পীরগঞ্জে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নারী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ২
- বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা
- ২৮ মে ২০২৪, ১৮:১৪
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রেজিয়া খাতুন (৪৮) নামে এক নারী হত্যার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।
গ্রেফতাররা হলেন পীরগঞ্জের মালগাঁও গ্রামের মরহুম তমিজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) ও একই উপজেলার কানাড়ি গ্রামের মরহুম ধনীবুল্লার ছেলে এনতাজুল হক (৪৪)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত সোমবার সকালে পীরগঞ্জ থানার ৯ নম্বর সেনগাঁও ইউনিয়নের কানাড়ি গ্রামের একটি আম বাগান থেকে রেজিয়া খাতুনের (৪৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রেজিয়া খাতুনের ছেলে জুলফিকার আলী রুবেল পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, মামলার বাদি জুলফিকার আলীর মা রেজিয়া খাতুন তার স্ত্রী ফেন্সি আক্তার (২৭) গ্রামে থাকেন। তিনি ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। গত রোববার রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার সময় জুলফিকার আলী তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে মায়ের খোঁজ নিতে চাইলে তার স্ত্রী বলেন তার মা বাড়ির বাইরে গেছে। পরবর্তীতে তার মা বাড়িতে ফিরে না এলে তার স্ত্রী এবং বাড়ির অন্য লোকজন রেজিয়া খাতুনকে খুঁজতে থাকেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সোমবার সকালে পীরগঞ্জ থানার ৯ নম্বর সেনগাঁও ইউনিয়নের কানাড়ি গ্রামে মো: জাহিরুল ইসলামের আম বাগানের ভেতর রেজিয়া খাতুনের লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, রেজিয়া খাতুনকে গ্রেফতাররা কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় তারা রেজিয়ার মুখ চেপে ধরে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা বেগম ও ডিআইওয়ান আব্দুল মতিনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা