর্যন্ত সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আল রাজি এবং রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, বাচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিতেন্দ্রনাথ বর্মন ও অন্যান্যদের সাথে নিয়ে আর বিবি ইটভাটায় রক্ষিত মাটির স্তুপ, মন্দিরের পাশের জমি ও পাশের পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।
ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকরাসহ এলাকাবাসী জানায়, ট্রলির মাধ্যমে ভাটার মাটি সরিয়ে নেয়া হয় এবং ১৪৪ ধারাও জারি করা হয় এখানে। আমরা শুধু শুনেছি সোনা পাবার কথা। নিজেরা সোনা পাইনি। তবে, যেহেতু অনুসন্ধনী দল এসেছে, তারা প্রকৃত ঘটনাটি জানতে এবং জানাতে পারবে।
সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম বলেন, ‘আমরা ওই এলাকার বিভিন্ন মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছি এবং তিন স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি। আসলে এটি ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়। সে হিসেবে এ মাটিতে সোনা থাকার সম্ভাবনা নেই, তবে প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের যেকোনো স্থানে এসব থাকতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রাকৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উভয় সম্পদ অনুসন্ধানে তৎপর আছে। আমরা যে মাটির নমুনা নিয়েছি ল্যাব টেস্ট করলে ওখানে স্বর্ণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা